
নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
ওড়িশায় নয়, এবার মেদিনীপুরেও সোনা চুরির অভিযোগ যুব মোর্চা নেতা নামে। ওড়িশায় ধৃত পশ্চিম মেদিনীপুরের বিজেপি যুব নেতার বিরুদ্ধে এ বার কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন এক গহনা ব্যবসায়ী। তাঁর অভিযোগ, ৮০ গ্রাম সোনা হাতিয়ে নিয়ে এখনও ফেরত দেননি বিজেপি যুব মোর্চার সম্পাদক সোমনাথ সাউ।

উড়িষ্যার পর এবার মেদিনীপুরেও সোনা চুরিতে নাম জড়ালো যুব মোর্চা নেতার।এরই সঙ্গে নাম জড়ালো সোমনাথ সহ আরো ৬ জন বিজেপি নেতার।মূলত কয়েক দিন আগে জলেশ্বরে একটি গয়নার দোকান থেকে প্রায় ১০০ গ্রাম সোনা চুরির অভিযোগে গ্রেফতার হন হবিবপুরের বিজেপি যুব মোর্চা নেতা সোমনাথ সাহু।এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়।এবার সেই সোমনাথের বিরুদ্ধে সোনা হাতানোর অভিযোগ করেছেন মেদিনীপুর শহরের এক স্বর্ণকার। তাঁর অভিযোগ অনুযায়ী,তিনি গত ২৮ জুন কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।তিনি তাতে লেখেন ‘‘সোমনাথের বাড়ি মেদিনীপুর শহরের হবিবপুর এলাকায়।২০২২ সালে পুরসভা নির্বাচনে মেদিনীপুরের ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে বিজেপির প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ওর স্ত্রী।তার আগে আমার কাছ থেকে ৯৬ গ্রাম সোনা নিয়েছিল সোমনাথ।সেই থেকে সোনাও ফেরত দেয়নি। টাকাও দেয়নি।

যত বার টাকা দেওয়া বা সোনা ফেরতের কথা বলেছি, তত বারই হুমকি দিয়েছে।’’সোমনাথ ছাড়াও আরও কয়েক জনের বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেন ওই ব্যবসায়ী।তিনি জানান,সোনা ব্যবসায়ী সংগঠনে বিষয়টি জানানোর পর ১৬ গ্রাম সোনা ফেরত পেয়েছেন।বাকি ৮০ গ্রাম সোনা আর ফেরত পাননি।চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে মহাতাবপুর এলাকায় তাঁকে এ নিয়ে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ।এই সব নিয়ে তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ইতিমধ্যে।এই বিষয়টি সামনে আসতেই আবার বিজেপি নেতৃত্বকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা। তিনি বলেন, ‘‘মাদকপাচার থেকে রাহাজানি, সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব। কুমন্তব্যে ব্যস্ত থাকেন বড় নেতারা। আর ছোট নেতারা ব্যস্ত চুরি-ডাকাতিতে। মানুষের সঙ্গে এই দলের কোনও যোগসূত্র নেই।’’

যদিও এক্ষেত্রে পাল্টা বিজেপি জেলা মুখপাত্র অরূপ দাস সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছে”ওড়িশায় একটি ঘটনা ঘটেছে। তাতে সেখানকার পুলিশ সোমনাথকে গ্রেফতার করেছে। আইন আইনের পথে চলবে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘মেদিনীপুরে একটি মিথ্যা মামলা করে বিজেপির ছয়-সাত জন নেতাকে জড়িয়ে তৃণমূল ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে।কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকতেই পারে। তার জন্য আইনি পথে বিচার হবে। অন্য নেতাদের নাম জড়ানো হচ্ছে কেন? তা ছাড়া সোমনাথ সাউয়ের সঙ্গে দলের দীর্ঘ দিন কোনও সম্পর্ক নেই।’’

যদিও অন্যদিকে জেলা পুলিশের এক পদস্থ আধি কারিক জানিয়েছেন, সোমনাথ-সহ মোট ৭ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ জমা পড়েছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’