
শালবনী 28 সে নভেম্বর:
অবশেষে বহু প্রতীক্ষিত রানী শিরোমনির বিশ্রামাগারের শিলান্যাস করলেন সাংসদ। প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা খরচা করে এই বিশ্রামাগার গড়ে তোলা হচ্ছে আগত পর্যটকদের একটু জিরিয়ে নেওয়ার জন্য। এই দিন এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মেদিনীপুরের সাংসদ জুন মালিয়া এর শিলান্যাস করেন।

কিছুদিন আগেই শালবনী ব্লকের অন্তর্গত কর্নগড় মা মহামায়া মন্দির সংলগ্ন রানী শিরোমনি গড়ে সংস্কারের কাজ চলাকালীন মাটি সরাতেই রানী শিরোমনির গড়ে হাওয়ামহল সহ একাধিক ঐতিহাসিক স্থাপত্য উঠে আসে।এরপর হেরিটেজ কমিশনের তরফ থেকে এগুলো সংস্কার এবং সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।এবার কর্ণগড় মা মহামায়া মন্দিরের সন্নিকটে রানী শিরোমনির নামাঙ্কিত একটি বিশ্রামাগার নির্মাণের শিলান্যাস হলো এদিন।মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ জুন মালিয়ার সাংসদ তহবিল থেকে এই প্রকল্পের জন্য ৪০ লক্ষ টাকা এবং পঞ্চায়েত সমিতির নিজস্ব তহবিল থেকে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা মোট ৪৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে এই প্রকল্পের জন্য।

শালবনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নেপাল সিংহ জানান,’ এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি, এবং মন্দিরে আগত ভক্তবৃন্দ ও পর্যটকদের সুবিধার জন্য মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ জুন মালিয়ার তহবিলের সহযোগিতায় এই কার্যের জন্য শালবনী ব্লক এবং শালবনী পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে এই কার্য সম্পাদিত হলো।আজ এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এটার শিলান্যাস করেন সাংসদ জুন মালিয়া সেই সাথে তিনি মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রানী শিরোমণি গড়ে হেরিটেজ কমিশনের উদ্যোগে আড়াই কোটি টাকা ব্যয় করে যে সংস্কার কাজ চলছে তা পরিদর্শন করেন।সাথে ছিলেন শালবনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নেপাল সিংহ,এম কে ডি এর ভাইস চেয়ারম্যান প্রদ্যুৎ ঘোষ, মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান,শালবনী ব্লকের বিডিও সাহেব রোমান মন্ডল,আই সি সৌরভ ঘোষ,পিপলস কোঅপারেটিভ ব্যাংকের চেয়ারম্যান আশীষ চক্রবর্তী। মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক সন্দীপ সিংহ সহ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষরা।

সেই সঙ্গে ব্লকের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রধান গণ,মহামায়া সেবা সমিতির কর্মকর্তাগণ, এবং স্থানীয় এক হাজারের বেশি সাধারণ মানুষ।পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে আগামী তিন মাসের মধ্যে বিশ্রামাগারের কাজ সম্পন্ন হবে। তারপর তা সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হবে |