নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
উপনির্বাচনের একদিন আগেই মারা গেলেন ভোট প্রচারে গিয়ে আক্রান্ত হওয়া বিজেপি একনিষ্ঠ কর্মী সুজিত ঘোষ।দীর্ঘ ছয় বছর প্যারালাইসিস হয়ে তিনি শয্যাশায়ী ছিলেন বাড়িতে।তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া।কর্মীকে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানালেন বিজেপি প্রার্থী শুভজিৎ রায়।পাশাপাশি তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে কেস তুলে নেওয়ার অভিযোগ করলেন।
আজ থেকে ছ বছর আগে ঠিক পঞ্চায়েত ভোটের সময় প্রচারের করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিল সুজিত ঘোষ (56)। অবশেষে দীর্ঘ যন্ত্রণার পর বিছানার শয্যাশায়ী সুজিত ঘোষ মারা গেলেন এইদিন সকাল নাগাদ।মৃত বিজেপি কর্মীকে বিজেপি পতাকা দিয়ে সেই সঙ্গে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানালো উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী শুভজিৎ রায়,পরিবার কে জানালেন সমবেদনা।ঘটনা ক্রমে জানা যায় গত 2018 সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে মেদিনীপুর শহরের কালগাং মালিয়াড়াতে বিজেপির প্রচারে এসেছিলেন অভিনেতা জয় ব্যানার্জি।তার প্রচারের সময় প্রচারে অংশ নিয়েছিল নরমপুর মৌজার কালগাং মালিয়াড়ার একনিষ্ঠ বিজেপি কর্মী সুজিত ঘোষ সহ বিজেপি নেতা কর্মী সমর্থকরা।বিজেপির অভিযোগ ছিল প্রচার শেষ করে জয় ব্যানার্জি ফিরে যাওয়ার পরেই এলাকার দুই বিজেপি কর্মী বাড়িতে হামলা চালায় শাসকদলের কর্মীরা।এলাকার দুটো বাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি সুজিত ঘোষ কে বেধড়ক মারধর করা হয়।নিজেদের বাঁচাতে গিয়ে এই ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছে বিজেপির কয়েকজন কর্মী।
সেই ঘটনার পর থেকে প্যারালাইসিস হয়ে দীর্ঘদিন বাড়িতে শয্যাশায়ী ছিলেন এই সুজিত বাবু।বিজেপির এও অভিযোগ বিছানায় শয্যাশায়ী থাকাকালীন তার বাড়িতে তাকে মারতে গিয়েছিলেন এক তৃণমূল কর্মী।কিন্তু এলাকাবাসীর প্রতিরোধে সেই যাত্রায় সফল হয় নি।এর দীর্ঘ ছয় বছর পর অবশেষে এদিন তিনি সকালে মারা যান।এই ঘটনায় এলাকার শোকের ছায়া।এই ঘটনা শোনার পরই কর্মীকে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে তার বাড়ি যান এবারের মেদিনীপুর উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী শুভজিৎ রায়।তিনি মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি পরিবারে পাশে থাকার আশ্বাস দেন।সেই সঙ্গে ভয় দেখিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নেওয়ার অভিযোগ করেন।
এই ঘটনায় সুজিত বাবুর ছেলে আশীষ ঘোষ বলেন, “সেই ঘটনা ঘটে গেছে ছয় বছর।ছ বছর ধরেই আমার বাবা প্যারালাইসিস ছিলেন।বহু ট্রিটমেন্ট হয়েছে এবং কোর্টে মামলা চলছে।কিন্তু এই কিছুদিন আগে থেকেই এখানকার পুলিশ প্রশাসন রাতের অন্ধকারে আসছে বাড়িতে এবং কেস তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে।আমরা এতদিন ধরে লড়াই করছি।আমরা চাই এই ঘটনায় দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি হোক”।
যদিও এ বিষয়ে পাল্টা সুর গিয়েছেন তৃণমূল।তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা উপনির্বাচনের প্রার্থী সুজয় হাজরা বলেন,”ভোটের সময়ে রাজনীতির ফায়দা তুলতে চাইছে বিজেপি।আমি যতটুকু জানি এই সুজিত বাবু তৃণমূল করতেন।এরপর কি ঘটনা ঘটেছিল তা আমি জানি না।তবে পুরোটাই প্রশাসনের কাজ,প্রশাসন দেখছে।