নিজস্ব প্রতিনিধি,শালবনি:
পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির সৈয়দপুরে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সৈয়দপুর শাখার সামনে ৬০নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করলেন সহায়ক দলের মহিলা সদস্যরা।তাদের দাবি যতক্ষণ না ব্যাংক তাদের টাকা ফিরিয়ে দিচ্ছে ততক্ষণ তাদের অবরোধ চলবে।
গত বুধবারের পর আজ শুক্রবার ফের ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখিয়ে শালবনীর সুন্দরা এলাকায় ৬০নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করলেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা।এইদিন দুপুর ১টা থেকে শুরু হয় এই বিক্ষোভ অবরোধ কর্মসূচি।যা সারাদিন ব্যাপী চলে।বিক্ষোভকারীদের দাবি,স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সেভিংস অ্যাকাউন্টে লক্ষাধিক টাকা ঢুকেছিল।তা ব্যাংক অনৈতিকভাবে তুলে নিয়েছে।এই বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য বুধবার ৪৮ ঘন্টা সময় নেওয়ার পরও ব্যাঙ্ক এর কোনও সদুত্তর বা ব্যাখ্যা দিতে পারেনি।এদিন ফের তাই বেলা ১টা থেকে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,সুন্দরা সংলগ্ন সৈয়দপুর এলাকায় অবস্থিত একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সৈয়দপুর শাখায় শালবনী ব্লকের ৪নং বাঁকিবাধ অঞ্চলের প্রায় ৪৫০টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে।গত বুধবার বেশ কয়েকটি গোষ্ঠীর মহিলারা দাবি করেছিলেন,অক্টোবর মাসের শেষে তাঁদের সেভিংস অ্যাকাউন্টে সেলারি ক্রেডিট হিসেবে লক্ষাধিক টাকা করে জমা পড়েছিল।
কোন একাউন্টে ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা আবার কোন একাউন্টে তার থেকেও বেশি জমা পড়েছিল।কিন্তু নভেম্বর মাসের ১ তারিখই সেই টাকা ব্যাংক তাদের অনুমতি ছাড়াই তুলে নেয়।গত বুধবার এই বিষয়ে সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারেনি ব্যাংক।তাই দুপুর থেকে বিকেল অবধি চলে পথ অবরোধ ও বিক্ষোভ।ওই দিন বিকেল নাগাদ এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার কথা জানিয়েছিলেন শালবনীর BDO রোমান মণ্ডল।তিনি এও জানিয়েছিলেন,ব্যাঙ্ক তাঁকে জানিয়েছে মাসের শেষে একদিনের জন্য সিসি একাউন্টে থাকা অতিরিক্ত টাকা সেভিংস একাউন্টে নিয়ে যাওয়া হয়।পরদিনই ফের তা সিসি একাউন্টে ফিরিয়ে নেওয়া হয়,যাতে গ্রাহকদের কোন সুদ দিতে না হয়।পাশাপাশি আজ প্রশাসনিক ও ব্যাংকের তরফ থেকে কোন কিছুই জানানো হয়নি বলে দাবি দলের মহিলা সদস্যদের।যদিও ব্যাঙ্কের তরফে এখনও পর্যন্ত এমন কোনও ব্যাখ্যা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের দেওয়া হয়নি।
তাই শুক্রবার ফের পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেছেন শতাধিক স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরা।ব্যাংকের সামনে রাস্তার উপরে বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে এই মহিলা সদস্যরা। তারা জানিয়েছেন যতক্ষণ না ব্যাংকের তরফ থেকে তাদের কোনো আশ্বাস দেওয়া হবে এই অবরোধ চলবে।