Urush Pak:বাংলাদেশের ঘটনার প্রভাব!”এবারে বিশেষ ট্রেনে ওরা যেন না আসে”মেদিনীপুর থেকে চিঠি গেল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:

ভারত বাংলাদেশের সম্পর্কে প্রভাব মেদিনীপুরে।মেদিনীপুর থেকে চিঠি গেল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কাছে বিশেষ ট্রেন বন্ধের দাবিতে। বিজেপি সহ-সভাপতি চিঠি দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। যে চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন যে দেশের মানুষ বিদ্বেষ মূলক আচরণ করেন, মৌলবাদের দ্বারা আক্রান্ত হয় সংখ্যালঘু হিসেবে পরিচিত হিন্দু ভাইবোনেরা,তাদের ট্রেন যেন এই দেশে আসার অনুমতি না দেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।যদিও যা নিয়ে জোর জল্পনা মেদিনীপুর শহর ও জেলায়।

চিঠি লিখলেন বিজেপি নেতা

এবার ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কের প্রভাব পড়ল মেদিনীপুর শহর জেলায় যার জেরে শেষ পর্যন্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন মেদিনীপুরের মানুষ,এরকমই এক ঘটনার সাক্ষী মেদিনীপুর।মূলত সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বেশ কিছু ঘটনায় ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক ফাটল ধরেছে।বিশেষ করে সে দেশে সংখ্যালঘু হিসেবে পরিচিত হিন্দুদের উপর বাংলাদেশের মৌলবাদীদের অত্যাচার সেই সঙ্গে চিন্ময় কৃষ্ণ স্বামীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার,জেলে বন্দী রাখা সহ একাধিক ঘটনার জেরে রীতিমতো গোটা বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে।এছাড়াও এই ঘটনার জেরে বাংলাদেশের মানুষজন সহ সোশ্যাল মিডিয়া সেই সঙ্গে ওখানকার সেনাবাহিনীর প্রাক্তন অফিসাররাও ভারতের বিরুদ্ধে দিচ্ছেন ক্ষোভ উগরে এবং ভারতের দখল নেওয়ার ডাক দিচ্ছেন।এই ঘটনার জেরে রীতিমত গোটা বিশ্ব ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করেছে।

এই ঘটনার জেরে এবার 4 ঠা ফাল্গুন বাংলাদেশ থেকে আসা পূর্ণ্যার্থী বোঝায় এই দেশের সংখ্যালঘু হিসেবে পরিচিত মুসলিম ট্রেন বন্ধের আর্জি জানিয়ে ওদের আসতে বারণ করে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিলেও বিজেপির সহ-সভাপতি,শুভজিৎ রায়। তিনি রীতিমতো মেল করলেন এবং চিঠি লিখলেন।তার চিঠিতে উল্লেখ ছিল প্রতি বছর ‘উরস পাক’ নামে মুসলমিদের এক উৎসবে বাংলাদেশ থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরে আসে এক বিশেষ ট্রেন।যা 1903 সাল থেকে এই বিশেষ ট্রেন পরিষেবা চালু করা হয়। উল্লেখ্য,বাংলাদেশের সেই সব মানুষ তীর্থযাত্রী হিসেবে উৎসবে যোগ দিতে চান কিন্তু টাকা খরচ করে আসতে পারেন না,তাঁদের জন্যই এই বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল,সেই রীতি এখনও চলছে।তবে এবার এলাকার মানুষজন চাইছেন,যেন বাংলাদেশ থেকে কোনও ট্রেন না আসে।প্রতি বছর প্রায় আড়াই হাজার মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষ আসেন এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে।বিজেপি নেতার আবেদন এবার ভারত সরকার যেন এই বিশেষ ট্রেন এই রাজ্যে প্রবেশ করার অনুমতি না দেয়।

এই নিয়ে এই বিজেপির সহ-সভাপতি শুভজিৎ রায় বলেন,”বাংলাদেশ নামক দেশটি 1971 সালে ভারতের সাহায্য নিয়ে তৈরি হয়েছিল তা বর্তমানে ভারতের বন্ধুর পরিবর্তে শত্রুর মতো আচরণ করছেন।বাংলাদেশের লোকজন তো বটেই,ওখানকার মৌলবাদীরা,সরকার সেনাপ্রধান একের পর এক বিদ্বেষ মূলক মন্তব্য করে বেড়াচ্ছেন এবং অত্যাচার করছেন ওখানকার সংখ্যালঘু হিন্দু ভাই-বোনদের উপর।তাই একসঙ্গে দুটো বিষয় চলতে পারেনা।এক সম্প্রীতিও থাকবে,আবার আক্রান্ত হবে তাও চলতে দেওয়া যেতে পারে না।তাই বিশেষ উৎসবে উরুষ উপলক্ষে যোগ দেওয়ায় ট্রেন অবিলম্বে বাতিল করার দাবি জানিয়ে আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,প্রতিবছর 4 ঠা ফাল্গুন এক বিশেষ ট্রেনে করে প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার বাংলাদেশী মানুষ আসে এই মেদিনীপুর শহরের জোড়া মসজিদের উরুষ মেলায় যোগ দিতে।যা দীর্ঘ বছর ধরে তারা আসছেন এ মেলায়।সেখানে তারা এসে কেনাকাটা করেন ধর্মীয় উপাসনা করেন এবং যাওয়ার সময় এই পশ্চিমবাংলা থেকে রকমারি মিষ্টি,হলুদ,জিরে,লঙ্কা কিনে বাড়ি নিয়ে ফিরে যান আবার সেই বিশেষ ট্রেনে। যা নিয়ে রীতিমত কয়েকদিন মেলা চলে এই মেদিনীপুর শহর ও জেলায়।


Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

dnews.in