Redio Repair:যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ফের বাড়ছে নস্টালজিয়া রেডিওর চাহিদা!মহালয়ার আগে বয়স্কদের ভিড় রেডিও সারাই এর

Share

মেদিনীপুর 20 ই সেপ্টেম্বর:

যুগের সাথে তালে তাল মিলিয়ে ফের বাড়ছে রেডিওর চাহিদা।নস্টালজিয়া রেডিও ফের আনতে চলেছে তরুণ প্রজন্ম।তবে বয়স্কদের এখনো ভরসা তাদের সেই পুরনো দিনের নব ঘোরানো রেডিও।এরকমই ছবি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার আনাচে-কানাচে।এদিন খাওয়া-দাওয়া ভুলে রেডিও সারানোর কাজ চলেছে জোর কদমে কারিগরদের।

আর কয়েকটা দিনের অপেক্ষা,এরপরই বাংলা আর বাঙালি মেতে উঠবে তাদের সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পুজোর।এই কটা দিন আপামর বাঙালি মেতে থাকে এই দুর্গাপুজোয়।দুর্গাপুজোর ঠিক কয়েকদিন আগে হয়ে থাকে মহালয়া।রাত ফুরোলেই সেই মহালয়া শুনবে আপামর ভারতবাসী।তৎকালীন সময়ে মহালয়ার চণ্ডীপাঠ শোনার একমাত্র ভরসা ছিল রেডিও।যুগের সাথে তালে তাল মিলিয়ে বেড়েছে স্মার্টফোন ও স্মার্ট টেলিভিশনের চাহিদা।তবে আজও বয়স্ক মানুষেরা মহালয়ার আগে রেডিওর দোকানে ভিড় জমান রেডিও সারিয়ে নেওয়ার জন্য।মহালয়াতে রেডিওর মাধ্যমে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে সেই চন্ডীপাঠ শুনতে শ্রুতি মধুর লাগে দাবি মধ্য বয়স্কদের।তাইতো মহালয়ার আগে সেই রেডিও সারিয়ে নিচ্ছেন বয়স্করা। প্রসঙ্গত,একসময় রেডিওর উপর ভরসা করা মানুষ মোবাইল এবং টেলিভিশনের দাপটে চাহিদা কমিয়ে দিলেও ফের নতুন চাহিদা তরুণ প্রজন্মের।

বর্তমানে এন্ড্রয়েড মোবাইলের সঙ্গেই রেডিও সংযুক্ত করা হয়েছে,এর সঙ্গেই এখন ডিজিটাল রেডিও এসে গেছে মার্কেটে।সেই নতুন ধরনের ডিজিটাল রেডিও কিনছে তরুণ প্রজন্ম।এছাড়াও যারা বয়স্ক তারা আঁকড়ে ধরেছেন নস্টালজিয়া সেই পুরোনো দিনের রেডিও।এদিন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল,চন্দ্রকোনা,দাসপুর,কেশপুর অন্যদিকে খোদ মেদিনীপুর ডেবরা খড়গ পুর সবং সহ ভিন্ন ভিন্ন এলাকায় দেখা গেল সেই রেডিও কেনা এবং সারানোর প্রস্তুতির ছবি।কারণ এই রেডিও সারিয়ে তারা মহালয়া শুনবেন। তবে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কমেছে রেডিও সারাইয়ের কারিগরের।তবে মহালয়ার ঠিক আগে বাড়িতে ধূলো পড়া রেডিও ঝেড়ে মুছে তা সারাইয়ের জন্য দোকানে দিয়ে আসেন এখনও বয়স্করা।

যদিও মোবাইল বা টেলিভিশনে অভ্যস্ত নয় এখনও মহালয়া শোনার জন্য রেডিওয় কান পাতে অনেকেই।তাই মহালয়ার আগে গ্রাহকদের আবদারে এ’কদিন রেডিও সারাইয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন ইলেকট্রনিকস দোকানের কারিগরেরা।

এই বিষয়ে রেডিও কারিগর স্বপন ঘোষ বলেন,”দীর্ঘ বছর ধরে রেডিও সারাই করে আসছি আমি।আগেও যেমন রেডিও সারিয়েছি,এখনো রেডিও সারাচ্ছি।তবে সংখ্যাটা কমে গেছে কিন্তু এখন দেখছি আবার নতুন তরুণ প্রজন্ম ডিজিটাল রেডিও কেনার দেখে ঝোঁক বাড়িয়েছে। আমরা চাই নস্টালজিয়া রেডিও আবার ফিরে আসুক এবং বজায় থাকুক এই সমাজে।তবে বয়স্করা আঁকড়ে রেখেছে তাদের পুরনো নস্টালজিয়া রেডিও,যা তারা সারাতে হাজির হন এই মহালয়ার সময়।

রেডিও সারাতে আসা গ্রাহক রাজেন দিন্দা বলেন,”রেডিওর চাহিদা কমেনি বরং বেড়েছে। তবে মহালয়ার সময় সবাই তা আগেই সারিয়ে নেয় রেডিওগুলো কারণ সাউন্ড স্পষ্ট শোনার জন্য।তবে আগেকারের দিনের সেই চাহিদা হয়তো আজ নেই কিন্তু তরুণ প্রজন্ম যেন আবার নতুন করে খুঁজে নিচ্ছে তাদের রেডিও।আমি আমার রেডিও আঁকড়ে রেখেছি দীর্ঘ বছর ধরে।”

অন্যদিকে রেডিওর গ্রাহক সুবীর প্রামাণিক বলেন, “রেডিওর একটা চাহিদা যেন রয়েই গেছে সমাজে।এখন তো মোবাইলের সঙ্গেও রেডিও কে অ্যাড করে দেওয়া হয়েছে।সেই সঙ্গে নতুন তরুণ প্রজন্ম ডিজিটাল রেডিও কেনার ঝোঁক বেড়েছে।আমরা চাই নস্টালজিয়া রেডিও কোন ভাবে যেন সমাজ থেকে হারিয়ে না যাক তবে এই সারানোর প্রবণতা কেবলমাত্র মহালয়ার আগেই দেখা যায়।”



Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

dnews.in