Fraud Apps:PNDPay অ্যাপস ডাউনলোড করেই লক্ষ লক্ষ টাকা উধাও!থানায় অভিযোগ করল CSP,CSC র মালিকরা

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:

অ্যাপস ডাউনলোড এবং তারপরে মাস ফুরালো না টাকা উধাও, যা নিয়ে সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ করলেন সিএসপি এবং সিএসসি মালিকরা।মেদিনীপুর শহর ও জেলা জুড়ে প্রায় ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকার ফ্রডের অভিযোগ যদিও এই ঘটনার পর থেকে অ্যাপসটি উধাও হয়ে গিয়েছে এবং এর কর্মকর্তারা কেউই ফোন ধরছেন না অথবা সুইচ অফ।সর্বস্বান্ত হওয়া এই শিক্ষিত যুবকদের দাবি অবিলম্বে তাদের টাকা ফেরত চাই এবং দোষীদের খুঁজে বার করুক পুলিশ প্রশাসন।

সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ

ফাইভ জির যুগে ডিজিটাল মাধ্যমে এবার ডিজিটাল লেনদেনের সঙ্গে পাশাপাশি ডিজিটাল ফ্রড ঘটলো তাও আবার জঙ্গলমহল পশ্চিম মেদিনীপুরে।যার জেরে লক্ষ লক্ষ টাকা হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে থানায় অভিযোগ করলেন সি এস পি(Customer service point)ও সি এস সি র (Common Service centre )মালিকরা।ঘটনা ক্রমে জানা যায় গ্রাম বাংলার মানুষদের কাছে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা,চাষীদের টাকা,বার্ধক্য ভাতা সহ রিচার্জের মাধ্যমে টাকা গ্রামে গ্রামে পৌঁছে দিতে ছোট ছোট সি এস পি ও সি এস সি র ব্রাঞ্চ খুলেছে শিক্ষিত বেকার যুবকরা। এই সিএসপি এবং সিএসসির ব্রাঞ্চ গুলো বেশিরভাগই বেসরকারি ব্যাংক এবং আধা সরকারিও সরকারি ব্যাংকের হয়ে থাকে।মূলত গ্রামের বেকার শিক্ষিত যুবকরা চাকরি বাকরি না পেয়ে ঘরের জমি বন্ধক দিয়ে সেই ছোট ছোট অফিস খুলে তারা গ্রামের মানুষকে অতি সহজেই অনলাইনের টাকা নগদে পাইয়ে দেয়।কিন্তু সম্প্রতি বেশ কিছু যুবক তাদের কাছে আসে এবং জানায় তারা নতুন অ্যাপস নিয়ে এসেছে যার নাম PND Pay।এই অ্যাপসের মাধ্যমে তারা টাকা ট্রানজাকশন করলে একদিকে যেমন বেশি মুনাফা পাবে তেমনি অনেক সুবিধা দেবে তারা।

সহজ সুবিধা এবং বেশি মুনাফার আশায় এই যুবকরা সেই সময় এই অ্যাপস ডাউনলোড করে তাদের মোবাইল এবং কম্পিউটারে।মাস খানেক বেশ চলছিল কিন্তু গত ২৮ তারিখ থেকে সমস্যা সৃষ্টি হয়।এই CSP চালানো যুবকদের অভিযোগ তারা ২৮ তারিখ সকালে উঠে দেখে তাদের মোবাইল এবং ল্যাপটপ কম্পিউটার থেকে অ্যাপসটি উধাও হয়ে গিয়েছে।এরই সঙ্গে তাদেরকে যোগাযোগের মাধ্যম এবং যারা এই অ্যাপসের দায়িত্ব ছিলেন তাদের ফোন সুইচ অফ। একাধিকবার ফোন করে যখন তারা নিজের টাকা ওয়ালেট থেকে তুলতে পারছিলেন না সেই সময় তারা ভেঙে পড়েন।অবশেষে তারা দ্বারস্থ হন মেদিনীপুরের সাইবার ক্রাইমে।এরকম মেদিনীপুর জেলা শহরে প্রায় ১০-১৫ জন CSP,CSC এবং অনলাইন ট্রানজেকশন মালিক তারা দ্বারস্থ হন থানায়। প্রত্যেকেই ৫০ হাজার কারো কারো এক লাখ টাকা এই অ্যাপসে লাগানো রয়েছে। যার জেরে প্রায় ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা ফ্রড হয়েছে বলে তাদের অভিযোগ।তবে তাদের প্রত্যেকের একই অভিযোগ অবিলম্বে তাদের ফ্রড হওয়া টাকা ফেরত এবং এই কেসে যারা অভিযুক্ত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। যাতে নতুন করে কেউ এই ফ্রড কেসে পা না দিয়ে এই অ্যাপস ডাউনলোড করে।যা ঘিরে নতুন করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে মেদিনীপুর জেলা শহরে।

এই ঘটনা নিয়ে সর্বস্বান্ত হওয়া প্রীতম প্রতিহার,জগবন্ধু মাইতিরা বলেন আমরা ছোট ছোট CSP গ্রামে খুলেছিলাম বাড়ির জমি বন্ধক দিয়ে।সম্প্রতি এই যুবকরা আমাদের অফিসে আসে এবং আমাদেরকে এই অ্যাপস এর কথা বলে।সেই অ্যাপসের মাধ্যমে টাকা ট্রানজেকশনও হয়। কিন্তু ২৮ তারিখ থেকে আর কোন টাকা আমাদের একাউন্টে ঢোকেনি এবং সমস্ত ফোন সুইচ অফ অন্যদিকে অ্যাপস আনস্টল গিয়েছে অটোমেটিক।এখন আমরা সর্বস্বহারা কোথায় যাব করে উঠতে পারছি না।যদিও থানায় এসে জানতে পারি এই অভিযোগ নিয়ে আগেও অনেকে করে গিয়েছে।

অন্যদিকে সফিউল আলম নামে আরেক অভিযোগ কারী বলেন,”অনলাইনে আমরা টাকা বিভিন্ন গ্রামের মানুষকে পাঠিয়ে আমরা সাধারণত টাকা রোজগার করি।আমি আমি নিজে এয়ারটেল পেমেন্ট ব্যাংকের একজন অথরাইজ সদস্য। কিছু যুবক এসে আমাদের কে এই ধরনের একটি অ্যাপ ডাউনলোড করে দিয়ে টাকা পাঠানোর সহজ পদ্ধতি বাতলে দেয়। এবং এটা যে google ভেরিফাইড টা প্লে স্টোর থেকে আমরা জানতে ও পারি। কিন্তু এই গত ২৭-২৮ তারিখের পর থেকে এই অ্যাপস টি অটোমেটিক আনস্টল দেখাচ্ছে এবং আমরা প্রতারিত হয়েছি বলেই অভিযোগ করেছি থানায়।


Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

dnews.in