নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
নির্দিষ্ট নির্ঘণ্ট অনুযায়ী দুপুর নাগাদ মেদিনীপুর কলেজ কলেজের মাঠের প্রশাসনিক সভায় বক্তব্য রাখতে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চির সমস্যা ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন দিল্লির ভিক্ষে আর চাই না। বরং আমরা দু’তিন বছর পর ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিজেরাই করে দেবো।এরই সঙ্গে খড়গপুরের রেল কলোনির বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেন মুখ্যমন্ত্রী,”বলেন খড়্গপুরের নেতাদের বলব গণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন গড়ে তোলার”।
লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে জেলা সফরের শেষ দিকে পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রশাসনিক সভা করতে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।গতকালই তিনি চপারে করে এসেছেন মেদিনীপুরে।বিধান নগরে নামার পর সার্কিট হাউসে রাত্রিযাপন করেন।এরই সঙ্গে তৃণমূল নেতা মন্ত্রী বিধায়ক সাংসদের নিয়ে বৈঠক সারেন।এরপর সকাল হতেই ঠিক বারোটা নাগাদ তিনি এই প্রশাসনিক সভা করতে মেদিনীপুর কলেজ কলেজিয়েট মাঠের সভা মঞ্চে আসেন গাড়িতে করে।প্রথমে তিনি সেলফ হেলফ গ্রুপের স্টলে এক প্রস্থ ঘুরে দেখেন। এরপর মঞ্চে উঠেই সরকারি প্রকল্পের জিনিসপত্র বিলি করেন উপভোক্তাদের মধ্যে।এরই সঙ্গে তিনি কয়েকশো কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন এবং শিলান্যাস করেন। এরপর বক্তব্য রাখেন।বক্তব্য রাখতে গিয়ে এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে সেভাবে উত্তেজিত হতে দেখা যায়নি।তবে তিনি বক্তব্য রেখেছেন সোজা স্বভাব সিদ্ধ ভাষায়। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন,”আর দিল্লীর কাছে কোনোভাবে হাত পেতে ভিক্ষে চাইবো না।ঘাটালে সাংসদ দেব সহ অনেকেই বহুবার আবেদন নিবেদন করা হয়েছে।বছর দুই পর আমরাই ঘাটালের মাস্টার প্ল্যান করে দেবো মানুষের জন্য।যার ফলে বন্যার হাত থেকে রক্ষা পাবে ঘাটাল সহ পাঁশকুড়ার বহু মানুষজন।
এরপর তিনি খড়্গপুরে তেলগু জাতিদের জন্য দুটো বিদ্যালয় কে দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত হওয়ার আশ্বাস দিয়ে যান”।এছাড়াও গতকাল বস্তি উচ্ছেদ নিয়ে রেলের সঙ্গে তৃণমূলের সংঘাতের বিষয় নিয়েও বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী।তিনি বলেন,”একটাও মানুষকে উচ্ছেদ করা চলবে না,চলবে না বেআইনিভাবে জলের এবং ইলেকট্রিক লাইন কাটা। আমরা খড়গপুরের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের বলব যাতে ওরা গণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলনে নামে।এর সঙ্গে প্রশাসনকে বলবো যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার। মূলত এই দিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সভা মঞ্চে উপস্থিত হয়েছিলেন পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার,জেলা শাসক খুরশেদ আলী কাদরী,বিধায়িকা জুন মালিয়া,মন্ত্রী শিউলি সাহা,মানস রঞ্জন ভূঁইয়া,সাংসদ অপরূপা পোদ্দার,জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা সহ একঝাঁক তৃণমূল নেতা মন্ত্রী।