নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
পরীক্ষা দিতে এসে বিষধর সাপে কামড়ালো পরীক্ষার্থীকে।এমনই ঘটনা মেদিনীপুর শহরে। যদিও এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় স্কুলের মধ্যেই।অন্যদিকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ কলেজে চিকিৎসা চলাকালীন পরীক্ষার্থী পুনরায় ছুটে আসেন পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে।
এবার ডাক্তারি পরীক্ষা দিতে এসে সাপের ছোবল খেলো এক পরীক্ষার্থী।যা নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ালো মেদিনীপুর শহরের রাঙ্গামাটি কিরণময়ী হাইস্কুলে। যদিও এই ঘটনায় তড়িঘড়ি পড়ুয়াকে নিয়ে যাওয়া হয় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।ঘটনাক্রমে জানা যায় গোপীবল্লভপুর এর বাসিন্দা পূর্ণ চন্দ্র সাউ ও মনোরমা সাউ এর একমাত্র মেয়ে লিপ্সা সাউ ডাক্তারি নিট (NEET)পরীক্ষা দেওয়ার জন্য এদিন তিনি গোপীবল্লভপুর থেকে প্রাইভেট গাড়িতে করে এসেছিলেন মা-বাবা ও মাসীর সাথে।এই পরীক্ষা ছিল ঠিক দুপুর দুটো নাগাদ।কিন্তু পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে লিপ্সা যখন বাথরুমে যায় সেই সময় তাকে সাপের ছোবল মারে।লিপ্সা চিৎকার করে ওঠে এবং সে নিশ্চিত করে যে তাকে সাপে কেটেছে।তড়িঘড়ি সে কাঁদতে কাঁদতে তার মা বাবাকে বলে এবং এই অবস্থায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে।সেখানে গিয়ে ডাক্তাররা তার রক্ত পরীক্ষা করান এবং রীতিমতো নজরে রাখেন।
ইতিমধ্যে পরীক্ষার সময় হয়ে যায়।অন্য দিকেই স্কুল থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় কোনোভাবেই তাকে আলাদা করে হাসপাতালে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা যাবে না।এই ঘটনায় আতঙ্কিত পরিবার এবং লিপ্সা তড়িঘড়ি হাতে ব্যান্ডেজ এবং রক্ত দিয়েই গাড়িতে করে ছুটে আসে আবার তার নিজস্ব পরীক্ষা সেন্টারে।যদিও তারপর এসে পরীক্ষাতে বসে।এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে।
যদিও এ বিষয়ে লিপ্সা সাউয়ের মাসি বলেন আমরা সকালবেলায় এসেছি আমাদের মেয়েকে নিয়ে পরীক্ষা দিতে গোপীবল্লভপুর থেকে।কিন্তু বাথরুমে যাওয়ার সময় ওকে সাপে কামড়ায়।তারপরই আমরা আতঙ্কে ছুটে আসে হাসপাতালে।জানিনা এখন কি হবে।
যদিও শেষ পাওয়া খবরে এই পরীক্ষার্থী এক ঘন্টা পরীক্ষা দেওয়ার পরে অসুস্থ বোধ করে এবং তাকে তড়িঘড়ি ফের মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে ফের নিয়ে আসা হয়।যদিও এখন পরীক্ষার্থী কিছুটা স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানা গেছে।