নিজস্ব প্রতিনিধি,কেশপুর:
জেলার বানভাসি দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ালো শ্যাম স্টিল।এইদিন এই সংস্থার পক্ষ থেকে ৫০০ ত্রিপল তুলে দেওয়া হলো কেশপুরের বন্যা দুর্গত মানুষদের হাতে।প্রায় ৫ দিন ধরে ২০০০ ত্রিপল বিলি করা হবে ডেবরা, দাসপুর সহ পাঁশকুড়ার মানুষদের বন্যা কবলিত মানুষদের হাতে।এদিন সংস্থার কর্ণধার দুলাল দত্তর মাধ্যমে একটি গাড়িতে করে ত্রিপল নিয়ে হাজির হন কর্মীরা।মাথার ছাদ হারিয়ে ত্রিপল পেয়ে খুশি বানভাসি মানুষজন।
এবারে সেপ্টেম্বর মাসেও বৃষ্টি ছাড়ছে না গোটা জেলা শহর রাজ্যে।বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টিপাত বিক্ষিপ্তভাবে হয়ে চলছে এরই সঙ্গে রয়েছে গুমসানি গরম।আর এই বৃষ্টিপাত আর DVC এর ছাড়া জলে প্লাবিত পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর,দাসপুর,ঘাটাল,ডেবরা,সহ ত্রিলোচনপুর এলাকা। ইতিমধ্যে বানভাসি হয়েছেন কয়েক লক্ষ মানুষজন। অনেকেই পাচ্ছেন না খাবার মাথার ছাদ।এই অবস্থায় বিভিন্ন সংঘ সংগঠন ক্লাব এবং সংস্থার পাশাপাশি এবার পাশে এসে দাঁড়ালো শ্যাম স্টিল।মেদিনীপুর শহরের শ্যাম স্টিল এবং তার কর্মকর্তা দুলাল দত্তের উদ্যোগে ত্রিপল বিলি শুরু হল কেশপুর থেকে।এদিন কেশপুরের ১১,১২ ও ১৫ সহ বিভিন্ন অঞ্চলে বানভাসি অসহায় মানুষদের হাতে ত্রিপল তুলে দেওয়া হয় এই শ্যাম স্টিলের তরফ থেকে। এদিন প্রায় পাঁচ শতাধিক ত্রিপল তুলে দেওয়া হয়। আগামীকাল ঘাটালের বেশ কিছু অংশ সেই সঙ্গে ডেবরা সহ ত্রিলোচনপুর বিভিন্ন অংশের মানুষের হাতে এই ত্রিপল তুলে দেওয়া হবে।মোট ২০০০ ত্রিপল বিতরণ করা হবে এই অসহায় দুর্গত মানুষের সাহায্যার্থে। মাথার উপর ছাদ হারিয়ে শ্যাম স্টিলের দেওয়া এই ত্রিপল পেয়ে খুশি এলাকার মানুষজন।সকল মানুষ ধন্যবাদ জানান স্টিল সহ দুলাল দত্তকে।
এ বিষয়ে শ্যাম স্টিলের কর্ণধার দুলাল দত্ত বলেন, “বন্যায় প্লাবিত জেলার মানুষগুলোকে দেখলে আমাদের কষ্ট হয় তাদের দুঃখ কষ্ট দূর করতে সামান্য প্রচেষ্টা আমাদের। তবে আমাদের আজ থেকে শুরু হয়েছে আমরা আগামী পাঁচ দিন ধরে বানভাসী মানুষদের পাশে দাঁড়াবো এবং ত্রিপল প্রদান করব।শুধু আমরা এই কয়েকদিন করেই থেমে থাকি না।সারা বছর ধরে আমরা এই অসহায় বিভিন্ন জায়গার মানুষদের পাশে থেকেছি।শুধু বন্যার সময় নয় আমরা এর আগে স্কুলে স্কুলে ফ্যান,কম্পিউটার প্রদান করেছি,দেওয়া হয়েছে পড়াশোনার শিক্ষা সামগ্রী।বিগত মহামারী কোভিডের সময় আমারা অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম।