নিজস্ব প্রতিনিধি,খড়গপুর:
100 দিনের 100 সেকেন্ড নীরবতা সেই সঙ্গে রাস্তা অবরোধ করে ত্রিলোত্তমার 100 দিনের প্রতিবাদ করলো খড়গপুর SFI,DYFI,AIDWA খড়গপুর শহর পূর্ব ও নাগরিক মঞ্চ।এরই সঙ্গে তারা মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন।বক্তব্য রাখতে গিয়ে বক্তারা রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দোষারোপ করেন এই ঘটনার।
আজকের দিন তিলোত্তমার 100 দিন বিচারহীন!মিছিল মোমবাতি প্রজ্বলন,রাস্তা অবরোধ করার সঙ্গে 100 সেকেন্ড নীরবতা পালন SFI DYFI AIDWA খড়গপুর শহর পূর্ব ও নাগরিক মঞ্চের।এরই পাশাপাশি পথ সভা অনুষ্ঠিত হয় SFI DYFI AIDWA খড়গপুর শহর পূর্ব ও নাগরিক মঞ্চের পক্ষ থেকে।এই সভায় বক্তব্য রাখেন DYFI খড়গপুর শহর পূর্ব লোকাল কমিটির সম্পাদক সৈয়দ সাদ্দাম আলী।তার বক্তব্য আজ 100 দিন পেরিয়েছে!এখনও CBI পরিষ্কার করতে পারেনি আসল দোষী কে? একদিকে সঞ্জয় মিডিয়ার কাছে বলছে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে?তাহলে বাকি দোষীরা কোথায়!পাশাপাশি তিনি এও বলেন দুই সরকার দোষীদের বাঁচানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী,কচ্ছ থেকে কোহিমা পর্যন্ত বিস্তৃত বৈচিত্র্যময় দেশ ছেড়ে বিদেশে তিলোত্তমার বিচারের দাবী উড়ছে।এই নির্লজ্জ পশ্চিমবঙ্গের সরকার ছলে বলে কৌশলে মানুষকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।বামপন্থী ছাত্র যুব শপথ গ্রহণ করছে “দোষীদের আড়ালকারী সরকার ও দোষীদের শেষ দেখে ছাড়বে আমার মেয়ে আমার বোন তিলোত্তমার বিচার দিয়ে।”
এছাড়া SFI পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক বলেন 8 থেকে 80 কেউ-ই সুরক্ষিত নেই এই বাংলায়,এই দেশে।একদিকে যখন BJP শাসিত রাজ্যে নারী নির্যাতিত হয় সেখানে শাসক দল ঝান্ডা নিয়ে দোষীর পক্ষে মিছিল করে।অন্যদিকে আমাদের বাংলায় দোষীদের বাঁচানোর জন্য প্রমাণ লোপাট করা হয়।এরপর নাগরিক বিশিষ্ঠ অধ্যাপক পৃথ্বীশ হাইত বলেন,”রাজ্যের বাইরে আমাদেরকে ধর্ষকের রাজ্য বললে আখ্যা দিচ্ছে এ লজ্জা কোথায় নিয়ে যাবেন।বিচার আমরা চাইছি 10 লাখ টাকা আমাদের চাই না।শুধু বলির পাঠা সঞ্জয় না,পিসিমা এর ঝুলিতে থাকা রাঘব বোয়ালদের ও শাস্তি দিতে হবে”।এরপর তিনি শাক সবজির দাম বৃদ্ধি নিয়ে বলেন,”দিন দিন কাঁচা সবজির সহ জিনিস পত্রের দাম বেড়ে যাচ্ছে তার জন্য প্রতিবাদ করেন,এক দেশ এক ভোটের প্রতিবাদও করেন উনি”।
এইদিন পথ চলতি মানুষজন বাস,ট্যাক্সি ড্রাইভাররা ও 100 সেকেন্ড নিরবতায় সামিল হয়।এই কর্মসূচি শেষে।সবাইকে ধন্যবাদ জানান গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সংঘের জেলা সম্পাদক তথা বিশিষ্ঠ সাহিত্যিক সেক কামরুজ্জামান।