
বার্জটাউন 27 সে সেপ্টেম্বর:
বার্জ টাউন সর্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতির ৭৯ তম বর্ষে ২০ লক্ষ খরচা করে এবারের থিম চলচ্চিত্র জগতের হারিয়ে স্মৃতি।পুজো উদ্বোধনের পরেই মন্ডপে ভিড় জমিয়েছেন দর্শকরা।এই মন্ডপে হারিয়ে যাওয়া অভিনেতা অভিনেত্রী সহ নস্টালজিয়া ক্যাসেট,রিল,রেডিও,ভিসিপি,ডিভিডি দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে।পুজো উদ্বোধনের পরেই লেগেছে দর্শকদের ভিড়।

মেদিনীপুর শহর জেলার অন্যতম পুজো কমিটি বার্জ টাউন সর্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতি।এবারের থিম নস্টালজিয়া সিনেমা জগতের স্মৃতি।যা নজর কাড়বে জেলাবাসীর বলে মত উদ্যোক্তাদের।মূলত ১৯৭০-৮০-৯০ এর দশকে একসময় যাদের হাতে এন্ড্রয়েড মোবাইল ছিল না,ছিলনা ডিজিটাল মাধ্যম তাদের কাছে টেপ রেকর্ডার,ডিভিডি ভিসিআর,ভিসিপি সেই সঙ্গে দূরদর্শন দেখার ব্যাপারটা দুর্লভ ছিল।আট থেকে আশির মানুষের মধ্যে এই সিনেমা জগতের প্রতি আকর্ষণ চিরকাল।তারা ক্যাসেট ডিভিডি ব্যবহার করতো শুধুমাত্র তাদের শখ পূরণ করার জন্য এবং সেই সঙ্গে তাদের প্রিয় শিল্পীদের এবং অভিনেতা-অভিনেত্রীদের গান শোনা এবং সিনেমা দেখার জন্য।তৎকালীন সময়ে এন্টেনা দিয়ে রেডিওর ব্যবস্থা।মানুষের হাতে অতটা টাকা ছিল না যে প্রত্যেকে তার নিজের ঘরে টিভি রেকর্ডার বা এই ধরনের ভিসিডি কিনে রাখবে বরং তারা ভাড়া দিয়েও দেখতো সে সব সিনেমা টিভি টেপ রেকর্ডার।

আস্তে আস্তে সময় গেছে বদলে এখন ডিজিটাল যুগ প্রত্যেকের হাতে এন্ড্রয়েড মোবাইল আর অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের দৌলতে সেকেন্ডে কচিকাঁচা থেকে টিনেজ এবং বয়স্করা অতি সহজেই তাদের অভিনেতা অভিনেত্রীদের গান শুনছেন ও দেখছেন।মুখে বললেই চলে আসছে তাদের প্রিয় অভিনেতা অভিনেতাদের গান এবং ভিডিও। কিন্তু গ্রামোফোনের মধ্যে দিয়ে পুরানো সেই স্বাদ,সেই ইচ্ছে সেই চাওয়া পাওয়া এখনো অধরা রয়েছে আজকের দশকের প্রজন্মের কাছে।অতি কষ্টে করে পাওয়া সেই সংগীত এখনো মনে করায় বর্তমান বয়স্ক সহ তরুণদের। তাই সেই নস্টালজিয়া সিনেমার জগৎকে তুলে ধরতেই বার্জ টাউন দুর্গোৎসব সমিতির এবারের থিম স্মৃতি। এই বছর ৮৯ তম বর্ষে প্রায় কুড়ি লক্ষ টাকা খরচা করে মন্ডপ ও প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে যার আনাচে-কানাচে রয়েছে সুচিত্রা সেন,সত্যজিৎ রায়,উত্তম কুমার সহ হারিয়ে যাওয়া বিভিন্ন অভিনেতা অভিনেত্রী সহ ভিসিডি, ডিভিডি রেডিও।যদি ওই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় কি পরিমান দর্শক ভিড় করবে সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে উদ্যোক্তারা।তবে বৃষ্টি থামলেই বাড়ির লোকের সঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়েছে শহর ও জেলার মানুষ।

এ বিষয়ে ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক দেবব্রত চক্রবর্ত্তী বলেন,”কাল পর্যন্ত চলচ্চিত্র জগতে যাদের হারিয়েছি বা যা যা হারিয়েছে সেই সব জিনিস দিয়ে আমাদের এই ৭৯ তম বর্ষে পুজোর মণ্ডপ ও প্রতিমা।আমরা ১৯৭০-৮০ দশকের সেই ক্যাসেট,রেডিও ভিডিও প্লেয়ার রেখেছি।আজকের এন্ড্রোয়েড যুগে এত সহজ লভ্য ছিল না সিনেমা দেখা তখন কার দিনে।এই ঝড় জলের মধ্যেও আমরা মণ্ডপ ফুটিয়ে তুলেছি দর্শকদের জন্য।