
নারায়নগড় 22 সে সেপ্টেম্বর:
প্রতি বছরই তিনি নতুনত্ব প্রতিমা তৈরি করেন এবারও তার ঘাটতি নেই।তবে তার প্রতিমাই নেই কোন মাটি খড়।শুধু মাত্র বাঁশ দিয়ে তৈরি হয় করে ফেললেন আস্ত প্রতিমা। একটা দুটো নয় চার চারটে প্রতিমা তৈরি করে ফেলেছেন এই শিল্পী।পূজা মণ্ডপে শোভা পাবে এই পরিবেশবান্ধব দুর্গা প্রতিমা, যা মানুষকে নতুন বার্তা দেবে “শিল্পে থাক পরিবেশের ছোঁয়া।”

বাঁশ,আখের ছিবড়া, কাঠের চামচ সহ একাধিক সরঞ্জামে থিমের ছোঁয়ায় চার রকমের অভিনব দুর্গা প্রতিমা শিল্পীর।নজর কাড়ছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের শিল্পী পবন দে।মূলত মহালয়া শেষ হতেই পুজো যতই এগিয়ে আসছে, ততই শেষ প্রস্তুতি সারছেন শিল্পীরা। পশ্চিম মেদিনীপুরের এক মৃৎশিল্পী পবন দে শিল্পী নিজস্ব চিন্তা-ভাবনায় থিমের ছোঁয়া এনে তৈরি করছেন একাধিক অভিনব দুর্গা প্রতিমা।তার দুর্গা বাঁশের।শুধুমাত্র অলংকার নয়, সম্পূর্ণ একটি দুর্গা প্রতিমা তিনি গড়ে তুলেছেন বাঁশ দিয়ে। এছাড়াও আখের ছিবড়া, কাঠের চামচ, মালাইকাট সুতো সহ প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি তার প্রতিমা।প্রতিমার অলংকার থেকে শরীরের আবরণ সবই তৈরি হচ্ছে শিল্পীর হাতে।বাঁশ দিয়ে তৈরি এক দুর্গা প্রতিমার সারা শরীর মুড়ে দেওয়া হয়েছে পাতলা বাঁশের আস্তরণ দিয়ে।প্রতিটি অলংকারও তৈরি করা হয়েছে বাঁশ দিয়ে,যা নিপুণ শিল্পকর্মের নিদর্শন।

এছাড়াও রূপালি ও সোনালী মালাই কট সুতোর ব্যবহার করে দুটি চমকপ্রদ ও চোখ ধাঁধানো প্রতিমা তৈরি করছেন তিনি।সব চেয়ে নজরকাড়া প্রতিমা হলো ফেলে দেওয়া আখের ছিবড়ে ও কাঠের চামচ দিয়ে তৈরি প্রতিমা যা থিমের দিক থেকে একেবারে অভিনব। এই শিল্পীর মোট চারটি প্রতিমা এবার জেলার বিভিন্ন মণ্ডপে পুজোয় স্থান পাবে। শিল্পীর বিশ্বাস, তার কঠোর পরিশ্রম ও সৃজনশীলতা মানুষকে আনন্দ দেবে এবং নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করবে পুজোর শিল্পচর্চায়।

শিল্পী পবন দে জানান, প্রতিবছরের মতো এবারও এই অভিনব প্রতিমা গুলির অর্ডার আগেই পেয়ে গেছেন। সারা বছর ধরে এই থিমের উপর ভিত্তি করে তিনি তার শিল্পকর্ম চালিয়ে যান।এই কাজের পিছনে রয়েছে তার পরিবার ছেলে পবিত্র দে,স্ত্রী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।সবসময় তার পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতা করে আসছেন।

এই অভিনব ভাবনায় এবার জেলার একাধিক পূজামণ্ডপে শোভা পাবে পরিবেশবান্ধব দুর্গা প্রতিমা, যা মানুষকে নতুন বার্তা দেবে “শিল্পে থাক পরিবেশের ছোঁয়া।”