নিজস্ব প্রতিনিধি,পাঁচখুরি:
হোস্টেলের রাতের খাবার খেয়ে অসুস্থ চল্লিশ জন পড়ুয়া যা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ালো পাচরা এলাকায়।পড়ুয়াদের অভিযোগ তাদের বাসি খাবার দেওয়া হয়েছিল গরম ডালের সঙ্গে মিশিয়ে। যদিও এই নিয়ে প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
টানা বর্ষণের মধ্যে হোস্টেলের খাবার খেয়ে বিপাকে পড়ুয়ারা। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি হলো ৪০ জন পড়ুয়া।ঘটনাটি ঘটেছে মেদিনীপুর কোতোয়ালী থানার পাচরার তেল্যা বিদ্যাসাগর বিদ্যামন্দিরের হোস্টেলে।ঘটনা ক্রমে জানা যায় এই হোস্টেলে মোট ১৬০ জন ছাত্রছাত্রী থাকে। পড়ুয়াদের অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গেছে গত বৃহস্পতিবার রাতে যখন তাদের হোস্টেল কর্তৃপক্ষ খাবার দেয় তখনই খাবারে টক গন্ধ ছাড়ে।তারা বুঝে ওঠার আগেই খিদের চোটে সেই খাবার খেয়ে নেয়। এরপর রাতের খাবার খেয়ে তারা ঘুমিয়ে পড়ে।তবে শুক্রবার সকাল থেকেই অসুস্থতা বোধ করে কয়েকজন ছাত্রছাত্রী।এরপর বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে অসুস্থতার সংখ্যা।স্কুলে যাওয়ার পর বমি,পায়খানা ও পেটের যন্ত্রনা শুরু হয় ছাত্রছাত্রীদের।এরপরই স্কুল কর্তৃপক্ষ স্থানীয়দের সহযোগিতায় অসুস্থ ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয় পাঁচখুরি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে।যদিও বর্তমানে এখানে ভর্তি রয়েছেন প্রায় ৪০ জন ছাত্রছাত্রী।এই ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সংশ্লিষ্ট হোস্টেলের মধ্যে।যদিও এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকেরা।
এই বিষয়ে ছাত্রছাত্রীরা জানায়,বৃহস্পতিবার দুপুরের খাবার তাদের খাওয়ানো হয়েছিল।তরকারি টক হয়ে গিয়েছিল।গরম ডালের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল সেই তরকারি,যা আমাদের খেতে দেওয়া হয়।আমরা খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি।সকাল থেকে আমাদের বন্ধুবান্ধবদের পেটে ব্যথা বমি পায়খানা শুরু হয়। এরপর আমাদের স্যারেরা আমাদের নিয়ে আসে এ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।যদিও এনিয়ে অভিভাবকদের মধ্যেও দেখা দিয়েছে ক্ষোভ।
অন্যদিকে এবিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক অরূপ ঘোষ বলেন,”আমাদের হোস্টেলে ১৬০ জন মোট ছাত্রছাত্রী থাকে গতকাল ওরা খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল কিন্তু সকাল থেকে কয়েকজন পড়ুয়া বমি জ্বর এবং পায়খানা দেখা দেয়।এরপর প্রায় ৪০ জন পড়ুয়াকে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।যদিও তাদের মধ্যে চার পাঁচ জনের জ্বর বমি রয়েছে বাকিরা সুস্থ।তবে বাসি খাবার খাওয়া নিয়ে তিনি বলেন বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।