Chandrakona Picnic: টানা ডায়ালিসিস করে গৃহবন্দী অসুস্থ মানুষ!তাদের সাময়িক খুশি দিতে বনভোজনের আয়োজন নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের

Share

চন্দ্রকোনা 4 ঠা ডিসেম্বর:

ডায়ালিসিস পেশেন্টদের নিয়ে বনভোজনের আয়োজন নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের, এমন উদ্যোগে খুশি রোগীরা।মূলত শারীরিক অসুস্থতার কারণে মানুষজন গৃহবন্দী, কারো কারো প্রতি সপ্তাহে দুটো কিংবা তিনটি করে ডায়ালাইসিস করতে হয়,সেই সমস্ত রোগীদের রোগীদের মুখে হাসি ফোটাতে চন্দ্রকোনার একটি নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষ সেই সমস্ত ডায়ালিসিস রোগীদের নিয়ে বনভোজনের আয়োজন করা হলো চন্দ্রকোনার চন্দ্রকেতু পার্কে।খুশি রোগী সহ রোগীর আত্মীয় পরিজন।

এ ও ধরনের মানবিক উদ্যোগ আর যে মানবিক উদ্যোগে খুশি অসুস্থ রোগীরা।আর সেই সাময়িক খুশীতে উদ্যোগী হল এক বেসরকারি নার্সিংহোম। ঘটনা ক্রমে জানা যায় চন্দ্রকোনায় এরকম একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ৩০ জন রোগী আছেন যারা ডায়ালিসিস পেশেন্ট।কেউ দুবার তো কেও সপ্তাহে তিনবার করে ডায়ালিসিস করে যান। আরে ডায়ালিসিস করার ফলে তাদের খাওয়া-দাওয়া যেমন রেস্ট্রিক্টেড তেমনি আনন্দ উপভোগ করতেও বাধা নিষেধ আরোপ করেছেন চিকিৎসকেরা। এই পরিস্থিতিতে সেসব পেশেন্টদের নিয়ে যথেষ্ট হয়রানীর শিকার তার পরিবার পরিজনেরা।সারাদিন দুশ্চিন্তা আর টানা ওষুধ খাওয়া।এরই মাঝে মেপে মেপে চিকিৎসকের পরামর্শ মত দু,দানা মুখে দেওয়া।আর তাতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে দীর্ঘদিনের জীবন।এই পরিস্থিতিতে তাদের একটু মুখে হাসি ফোটাতে উদ্যোগী হলো চন্দ্রকোণার একটি বেসরকারি নার্সিংহোম।

নার্সিংহোমের তরফ থেকে আয়োজন করা হলো এক বনভোজনের।শুধুমাত্র এই ডায়ালিসিস পেশেন্টদের নিয়েই। এই দিন তাদের চন্দ্রকোনার চন্দ্রকেতু পার্কে নিয়ে হাজির হন নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। সেখানেই চলল সারাদিনব্যাপী হাসি হুল্লোড় খাওয়া-দাওয়া এবং আনন্দ উপভোগ করা।মেনুতে ছিল মাছ ,মাংস,তরকারি, মিষ্টি পাপড়, চাটনি।রোগীরা জানান সারা বছর বাড়িতেই থাকেন তারা,শারীরিক অসুস্থতার জন্য বেরোনো হয় না তাদের।তাই শীত কালীন সময়ে এর উদ্যোগ খুব ভালো।নার্সিংহোমের তরফে জানান হয় প্রায় ৩০ জনের মতো ডায়ালিসিস রোগীদের নিয়ে এই বনভোজনের আয়োজন করা হয়। এই বনভোজনে অংশগ্রহণ করতে পেরে রোগীরাও বেজায় খুশি।এদিন রোগীদের সঙ্গে ছিল রোগীর পরিবারের একজন করে সদস্য।

এ বিষয়ে নার্সিংহোম মালিক লক্ষণ কর্মকার বলেন, “আমার কাছে প্রায় ৩০-৩৫ জন ডায়লিসিস পেশেন্ট আসেন ডায়লিসিস করাতে। যারা কে কত দিন বাঁচবে জানি না।এর আগে অনেক ডায়লিসিস রোগী এসেছেন এবং ডায়ালিসিস করতে করতে মারা গেছেন, বেশিদিন বাঁচে না ওরা।এই পরিস্থিতিতে যারা মৃত্যু মুখের সামনে দাঁড়িয়েছে তাদের সামান্য মুখে হাসি ফোটাতে আমরা এই ধরনের বনভোজনের উদ্যোগ নিয়েছি।যাতে কিছুদিন হলেও সেই আনন্দ নিতে পারে ওরা।”

অন্যদিকে রোগীরা মইনুদ্দিন ভাঙ্গি,শহীদ আশরাফুল আলমরা বলেন,”আমরা ডায়ালিসিস পেশেন্ট আমরা কেউ সপ্তাহে দুবার কেউ তিনবার করে ডালিসিস নিতে আসি এই নার্সিংহোমে। আমাদের খাওয়া দাওয়া নিয়ে প্রচুর রকম বিধি-নিষেধ রয়েছে চিকিৎসকের দ্বারা। আমরা আনন্দ উপভোগ করতে পারি না।আমরা জানিনা কতদিন বাঁচব তবে এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়াতে আমরা কিছুটা হলেও আনন্দ উপভোগ করতে পারব।

যদিও অন্যদিকে চিকিৎসক গৌতম প্রতিহার বলেন,”এই সব রোগীরা হচ্ছে ক্রনিক পেশেন্ট।এরা বেশি দিন বাঁচবে না।তাই সাময়িক এই নার্সিংহোমের উদ্যোগে এই ধরনের এক বনভোজনের আয়োজন।উনারা খুশি হলেই আমরা খুশি।


Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

dnews.in