নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর :
গুড়শুটি মেলাতে প্রায় ৬০ কুইন্টাল গুড়শুটি বিক্রি হলো মেদিনীপুর শহরে আর তা কিনতে ভিড় জমালেন শহরবাসী।কি রয়েছে এই মেলায়! কেনইবা এমন নাম তা নিয়েই বেশ কিছু কথা বললেন উদ্যোক্তারা।তবে পরম্পরা মেনে প্রায় তিন শতাধিক পুরনো এই মেলায় ভিড় পড়ে উপচে।
বইমেলা,শ্রাবণী মেলা,সবলা মেলার নাম শুনেছেন, “গুড়শুটির”মেলার নাম কখনো শুনেছেন কি!শুনেন নি তো কিন্তু মেদিনীপুরেই হয়।শতাব্দী প্রাচীন এই মেলা তাও আবার খোদ শহরের বুকে সাহেবপুকুর চক এলাকায়।মূলত হোলির দিন একদিনের জন্য সন্ধ্যেবেলায় বসে এই মেলা।বিকেল থেকেই পসরা সাজিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা।তবে এই মেলায় শাড়ি,জামা কাপড় বা খেলনা যতটা গুরুত্বপূর্ণ নয় তার থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ধরনের গুড়শুটির কেনাবেচা।প্রায় 10-12 ধরনেরই গুড়শুটি বিক্রি হয় রীতিমত কেজি দরে।একদিনের সন্ধ্যা বেলার মেলাতে প্রায় 50 থেকে 60 কুইন্টাল গুড়শুটি কেনেন শহরবাসী।
সন্ধ্যেবেলায় মেলাতে ঢোকা দায় হয়ে দাঁড়ায় মেলা প্রেমীদের।যদি ওই মেলার সূত্রপাত কিভাবে হয়েছিল বা কারা এই গুড়শুটি নামে অভিহিত করেছেন তা নিয়ে অনেক মতপার্থক্য রয়েছে।অনেকে আবার গুড়শুটির বদলে এই পূর্ব নাম নেকড়ে বুড়ি মেলা বলে অভিহিত করেন তবে এই মেলায় প্রিয় খাবার এবং ভোগই হলো এই গুড়শুটি।আমরা ছোটবেলায় মিষ্টি দোকানে শুটিগজা বা কাঠি গজা খেয়েছি ঠিক সেরকমই চিনি রসে ডুবিয়ে অথবা গুড়ের রসে ডুবিয়ে করা হয় গুড়শুটি।যা খেতে হয় মিষ্টি এবং বিক্রি হয় দেদার।এছাড়াও বিভিন্ন খেলনা গাড়ির পসরা সাজিয়ে সারাদিন ধরে চলে হরিনাম সংকীর্তন।
যদিও এ বিষয়ে উদ্যোক্তা অরুণ সাউ বলেন এই মেলাকে নেকড়ে বুড়ি মেলা বলে সবাই জানতো।পরে এটা “গুড়শুটি মেলা নামে পরিচিত হয়ে পড়ে।কত বছরের মেলা আমরা বলতে পারব না।তবে এই মেলা স্বাধীনতার আগে দাদুর আমলের।এই এক সন্ধ্যেবেলার মেলাতে প্রায় 50 – 60 কুইন্টাল গুড়শুটি বিক্রি হয়।যা কিনতে ভিড় জমান শহরসহ জেলার মানুষজন।