নিজস্ব প্রতিনিধি,কেশিয়াড়ী:
বামেদের সম্মেলন শেষ হতেই রাতের অন্ধকারে চলল ভাঙচুর গালিগালাজ।পুড়িয়ে দেওয়া হলো দলীয় পতাকা ভাঙচুর করা হলো চেয়ার টেবিল।এরই পাশাপাশি অফিসে থাকা শ্রমিকদের উপর ও আক্রমণ চালানো হয়।এই ঘটনায় তৃণমূলের দিকে অভিযোগ তুলেছে সিপিআইএম। যদিও উল্টো সুর শাসকদলের।অন্যদিকে সরেজমিনে খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
সিপিআইএমের পার্টি অফিস দখল নেওয়ার চেষ্টার ঘটনা।গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশিয়াড়ী ব্লকের হাতিগেড়িয়া সিপিআইএম এরিয়া কমিটির পক্ষ থেকে একটি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল দুধেবুধে এলাকায়।আর সিপিএমের সম্মেলনের পরেই গতকাল রাতেই প্রায় বেশ কিছু জন দুষ্কৃতী সিপিআইএমের পার্টি অফিসের ভাঙচুর করে তাণ্ডব চালায়।সিপিএমের পার্টি অফিসে পতাকা পুড়িয়ে ফেলা থেকে পার্টি অফিসের দরজা ভেঙে হামলা চালায়।এই ঘটনা ঘটিয়েছে তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী এমনই অভিযোগ সিপিএমের নেতৃত্বর। এরই পাশাপাশি ওই এলাকার রাস্তা মেরামতি কাজের জন্য ভিন জেলার ঠিকাদার শ্রমিকরা ওই পার্টি অফিসে থাকেন রাতে।তাদের উপরও হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছেন ওই শ্রমিকরা।ওইখানে বসবাসকারী ঠিকাদার শ্রমিকদের সঙ্গে মহিলাদের উপরও গায়ে হাত দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।এই ঘটনায় এলাকা জুড়ে ছড়িয়েছে উত্তেজনা। যদিও পুলিশ এই ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে।এই ঘটনা বিষয়ে শাসকদলের বক্তব্য সম্পূর্ণ উল্টো।তাদের বক্তব্য এএই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোন ভাবে জড়িত নয়,এটা নতুন ও পুরানো সিপিএমের দ্বন্দ্বের কারণ।
এই ঘটনায় সিপিআইএমের কেশিয়াড়ি ব্লকের নেতৃত্ব বিমান ভট্টাচার্য বলেন,”ইতিমধ্যেই কেশিয়াড়িতে বিরোধী মুখ হয়ে উঠেছে সিপিআইএম।তাই সিপিআইএমকে ভয় দেখানোর চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল।এমন কাজ করে চলেছে তারা।মূলত গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে হাতিগেড়িয়া এরিয়া কমিটির মধ্যে হাতিগেড়িয়া এবং ওই দুধেবুধে এলাকার পঞ্চায়েত দখল করেছে সিপিআইএম আর তাই তাদের দমানোর চেষ্টায় এমন তান্ডব তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের এমনই অভিযোগ সিপিআইএমের নেতৃত্বর।এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুলিশ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এবং এর প্রতিবাদ বিক্ষোভ কর্মসূচি ও সিপিএম করবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন সিপিএমের নেতৃত্ব।
যদিও এ বিষয়ে উল্টো সুর গেয়েছে তৃণমূল।তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোন ভাবে জড়িত নয়।এই ঘটনা ঘটিয়েছে সিপিএম থেকে যারা একসময় বিজেপিতে গিয়েছিল তারাই আবার ফিরে আসতে চাইছে সেই সঙ্গে তারা ওই পার্টি অফিস কি চেয়েছিল সিপিএমের কাছে।কিন্তু তারা এই পার্টি অফিস না দেওয়াতে তারাই এই কাজ করেছে এই সঙ্গে তৃণমূল কোনভাবে জড়িত নয়।কারণ রাতের অন্ধকারে পার্টি অফিস পোড়ানো কোন সুস্থ মানুষের লক্ষণ নয়।এবার তারা পুলিশে অভিযোগ করুক,পুলিশই খুঁজে বার করুক এর সঙ্গে কারা জড়িত।