নিজস্ব প্রতিনিধি,কেশপুর:
দীর্ঘদিন ধরে যাতায়াতের প্রধান রাস্তা বেহাল।বহুবার আবেদন নিবেদন জানিয়েও মেলেনি কোন সুরাহা।এই বেহাল রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে দুর্ভোগকে পড়েছেন স্থানীয় মানুষ পড়ুয়া সহ প্রতিদিন যাতায়াত কারী মানুষজন।এরপর বিধায়ক এবং দিদিকে বলো কে জানিয়ে ছিল তারা,তাতেও সুরাহা মেলেনি। অবশেষে পঞ্চায়েত অফিসে তালা লাগিয়ে অবরোধে সামিল হল পড়ুয়া সহ আইসিডিএস কর্মীও গ্রামবাসীরা।
বর্ষাকাল আসতেই বেহাল রাস্তার সমস্যায় নাকাল পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা।কোথাও ডোবা জলে পরিপূর্ণ কোথাও বা এক হাঁটু জল দিয়ে কাদা মাড়িয়ে স্কুল যেতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। কেশপুরেও ঠিক এমনই পরিস্থিতির সম্মুখীন গ্রামবাসীBসহ পড়ুয়ারা। এই রাস্তা নিয়ে তারা রীতিমতো দীর্ঘদিন ধরে পঞ্চায়েত প্রধান,বিধায়ক এবং দিদিকে বলোতে জানিয়ে ছিল। কিন্তু কাজের কাজ না হওয়ায় রাস্তা মেরামতের দাবিতে এবার পঞ্চায়েত অফিসে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখালো স্কুল পড়ুয়া থেকে শুরু করে আইসিডিএস কর্মীও গ্রামের সাধারণ মানুষ।এইরকমই ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ব্লকের অন্তর্গত তিন নম্বর আমনপুর গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে।স্কুল পড়ুয়া থেকে গ্রামবাসীদের অভিযোগ,টুকুরিয়াপাট থেকে কুয়াপুর পোল পর্যন্ত রাস্তার বেহাল অবস্থা দীর্ঘদিন ধরে। যার ফলে এই বৃষ্টিতে ব্যাপক দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে সকলকে।তাই অবিলম্বে রাস্তা মেরামতের দাবিতে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী থেকে ছাত্রছাত্রী সকলেই আমনপুর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের গেটে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন। এই ঘটনা সাময়িক উত্তেজনার ছড়িয়ে পড়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায়। যদি ও নিজেদের অবস্থানে অনড় পড়ুয়া সহ গ্রামবাসীরা।
তবে গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শ্যামাপদ পাখিরা জানান,স্কুল পড়ুয়া ও গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ যুক্তিসঙ্গত।ওই রাস্তাটি প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার অধীনে।অনেকদিন আগেই একটি কন্টাকটারকে কাজের বরাত দেওয়া হয়েছিল।কিন্তু আইনি জটিলতার কারণে রাস্তাটির কাজ সম্পন্ন হয়নি।আমরা গ্রামবাসীদের সাথে বসে বিষয়টি আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধান সূত্র বের করবো।রাস্তাটির কাজ যাতে দ্রুত সম্পন্ন করা যায়, সে বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।