Kartick Pujo: 39 বছর ধরে দাদা কার্তিক কে আঁকড়ে সিনহা পরিবার!বড়দা’র জন্মদিনে কেক,চকলেট ব্যাট আর বল

Share

বিধাননগর 18 ই নভেম্বর:

যেই সময় কার্তিকের এত চল ছিল না সেই সময় থেকে পরিবারের বড় ছেলের মত পুজো করে আসছে বিধান নগর সিনহা পরিবারে।প্রায় ৩৯ বছরে পদার্পণ দাদার পুজোতে ফলমূল নৈবেদ্য সহকারে দেওয়া হয় এগলেস কেক।প্রতিবছর এই পুজোতে ভিড় জমান পাড়া প্রতিবেশীরা।

এ কার্তিকের শুধু পুজো হয় না,তার সঙ্গে কেক কেটে পালন করা হয় জন্মদিন!এরকমই ছবি মেদিনীপুর শহরে বিধান নগর এলাকার সিনহা পরিবারের।মূলত মেদিনীপুরে সিনহা বাড়ির ৩৯ বছরের কার্তিক পূজা। প্রতি বছরের মতো এবছরও মেদিনীপুর শহরের বিধান নগরের সিনহা বাড়ির কার্তিক পূজা হলো বেশ জমকালো ভাবে।শহরের বিধান নগর জে টুয়েন্টি সেভেনের “বৃষ্ণি” বাড়িটি এবারও সেজে উঠেছিল কার্তিক পূজা উপলক্ষ‍্যে।এবার ছিল এই পূজার ৩৯ তম বর্ষ। পরিবার সূত্রে জানা যায় এই বাড়িতে পূজার সূচনা হয় বাড়ির বড় মেয়ে ত্রিনেত্রীর জন্মের তিন বছর আগে ১৯৮৭ সালে। বাড়ির কর্তা-গিন্নি দুর্গা প্রসাদ সিনহা ও মৈত্রেয়ী সিনহার দাম্পত্য জীবনের চতুর্থ বছরে কার্তিক পূজার আগের রাতে আত্মীয়, বন্ধু-বান্ধবদের কেউ তাঁদের বাড়ির সামনে কার্তিক রেখে যান। সাধারণ গৃহস্থ বাড়িতে ফেলে যাওয়া কার্তিক পূজা সাধারণত পরপর তিন বছর করার পর শেষ যায়।

কিন্তু সিনহা বাড়িতে সেই চালু হওয়া পূজা চলছে এখনো নিষ্ঠা সহকারে। গৃহে সন্তান জন্মানোর কামনায় এই বাড়িতে শুধু হওয়া কার্তিক পূজার “কার্তিক ঠাকুর”কে বাড়ির দুই বোন ত্রিনেত্রী ও সিবেলী ‘বড় দাদা’ বলে মানেন। এই বাড়ির কার্তিক পুজো পর ফেলা হয় না বাইরে।এই কার্তিক ঠাকুরের বিসর্জন হয় নিয়ম মেনে।প্রতিবারেই পূজায় ভীড় জমান আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া প্রতিবেশীরা। তবে কালের গর্ভে আস্তে আস্তে দুই মেয়ে বড় হয়ে ওঠে এবং কাজের সূত্রের দুজনেই জেলার বাইরে চলে যায়। তবে এ বিশেষ দিনটিতে ছুটে আসেন দুজনে।বড় মেয়ে ত্রিনেত্রী ইতিমধ্যে কন্যা সন্তানের মা। তবে এবারও পুজোর কোনো ক্ষেত্রে খামতি রাখেননি তারা।একদিকে যেমন সন্দেশ বিভিন্ন ফল মূল নৈবিদ্য সহকারে পুজোর আয়োজন করেছেন অন্যদিকে তার জন্মদিনে বিশেষ কেক,রকমারি চকলেট খেলার ব্যাটবল,খেলার সরঞ্জাম দিয়েছেন ভেট হিসাবে।পুজো হল জাঁকজমক সেই সঙ্গে প্রদীপ জ্বেলে,পটকা ফাটিয়ে আতশবাজির রোশনাই মেতে ওঠলো পরিবারের লোকজন।

এ বিষয়ে বাড়ির মেয়ে ত্রিনেত্রী সিনহা বলেন,”কার্তিক পুজো আসলে বাচ্চাদের পূজো বলে আমরা মনে করি, বাবা-মা তখন পুজোটা শুরু করে এখন আমি এবং আমার পরিবার তারাও একইভাবে পুজো করে আসছি। শুধু ফলমূল দেওয়া হয়েছে তা নয় তার সঙ্গে তার জন্মদিন হিসেবে কেক,বিভিন্ন ধরনের চকলেট,দাদার খেলার ব্যাট বল দেওয়া হয়েছে। যতদিন পারবো দাদার পুজো করে যাব এই ভাবে।”

অন্যদিকে বাড়ির কুল পুরোহিত রামাশীষ মুখোপাধ্যায় বলেন,”যে সময় এ পুজোর প্রচলন এ বাড়িতে হয় সে সময় কার্তিক পূজার এত চলছিল না।তাছাড়া কার্তিককে শুধুমাত্র পুজো করা হতো কিন্তু এই সিনহা পরিবার তার ছেলের মতন পুজো করে আসছে।এমনকি তার তাকে ভেট হিসেবে কেক সেই সঙ্গে খেলার ব্যাট বল দেওয়া হয়,দেওয়া হয় বিভিন্ন ভ্যারাইটি চকলেট।


Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

dnews.in