নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
শুরু হলো বিজেপির গণতন্ত্র বাঁচাও সপ্তাহ।আর সেই কর্মসূচির প্রথম দিন হিসেবে থানা ঘেরাও কর্মসূচি নিল জেলা বিজেপি।এদিন মিছিলের পাশাপাশি থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো হয় বিজেপির তরফ থেকে।প্রতিবাদ করা হয় ফিরহাদ হাকিম,ত্বহা সিদ্দিকী এবং হুমায়ুন কবীরের বিভিন্ন মন্তব্যের পরিপেক্ষিতে।
এবার গণতন্ত্র বাঁচাও সপ্তাহ পালনের উদ্যোগ নিল বিজেপি।মূলত তাদের অভিযোগ ভোটের পর থেকে রাজ্যে অশান্তি অব্যাহত।বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি নেতাকর্মী এবং জেতা প্রার্থীদের ভয় দেখাচ্ছে পুলিশ এরই সঙ্গে তাদের একাধিক মিথ্যে মামলায় জড়ানো হচ্ছে।এরই সঙ্গে বিজেপি অভিযোগ করে বর্তমানে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম একের পর এক কুরুচিকর মন্তব্য করে চলছেন যেখানে খোদ মুখ্যমন্ত্রী তার বিরুদ্ধে কোনরকম ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। পাশাপাশি বিজেপির অভিযোগ ভোটের সময় তৃণমূল নেতা হুমায়ুন কবীর হিন্দুদের যেখানে কেটে ভাসিয়ে দেওয়ার কথা বলেছেন তবু তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।সম্প্রতি ত্বহা সিদ্দিকী নানা রকম বিতর্ক মূলক মন্তব্য করে চলেছেন অথচ তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।তাহলে আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে আমরা কি পাকিস্থানে থাকি না বাংলাদেশে থাকি!এরই বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ।তাছাড়া এই একুশে জুলাই যে তৃণমূল পালন করছে এটার প্রতি আমাদের প্রতিবাদ রয়েছে। আমাদের বক্তব্য হলো একুশে জুলাই যখন ঘটনা ঘটে তখন সিপিএমের হাতে খুন হয়েছিল কংগ্রেসের লোকজন অথচ তৃণমূল একুশে জুলাই পালন করছে যেখানে সভা করে সিপিএমকে গালি না দিয়ে গালি দিচ্ছে বিজেপিকে।
যদিও আমরা এই ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবে কোনদিন যুক্ত ছিলাম না। এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের গালি দেয় না কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বর্তমানে ইন্ডি জোটের শরীক।তাই তিনি তাদের কোনোভাবেই কোনো বিষয় মন্তব্য করছেন না,বরং বিজেপিকে যেনতেন ভাবে কলুষিত করছেন।এরই প্রতিবাদে আমাদের থানা ঘেরা কর্মসূচি,যা চলবে এক সপ্তাহ ধরে। এদিন এই বিক্ষোভ কর্মসূচি এবং ঘেরাও কর্মসূচিতে সামিল হয়েছিলেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক শুভজিৎ রায়,জেলা মুখপাত্র অরুপ দাস,জেলা কমিটির সদস্য অনিমেষ রায়,জয় সাউ রাজ্য মাইনোরিটি মোর্চার সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন খান,রাজ্য তপশিলি মোর্চার সাধারণ সম্পাদক মদন রুইদাস সহ বিজেপির নেতৃত্ব ও কর্মী সমর্থকেরা।
এ বিষয়ে বিজেপি জেলা মুখপাত্র অরূপ দাস বলেন, “একের পর এক কুরুচিকর মন্তব্য করে চলেছে তৃণমূল নেতা নেতৃত্ব এবং মন্ত্রীরা অথচ মুখ্যমন্ত্রীর মুখে কুলুপ।তিনি অভিযোগ করে এও বলেন এটা পাকিস্তানও না এবং বাংলাদেশও না অথচ এখানে এই ধরনের একটি সম্প্রদায়কে তোষামোদ করতে উঠে পড়ে লেগেছে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী।তাই তাদের বিরুদ্ধে আমাদের এই আন্দোলন।এরই সঙ্গে তিনি একুশে জুলাইয়ের কর্মসূচি নিয়েও কটাক্ষ করেন।