
মেদিনীপুর 18 ই সেপ্টেম্বর:
পুজোর মুখে দপ্তরেই অবস্থানে বসলেন PHE কনট্রাক্টররা।তাদের অভিযোগ জল জীবন মিশন,পানীয় জলের মেইনটেন্স পেমেন্ট, বন্যা ও খরা সহ নানাবিধ কাজে জল যোগানের টাকা বকেয়া রয়েছে,বকেয়া রয়েছে ২০২৪ সালে ইলেকশনের টাকা।তার পরিণাম প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা।তাছাড়া নতুন করে বিল হয়েছে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা।অবিলম্বে সেই বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়ার আবেদন করেন তারা।তার দাবিতেই কয়েক ঘণ্টা শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভে অনড় থাকেন তারা।

জল জীবন মিশন সহ অন্যান্য কাজের দীর্ঘ বকেয়া পেমেন্ট এর দাবীতে অবস্থান বিক্ষোভ PHE সাব ডিভিশন দপ্তরে।এই দিন PHE কনট্রাক্টরস ইউনিট আন্ডার (মেদিনীপুর ডিস্ট্রিক্ট কনট্রাক্টরস
অ্যাসোসিয়েশন)নেতৃত্ব দেন অজিতেশ আচার্য, দীপক কুমার দৌলই,সুব্রত দাস সহ প্রায় ৪০ জন কন্ট্রাক্টারস। মূলত বছর দেড় দুয়েক ধরে রাজ্যের জনজীবন মিশন,পানীয় জলের মেইনটেন্স পেমেন্ট,বন্যা ও খরা সহ নানাবিধ কাজে জল যোগানের টাকা বকেয়া রয়েছে। বকেয়া রয়েছে ২০২৪ সালে ইলেকশনের টাকা। এই টাকার পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি। এছাড়াও নতুন বিল হয়ে রয়েছে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার। যা জমা দেওয়ার অপেক্ষায়। এই টাকা না পেয়ে প্রায় শতাধিক কন্ট্রাক্টরস এবং এর সঙ্গে জড়িত প্রায় দশ হাজার কর্মী আর্থিক সংকটে পড়েছেন। অনেকেই নানা রোগে জর্জরিত,জোগাড় করতে পারছেন না চিকিৎসার খরচা।

পুজো সামনে অথচ নতুন পোশাক কিনতে পারছেন না আর্থিক কারণে।এইসব কারণ নিয়ে এবার তারা শান্তিপূর্ণ অবস্থানে বসলেন এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার এর অফিসের ভেতরে।যদিও বকেয়া টাকার দাবি-দাওয়া নিয়ে ইতিমধ্যে রাজ্য কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছেন এই এসোসিয়েশনের সদস্যরা। যদিও এই সকল দাবি দাওয়া না মেনে নেওয়া হয় এবং বকেয়া টাকা না দেওয়ায় আগামী ২২,২৩ ও ২৪শে সেপ্টেম্বর লাগাতার বিক্ষোভ অবস্থান চালিয়ে যাবেন তারা বলে দাবি করেন এইদিন।

এই নিয়ে কন্ট্রাক্টর দীপক কুমার বাকলি বলেন,”প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি টাকার মতন বকেয়া টাকা ফলে আমরা আর্থিক সংকটে পড়েছি।এছাড়া ২৪ এর ইলেকশনে প্রচুর টাকা বাকি রয়েছে আমাদের। পাশাপাশি নতুন করে প্রায় 300 কোটি টাকা বিল জমা হয়ে গেছে। আমাদের মধ্যে অনেকেই এমন আর্থিক সংকটে ভুগছেন যে তারা তাদের চিকিৎসা চালাতে পারছেন না এই বকেয়া টাকার জন্য। তাই আমরা আজ অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হয়েছি আমাদের দাবি দাওয়া পূরণে।

যদিও এই নিয়ে এই দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার
অরুণ কুমার হালদার বলেন,”এনাদের অভিযোগ একদম সত্যি।বকেয়া টাকা দিয়ে গিয়েছে অনেক।তবে খুব তাড়াতাড়ি সেই টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে।পাশাপাশি তিনি এও বলেন কেন্দ্রের টাকা আটকে দেওয়া অনেকাংশে বকেয়া টাকা না দেওয়ায় কারণ ও হতে পারে।আমরা ওপর মহলে জানিয়েছি খুব দ্রুত সমস্যা মিটিয়ে ফেলা হবে।