নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
উপনির্বাচনের শেষ রবিবারসরীয় প্রচার চার প্রার্থী সারলেন চার রকম ভাবে। কেউ হুডখোলা জিপে তো কেউ টোটো অটো করে। কেউবা পায়ে হেঁটে আবার কেউ বা ধান কেটে প্রচার সারলেন এই উপনির্বাচনের।
উপনির্বাচনের দৌরগোড়ায় পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর বিধানসভা।এখন ঠিক শেষ পর্বে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রচার চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি, কংগ্রেস,সিপিআই সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি।তবে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের ভিন্ন ভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে রবিবাসরীয় প্রচার শেষ করল মেদিনীপুরের রাজনৈতিক প্রার্থীরা।মূলত মেদিনীপুর উপ-নির্বাচনে এবারে তৃণমূল থেকে দাঁড়িয়েছে এলাকার তৃণমূল জেলা সভাপতি পরিচিত মুখ সুজয় হাজরা।এক ও একাধিক শিক্ষাগত ডিগ্রী এবং জন্মলগ্ন থেকে তৃণমূলের ম্যানেজার হিসেবে কাজ করা হাতের তালুতে জায়গা চেনা সুজয় বাবু রীতিমতো প্রচার চালাচ্ছেন।কখনো টোটো গাড়িতে কখনো বা স্কুটিতে করে আবার কখনো তিনি হুডখোলা জিপে করে রীতিমত প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন বিধানসভা জুড়ে।সদা হাস্যময় এই সুজয় বাবু প্রচারে গেলে মানুষের মধ্যে আলাদা উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে।তবে তার প্রচারে কোন ভিভিআইপি বা কোনো রাজনৈতিক নেতা মন্ত্রীদের আনাগোনা দেখা গেল না এই উপনির্বাচনে।
অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থী হয়েছে এলাকার দীর্ঘদিনের পরিচিত মুখ,আইনজীবী শুভজিৎ রায়।এই শুভজিৎ বাবু একদিকে যেমন আইনজীবী ঠিক অন্যদিকে তেমনি বিজেপির একাধিক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত।দীর্ঘদিন বিজেপির সেনাপতি হিসেবেই তিনি কাজ করে আসছেন। তবে তিনি একবার 2011 সালে বিধানসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন এরপর তিনি 2022 এ পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। কিন্তু সাফল্য আনতে পারেনি তিনি।এবারে আবার বিধানসভা উপনির্বাচনের তিনি প্রার্থী হয়েছেন। প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই গ্রামগঞ্জে প্রচারের জন্য হুডখোলা জিপ ব্যবহার করছেন।সেখানে প্রচারে আসছে কখনো দিলীপ ঘোষ কখনো বা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী,কখনো তার প্রচারে হিরন চট্টোপাধ্যায় কখনো বা শমিক ভট্টাচার্য।প্রচারে কোনোভাবে তিনি খামতি রাখতে চাইছেন না।আর এই রবিবাসরীয় প্রচারে ও তিনি শেষ রবিবারের প্রচার সেরে ফেললেন জোর কদমে।
অন্যদিকে দুই হেভি ওয়েট প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার পাশেও রীতিমত দলীয় নেতৃত্বদের নিয়ে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে একলা চলো ডাক দেওয়া কংগ্রেস প্রার্থী।মেদিনীপুর উপনির্বাচনে এবার কংগ্রেস থেকে প্রার্থী হয়েছে দীর্ঘদিনের কংগ্রেস করা একনিষ্ঠ কর্মী শ্যামল ঘোষ।তিনিও কোন ভাবে প্রচারে খামতি রাখতে চান নি।তিনি গ্রামগঞ্জে হুডখোলা জিপে করে যেমন প্রচার করছেন তেমনি কখনো খড় কেটে তিনি প্রচার চালাচ্ছেন কখনো বা ধানের গাড়ি নিয়ে প্রচার করছেন।কখনো কখনো লেবারদের সঙ্গে একসাথে হাত লাগিয়ে ইট নামিয়ে এক প্রস্থ রাজনৈতিক প্রচার সেরে ফেললেন।এরপরই জোট সঙ্গী কংগ্রেস থেকে এবারে উপনির্বাচনে একসঙ্গে না লড়া সিপিআই প্রার্থী মনি কুন্তল খামরই বামেদের হয়ে লড়াই করছেন এই উপনির্বাচনে।দীর্ঘদিনের কর্মী সিপিআই করে আসা এই মণিকুন্তল বাবু রীতিমতো হেঁটে হেঁটে প্রচার চালাচ্ছেন গ্রামেগঞ্জে।তবে অন্যান্য প্রার্থীদের মত তিনি মন্দির মসজিদে না গিয়ে বরং মানুষের কাছে যাচ্ছেন সচেতনতার বার্তা ও পরিবর্তনের ডাক দিয়ে।
এদিন রবিবারে শেষ রবিবাসরীয় প্রচার জোর কদমে চালিয়ে গেলেন এই চার প্রার্থী।এখন অপেক্ষা 13 ই নভেম্বর উপনির্বাচনের হওয়ার।