Fibro Scan:লিভারের জটিল রোগ ধরতে উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্র স্পন্দনে!কম খরচে উপকৃত হবে মেদিনীপুর সহ জঙ্গল মহলের মানুষ

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:

এবার লিভারের জটিল রোগ সারিয়ে ফেলুন কম খরচে তাও আবার আপনার হাতের মুঠোয়।এরকমই সুখবর শোনালো মেদিনীপুরের এক বেসরকারি নার্সিংহোম।মূলত কোটি টাকা খরচা করে ফাইব্রো স্ক্যান বসালো মেদিনীপুরের নার্সিংহোম স্পন্দন। সপ্তাহের সাত দিন ধরেই লিভারের রোগ নির্ণয় করা হবে এই মেশিন দ্বারা। এর ফলে উপকৃত হবে পশ্চিম মেদিনীপুর,ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া,পুরুলিয়া সহ জঙ্গলমহলের মানুষজন।

কলকাতার পর এবার লিভারের জটিল রোগ নির্ণয় করতে উন্নত প্রযুক্তির মেশিন ফাইব্রো স্ক্যান বসালো, মেদিনীপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোম।প্রসঙ্গত বলা যায় যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে শহর ও জেলা জুড়ে।তবে শরীরের রোগের মধ্যে বেশি বাড়ছে লিভারের।বর্তমানে কোন কারণ ছাড়াই
অসুস্থ হলেই এবং তাকে নির্ণয় করতে গিয়ে ধরা পড়ছে লিভারের বিভিন্ন উপসর্গের।যেমন জটিল উপসর্গ গুলি হল ফ্যাটি লিভার,লিভার ফাইব্রোসিস,ক্রনিক লিভার, হেপাটাইটিস বি,সিরোসিস লিভার।এতদিন এইসব লিভারের জটিল রোগ নির্ণয় এবং সেগুলো সমাধান করতে জঙ্গল মহলের মানুষ কে দৌড়াতে হতো মেদিনী পুর ছেড়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে অথবা কখনো কখনো ভুবনেশ্বর বা চেন্নাই ব্যাঙ্গালোরে।কিন্তু এবার ঘরের সামনে লিভারের রোগ নির্ণয়ের জন্য বসলো ফাইব্রো স্ক্যান।তাও আবার মেদিনীপুরের বিখ্যাত নার্সিংহোম স্পন্দনে।আর এই যন্ত্র বসানোর ফলে অতি দ্রুত যেমন লিভারের রোগ নির্ণয় করা সম্ভব হবে তেমনি রোগ নির্মূল হবে অতি সহজে।যদিও এই লিভারের রোগ নির্ণয়ে অতি স্বল্প মূল্যই ধরা হয়েছে।ব্যথা হীন Non Invasive প্রক্রিয়া সেই সঙ্গে অল্প সময়ের মধ্যেই সেই রোগ সারিয়ে ফেলতে পারবেন মেদিনীপুরের মানুষ জন।

সম্প্রতি কয়েক কোটি টাকা খরচা করে এই যন্ত্র সেন্টারে বসিয়েছে স্পন্দন কর্তৃপক্ষ।এই রোগ নির্ণয়ে স্বল্প মূল্য এই কারণেই রাখা হয়েছে যাতে গড়বেতা,শালবনী অন্য দিকে ঘাটাল,দাসপুর,কেশপুর,ডেবরা, পিংলা,সবং সঙ্গে কেশিয়াড়ি,খড়গপুর সহ এই জেলার সকল নিম্ন,মধ্য বিত্ত শ্রমিক শ্রেনী সঙ্গে জঙ্গলমহলের মানুষ উপকৃত হয়।

এই বিষয়ে স্পন্দন কর্তৃপক্ষ তথা স্পন্দন ডিরেক্টর মনোজ পতি বলেন,”অ্যালকোহলিক এবং নন অ্যালকোহলিকদের মধ্যে লিভারের রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে জেলা শহর এবং রাজ্যে।আমরা যদি প্রথমেই সেই রোগকে ধরতে পারি অর্থাৎ প্রথম স্টেজে ধরতে পারলে তা রোগ সারিয়ে ফেলা যায়।যার জন্যই এই যন্ত্র আমরা সেন্টারে বসিয়েছি। সপ্তাহের সব দিনই মানুষ এসে এখানে টেস্ট করাতে পারবে।দাম ধরা হয়েছে অতি স্বল্প মূল্য।আমরা চাই লিভারের জটিল রোগ শেষ স্টেজে পৌঁছানোর আগেই ধরা পড়ুক এবং মানুষ তার ট্রিটমেন্ট করে সারিয়ে তুলুক।


Share

dnews.in