TIEER Program:টিয়ার-এর উদ্যোগে জামডহরী গ্রামে হস্তশিল্প,স্থাপত্য ও ভাস্কর্য কলার প্রশিক্ষণ শিবির

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,ঝাড়গ্রাম:

গ্রামীণ সম্পদকে কাজে লাগিয়ে সুস্থায়ী গ্রামীণ উন্নয়নে অগ্রগতির পদক্ষেপ হিসেবে হস্তশিল্প, স্থাপত্য ও ভাস্কর্য কলার প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হলো ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনী ব্লকের ধড়সা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে জামডহরি গ্রামে।ট্রপিক্যাল ইনস্টিটিউট অব আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ (TIEER) পরিবেশ গবেষণা সংস্থার উদ্যোগে এবং শিক্ষা ও সংস্কৃতি, নারায়নগড় সৌজন্যে ও জামডহরি গ্রামের সহযোগিতায় এই বিশেষ কর্মসূচি।

মূলত গ্রামীণ প্রাকৃতিক সম্পদ কাঠ, বাঁশ এবং কুপন নদ ও ডুলুং নদীর পাথরের ভাস্কর্য,কারুকার্য এবং চিত্রকলা তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।বিশেষত কুপন নদীর বিভিন্ন পাথর খোদাই করে এবং চিত্রকলার মাধ্যমে জগন্নাথ দেবের মূর্তি বানানো শুভারম্ভ করা হয়।সেই সঙ্গে শ্লেট পাথরের উপর দীঘার জগন্নাথধাম ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের প্রতিকৃতি তুলে ধরা হয়।এই প্রতিকৃতি এবং জগন্নাথ দেবের ভাস্কর্য ও চিত্রকলা দীঘার জগন্নাথ ধামের বাজারে বিক্রয়ের বন্দোবস্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে সন্টু মাহাত,শ্রাবণী মান্ডি,বেবি মান্ডি,চন্দনি সরেন,প্রিয়া ঘোষ, অর্পিতা শীট ভাস্কর্য নির্মাণে ও চিত্রকলায় অংশগ্রহণ করে এবং প্রায় ২০টি মতো মূর্তি নিজেরা বানায়।এই শিবিরে প্রশিক্ষণ হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন জাতীয় ভাস্কর্য শিল্পী সুধীর মাইতি,শিবানী মাইতি, শুভ্রজ্যোতি মাইতি এবং নরসিংহ দাস।

সংস্থার সম্পাদক অধ্যাপক প্রণব সাহুর বিশেষ পরিকল্পনায় এই শিবিরের আয়োজন। তিনি উল্লেখ করেন গ্রামীণ প্রাকৃতিক সম্পদ, মানবিক সম্পদ এবং সাংস্কৃতিক সম্পদকে কাজে লাগিয়ে স্থিতিশীল গ্রামীণ উন্নয়ন ঘটানোই প্রধান লক্ষ্য। তিনি আরও বলেন‌ ৫বছর ধরে গ্রামটি দত্তক নেওয়া হয়েছে, যেখানে সুস্থায়ী কৃষি, মৎস্যচাষ, হাঁস-মুরগীর প্রতিপালন, ফলের বাগান গড়ে তোলা হয় এবং গ্রামীণ পর্যটন স্থান হিসেবে ২০২৪ সালে আত্মপ্রকাশ করে। এই বছরের ভাবনা স্থানীয় কুপন নদের পাথর কাজে লাগিয়ে শিল্পকলা গড়ে তোলা। গ্রামবাসীর তরফ থেকে দিলীপ মান্ডি বলেন – আজকের এই কর্মশালার মাধ্যমে আমাদের গ্রামে প্রায় ১৫ জন স্কুল পড়ুয়া ও কলেজ পড়ুয়া অংশগ্রহণ করে এবং গ্রামের প্রায় ১০ জন‌ গৃহবধূ ও গ্রামবাসী প্রশিক্ষিত হয়ে ওঠে।

এই কর্মশালার মাধ্যমে স্থায়ী অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সম্ভাবনা তৈরি হবে। গ্রামবাসী শিল্পী সন্টু মাহাত বলেন- নিঁখুতভাবে যেভাবে প্রশিক্ষিত করেছেন আমাদের শিল্পকলা ও ভাস্কর্য গড়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা পালিত হবে। টিয়ার সংস্থার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন কৃষ্ণা সাহু ও বিষ্ণুদ্যুতি গিরি।



Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

dnews.in