
নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে শেষ পর্যন্ত বেবি কোলে কে দল থেকে বাদ দিলো শাসকদল। এদিন একুশে জুলাই এর বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্ন শুনে দায় এড়ালেও শেষ পর্যন্ত যাওয়ার আগে জেলা সভাপতি কে নির্দেশ দিয়ে যান রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি।এদিন রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন রাজ্য সভাপতি নির্দেশ দিয়ে গেছেন এই অসামাজিক এবং অশালীন আচরণের জন্য বেবি কোলে কে দল থেকে নিষ্কাশিত করা হলো।

গলার কাঁটা যখন বেবি কোলে’।প্রশ্ন শুনেই সাংবাদিক এড়ালেন শাসক দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি যা নিয়ে নতুন করে চাঞ্চল্য জেলা জুড়ে।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সম্প্রতি খড়গপুরে একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মাধ্যম এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে।এই ভিডিও দেখা যায় খড়গপুরে ‘আমরা বামপন্থী’ র বয়স্ক নেতাকে প্রকাশ্যে জুতো দিয়ে মারছে তৃণমূলের এক নেত্রী।শুধু প্রকাশ্যে জুতো দিয়ে মেরে তিনি ক্ষান্ত হন নি।এরপর ওই নেতার গায়ে রং ঢেলে,জামা ছিঁড়ে রাস্তায় গড়াগড়ি খাইয়ে দেন। যদিও আতঙ্কিত এই বৃদ্ধ নেতা কে বাঁচাতে কেউই এগিয়ে আসেনি,কেবলমাত্র এই শাসকদলের নেত্রীর ভয়ে। এরপরই এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ হয়।সরব হন বিভিন্ন সমাজের মানুষজন।যদিও এই ঘটনায় দলীয় বিবৃতি দিয়ে শোকজের নির্দেশ দেয় তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা।তবে ঘটনার ৭ দিন কেটে যাবার পরও কোনরকম পুলিশের ব্যবস্থা নিতে দেখা গেল না এই তৃণমূলের দোদন্ড প্রতাপ নেত্রীর বিরুদ্ধে।

বাধ্য হয়ে এই বাম নেতা দ্বারস্থ হয় হাইকোর্টের।এই দিন মেদিনীপুর শহর জেলাতে প্রদ্যুৎ স্মৃতি সদনে একুশে জুলাই এর প্রস্তুতি সভা নিয়ে একটি বৈঠক ডাকা হয়।যেই বৈঠকের উপস্থিত হন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি ও সহ সভাপতি মজুমদার। সভা শেষে যখন তারা বেরিয়ে যাচ্ছিলেন সে সময় সাংবাদিকরা তাকে ঘিরে ধরে বেবি কোলে নিয়ে প্রশ্ন করলে কোন উত্তর না দিয়েই কার্যত একপ্রকার গাড়িতে উঠে চলে যান।শুধু যাওয়ার আগে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি একটি বাক্যে বলেন দল ব্যবস্থা নিচ্ছে। যদিও এরপরে সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারকে সাংবাদিকদের বলেন সুব্রত বক্সি যাওয়ার আগে একটি নির্দেশ দিয়েছেন।যে নির্দেশে বলা হয়েছে আজ থেকে বেবি কোলে কে দল থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হলো।কারণ হিসেবে তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন ওখানকার একটি বৃদ্ধ নেতাকে যেভাবে রাস্তায় জুতো দিয়ে মেরেছে আমাদের নেত্রী তাতে দলের মুখ পুড়েছে।

ওই বাম নেতার প্রতি অশালীন এবং অসামাজিক আচরণ করা হয় আমাদের নেত্রীদের দ্বারা।দল এই ঘটনায় তীব্র নিন্দার অধিকারও জানিয়েছে।পরবর্তীকালে তাকে শোকজ করা হয়।কিন্তু শোকজ মনঃপুত না হওয়ায় আজকে রাজ্য সভাপতি নির্দেশ দিয়ে যান বেবিকে দল থেকে বাদ দেওয়ার জন্য।সেই মতো তাকে আজ থেকে দল থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হলো।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এদিন একুশে জুলাই এ কে কেন্দ্র করে একটি দলীয় বৈঠক ডেকেছিল জেলা তৃণমূল।যেখানে তৃণমূলের বিধায়ক,সাংসদ,মন্ত্রী সহ উপস্থিত হয়েছিলেন কাউন্সিলর ও ব্লক সভাপতিরা।এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না এই মারধর করা নেত্রী।এদিন স্বভাব সিদ্ধ ভাষায় বক্তব্য রাখেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা।