
চাঙ্গুয়াল 11 ই অক্টোবর:
এলাকায় উন্নয়নের কাজ না পাওয়া নিয়ে অঞ্চল অফিসে মারপিট।অভিযোগের পাল্টা অভিযোগ।এই ঘটনায় ভেঙে পড়েন তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান।তিনি জোড় হাত করে কাঁদতে কাঁদতে কাজের অব্যহতি চান।অন্যদিকে এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মাধ্যমে পোস্ট করে কটাক্ষ করেন রাজ্জ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর।

পঞ্চায়েত অফিসেই তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের মুখে কালি,জুতো দিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠল খোদ তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে।যা নিয়ে সোরগোল খড়গপুর জুড়ে। ঘটনাক্রমে জানা যায় খড়গপুর ২ নম্বর ব্লকের চাঙ্গুয়াল অঞ্চল অফিসে শুক্রবার বিকেলে জেনারেল বডি মিটিং ছিল। ঘটনার সূত্রপাত সেই মিটিং এর মধ্যেই।সেই মিটিং শুরু হওয়ার আগেই সুজাতা দে নামে তৃণমূল কংগ্রেসের এক পঞ্চায়েত সদস্যা তার কাজ টা হবে কি না? এই প্রশ্ন করাতেই শুরু হয় গন্ডগোল ও হাতাহাতি।এই বিষয়ে ওই পঞ্চায়েত সদস্যের অভিযোগ,তাদের দলের প্রধান কে জিজ্ঞাসা করি ,”আমার কাজ হয়েছে কি না?সেই কাজ নিয়ে পঞ্চায়েতের সঙ্গে প্রধানের কথা হতে হতেই ওই প্রধান দিপালী সিং তাকে প্রথমে মারধর করে পরে মুখে কালি ছিটিয়ে দেয়।

এই ঘটনার পরই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে অঞ্চল অফিসে গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য সুজাতা দে। এই ঘটনা আশেপাশে ছড়িয়ে পড়তেই মহিলা তৃণমূল কর্মীরা পঞ্চায়েত অফিসের ভেতরে ঢুকে অঞ্চল প্রধানকে ধরে মারধোর করে তাঁর জামা ছিড়ে দেয় পাল্টা অভিযোগ করেন অঞ্চল প্রধান দিপালী সিং।তাঁর মুখে কালি মাখিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ দিপালীর।এরপরই গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ের ভেতরেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। যদিও এরপরে দিপালী সিং কাঁদতে থাকেন এবং জোড়হাত করে বলেন তাকে তার কাজ এবং পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক।সূত্র অনুযায়ী এরপরই খড়্গপুর লোকাল থানার পুলিশ ও খড়গপুর ২ নম্বর ব্লকের জয়েন্ট বিডিও পৌঁছায়।যদিও খড়গপুর ২ নম্বর ব্লকের জয়েন্ট বিডিও এই ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।অন্যদিকে এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মাধ্যমে পোস্ট করে কটাক্ষ করেন রাজ্জ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এই বিষয়ে পঞ্চায়েত প্রধান দিপালী সিং বলেন,”অফিসে আমি বসে ছিলাম অন্যান্য পঞ্চায়েত সদস্যদের সাথে।সে সময় আমাদের দলেরই পঞ্চায়েত সদস্য সুজাতা দে পরিকল্পনামাফিক অফিসে ঢুকে পড়েন এবং তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন এই কাজটা কেন আমাকে দেওয়া হয়নি!এরপরই কিছু বলার আগে উনি কালি আমার গায়ে মুখে লাগিয়ে দেন।

যদিও পাল্টা ওই পঞ্চায়েত সদস্য সুজাতা দে বলেন, “আমি ভেতরে গিয়ে ওনাকে জিজ্ঞেস করি আমার কাজ টা রেজুলেশনে উঠবে কি না।এরপর উনি আমার বক্তব্য শেষ হতে না হতেই পাশে রাখা একটি ফুলের টব দিয়ে মাথায় মেরে দেন।এরপর উনি আমার মুখে গায়ে কালি লাগিয়ে দেন।সেই সঙ্গে নিজের গায়ে ও মুখে কালি লাগান।তারপর সব মিথ্যে কথা বলছেন।

এই বিষয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন,”তৃণমূল দল শুধুমাত্র আদিবাসী মুলবাসী সাংসদ খগেন মুর্মুকে রক্তাক্ত করে ক্ষান্ত নেই,নিজের দলের তফসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের এক মহিলা পঞ্চায়েত প্রধান কে খড়গপুর ২ নং ব্লকের চাঙ্গুয়াল গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে হেনস্থা করতে ছাড়ছে না।সবাই ভিডিওটা দেখুন আর তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের আর্তি শুনুন….
যারা মা মাটি মানুষের কথা বলে ক্ষমতায় এসেছিল আজ তাদের হাতেই বাংলার মাতৃশক্তি লাঞ্ছিত, অপমানিত…”