
মেদিনীপুর 30 সে সেপ্টেম্বর:
তাহলে কি এবার দিন ফুরোচ্ছে ফোটোশপের? আগামী দিনে কৃত্রিম মেধা বা AI দিয়েই তৈরি হবে সমস্ত ছবি? মার্কিন টেক জায়ান্ট সংস্থা গুগ্ল বাজারে ‘ন্যানো বানানা’ নামের একটি প্রযুক্তি নিয়ে আসার পর এই নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে জল্পনা।চোখের নিমেষে অবিকল প্রতিমূর্তি তৈরি করে দিচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।যার ফলে অনেকেই বলতে শুরু করেছেন যে এ বার কালের গর্ভে হারিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে ফোটোশপের।ঠিক যেমন করে স্মার্টফোন আসায় প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে অ্যালার্ম ঘড়ি, ক্যালকুলেটর বা ফ্যাক্স মেশিন।

জেমিনি নিয়ে সোশ্যাল মাধ্যমে সম্প্রতি ব্যাপক মাতামাটি কারণ অবিকল দেখতে বানিয়ে ফেলছে যে কোন মানুষের।যার ফলে আগামী দিনে এডিটিং সফটওয়্যার ফটোশপের দূরত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মূলত মার্কিন টেক জায়ান্ট গুগ্লের এআই ফিচারটির নাম ‘জেমিনাই’। এরই ছবি নির্মাণকারী টুলের নাম ‘ন্যানো বানানা’। সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিটি এখনই ফোটোশপের মতো শক্তিশালী সফট্অয়্যারকে পুরোপুরি গিলে খেতে পারবে কি না, তা নিয়ে গ্যাজেট বিশ্লেষকদের মনে বেশ সন্দেহ রয়েছে। এর নেপথ্যে একাধিক কারণের কথা বলেছেন তাঁরা।কৃত্রিম মেধাকে ব্যবহার করে ছবি বা ভিডিয়ো তৈরি করা কিন্তু সাম্প্রতিক অতীতে শুরু হয়েছে, এমনটা নয়। যদিও সেগুলির সঙ্গে ‘ন্যানো বানানা’র বেশ পার্থক্য আছে। এত দিন ছবি নির্মাণের ক্ষেত্রে কোনও ব্যক্তির হুবহু প্রতিবিম্ব তৈরি করতে পারত না এআই। সামান্য হলেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে কিছুটা পাল্টে দিত সে।

আর একই ছবিকে বার বার নির্মাণ করলে একটা সময়ে মূল প্রতিবিম্বের চেয়ে অনেকটাই পৃথক হত কৃত্রিম মেধার সৃষ্টি।বিশেষজ্ঞদের দাবি, এখানেই অন্য এআই টুলগুলির চেয়ে একেবারে আলাদা ‘ন্যানো বানানা’। কোনও ব্যক্তির ছবি থেকে হুবহু একই রকমের প্রতিবিম্ব তৈরি করে দিচ্ছে এই কৃত্রিম মেধা। তবে খুঁটিয়ে লক্ষ্য করলে সেখানেও বেশ কিছু ভুল খুঁজে পাবেন গ্রাহক। সেগুলি মেরামত করতে ফোটোশপের প্রয়োজন হবে। তবে যে ভাবে এই প্রযুক্তি দিন দিন এগোচ্ছে, তাতে সত্যিই কত দিন আর ফোটোশপের দরকার পড়বে, তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।

তাহলে কি AI এর দৌলতে আগামী দিনে হারিয়ে যাবে এই এডিটিং সফটওয়্যার গুলো! রইল একাধিক প্রশ্ন