Jhargram Compensation: বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু স্বামীর, প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতির 20 টাকার বীমায় মিলল 2 লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,ঝাড়গ্রাম:

মনসা পুজোর দিন বাড়িতে বিদ্যুতের লাইন ঠিক করতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল স্বামীর।২০ টাকার ইন্সুরেন্স থাকায় ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পেলেন স্ত্রী।বৃহস্পতিবার দুপুরে ইন্সুরেন্সের ২ লক্ষ টাকার চেক ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে মৃত ব্যক্তির স্ত্রীর হাতে তুলে দেয় ব্যাংক ও ইন্সুরেন্স কর্তৃপক্ষ।

ঘটনা ক্রমে জানা গিয়েছে,ঝাড়গ্রাম জেলার বেলিয়াবেড়া থানার অন্তর্গত আঁধারিয়া গ্রামের বাসিন্দা প্রবীর জানা ২০২৩ সালের জুন মাসে মনসা পুজোর দিন বাড়িতে বিদ্যুতের লাইন ঠিক করার সময় বিদ্যুৎপৃষ্ট হন।এই ঘটনায় উদ্ধার করে তপসিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।মৃত প্রবীর বাবুর ইন্ডিয়ান ব্যাংকের তপসিয়া শাখায় একটি প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি যোজনা ২০ টাকার ইন্সুরেন্স করা ছিল। স্বামীর মৃত্যুর পর ক্ষতিপূরণের ২ লক্ষ টাকার জন্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে প্রবীর বাবুর স্ত্রী ঝুমা জানা আবেদন জানায়।কিন্তু কোন কারণবশত ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ক্ষতি পূরণের টাকার ঝুমাকে দিতে অস্বীকার করে।এই অবস্থায় চলতি বছরের মার্চ মাসে ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ জানায় ঝুমা।লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে একটিপ্রিলিটিকেশনের মামলা রুজু করে করে আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ।নোটিশ করে ব্যাংক এবং ইন্সুরেন্স কর্তৃপক্ষকে দেখে পাঠানো হয়। তারপরেই সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর ঝুমার হাতে ২ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেওয়া হয়।

এই বিষয়ে ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিব তথা বিচারক সুক্তি সরকার বলেন,”ঝুমা জানা নামে এক মহিলা আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ জানায় বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে তার স্বামীর মৃত্যু হয়েছিল।ব্যাংকে উনার স্বামীর নামে একটি ইন্সুরেন্স ছিল যার ক্ষতিপূরণের মূল্য ছিল ২ লক্ষ টাকা।ব্যাংকে আবেদন করার পরেও ক্ষতিপূরণের টাকা পাচ্ছিলেন না ওই মহিলা।আমাদের কাছে অভিযোগ জানানোর পরেই একটি প্রিলিটিকেশনের মামলার রুজু করা হয়।এই ঘটনায় নোটিশ করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এবং ইন্সুরেন্স কর্তৃপক্ষকে ডেকে পাঠানো হয়। তারপর সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর ২ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণের চেক ইন্সুরেন্স কোম্পানি ঝুমা জানার হাতে তুলে দিয়েছেন।আমরা উনাকে সাহায্য করতে পেরে অত্যন্ত খুশি”।স্বামী মৃত্যুর ক্ষতিপূরণের ২ লক্ষ টাকার চেক হাতে পেয়ে ঝুমা জানা বলেন,”মনসা পুজোর দিন বাড়িতে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে স্বামীর মৃত্যু হয়েছিল।স্বামীর ইন্সুরেন্সের ক্ষতিপূরণের ২ লক্ষ টাকা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আমাকে দিচ্ছিল না ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানাতেই আমাকে ক্ষতি পূরনের টাকা দেওয়া হয়েছে”।


Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

dnews.in