নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
এবার পুলিশ সহ একশ্রেণীর প্রশাসনের জুলুমবাজির বিরুদ্ধে এবার পথে নামল পশ্চিম মেদিনীপুর ডিস্ট্রিক্ট ট্রাক অনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন।এদিন তারা রীতিমতো প্ল্যাকার্ড,ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে প্রতিবাদে নামেন।এরপর তারা জেলা শাসকের সঙ্গে এক প্রস্থ বৈঠক সারেন।তাদের দাবি ১৫ দিনের মধ্যে সমস্যা সমাধান না হলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে।
বীরেন্দ্র সেতুর উপর দিয়ে সমস্ত যানবাহন যাতায়াতের দাবিতে জেলা শাসককে ডেপুটেশন দিল পশ্চিম মেদিনীপুর ডিস্ট্রিক্ট ট্রাক অনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন।এদিন তারা মেদিনীপুরের স্পোর্টস কমপ্লেক্স থেকে একত্রিত হয়ে মিছিল করে আসেন।হাতে প্ল্যাকার্ড,ব্যানার,ফেস্টুন নিয়েই তারা প্রতিবাদ মিছিল করে ছুটে আসেন কালেক্টরেটে।সেখানে এক প্রস্থ বিক্ষোভ দেখিয়ে তারা জেলাশাসকের ডেপুটেশন দেন।তাদের মূল দাবি গুলি ছিল মোহনপুর বাস ব্রিজের ওপর দিয়ে সমস্ত যানবাহন চলাচল করতে দিতে হবে,বৈধ বালি খাদান হইতে ওভার লোডিং বন্ধ করতে হবে,রাস্তার ওপরে পুলিশ ও ট্রাফিকের জুলুম বাজি বন্ধ করতে হবে,রাস্তার ওপর RTI/MVI এর জুলুম বাজি বন্ধ করতে হবে,পাথর ও বালি খাদানের ওপর BLRO এর জুলুম বাজি বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি তাদের অভিযোগ ২৫ টনের নিচে যানবাহন চলাচলে নির্দেশ দিয়েছে জেলা শাসক এবং জেলা প্রশাসন এই বীরেন্দ্র সেতুর উপর দিয়ে।কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে ২৫ টনের উপর ভারী ভারী যানবাহন যেমন দিনের বেলায় চলছে তেমনি রাতের অন্ধকারে পুলিশের মদতে পুলিশকে টাকা খাইয়ে সেই যানবাহন পারাপার করছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন।এর ফলে মার খাচ্ছে ছোট-বড় ব্যবসা করা এই ট্রাক মালিক কর্তৃপক্ষরা।কারণ একটা ট্রাক ঘুরপথে নিয়ে যেতে গিয়ে খরচা পড়ছে এক্সট্রা করে দশ থেকে বিশ হাজার টাকা।
এর সঙ্গে নষ্ট হচ্ছে সরকারি খনিজ তেল।যার ফলে এক দিকে যেমন প্রয়োজনীয় দরকারী জিনিসপত্রের দাম অগ্নিমূল্য হচ্ছে অন্যদিকে অসন্তোষ এবং ক্ষুব্ধ হচ্ছেন ট্রাক চালকরা।তাই অবিলম্বে এই বীরেন্দ্র সেতু তথা বাস ব্রিজের উপর দিয়ে সমস্ত রকম যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা তুলতে হবে প্রশাসন থেকে। পাশাপাশি এই এসোসিয়েশনের দাবি প্রয়োজনীয় বিশেষ করে ভারী ভারী ট্রাঙ্কার বিভিন্ন গাড়ি যদি যাতায়াত করতে পারে এই ব্রিজের ওপর দিয়ে তাহলে ২৫ টনের উপর ট্রাক কেন যাতায়াত করতে পারবে না।এর আগে বহুবার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে কিন্তু তারপরও যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা রেখেছে প্রশাসন।যদিও বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে টাকার বিনিময়ে কিছু যানবাহন রাতের অন্ধকারে সেগুলি পারাপার করে এক শ্রেণীর পুলিশ বাহিনী।এই অভিযোগ নিয়েই তারা জেলা শাসকের স্মারকলিপি দান এক প্রস্থ আলোচনায় বসেন। এদিন এই বৃক্ষ মিছিল ও ডেপুটেশনের উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর ডিস্ট্রিক্ট ট্রাক অনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জ্যোতির্ময় ব্যানার্জি,সতীশ রাজ বালি,জেনারেল সেক্রেটারি মিথিলেশ মিশ্র,যুগ্ম সম্পাদক তাপস চৌধুরী ও সন্দীপ মাইতি,অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি কমল বিদ, অপূর্ব সামন্ত,কামাক্ষা সিং, যুগ্ম সভাপতি সুবল নিয়োগী এছাড়াও ছিলেন মফিদুল মল্লিক,রবি সাউ,রাজু কুমার পাল,নিজামুদ্দিন,তামিজউদ্দিন খান সহ অন্যান্যরা।
এই নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর ডিস্ট্রিক্ট ট্রাক অনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে জেনারেল সেক্রেটারি মিথিলেশ মিশ্র বলেন,”এতদিন ধরে আমরা নিষেধাজ্ঞা শুনেছি কিন্তু রাতের অন্ধকারে পুলিশ প্রশাসন টাকার বিনিময়ে কিভাবে ভারী ভারী যানবাহন পারাপার করে এই বাস ব্রিজ দিয়ে তা আমাদের অজানা।তাই আমরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি।এরকম ঘটনা চলতে থাকলে আমাদের আগামী দিনে না খেতে পেয়ে মরতে হবে আমাদের। অন্যদিকে যুগ্ম সম্পাদক তাপস চৌধুরী বলেন,”ঘুরপথে ট্রাক নিয়ে যেতে গিয়ে আমাদের প্রতি বারে ১০ হাজার টাকা করে এক্সট্রা খরচা হয়। সেই সঙ্গে জাতীয় সম্পদ খনিজ তেল নষ্ট হয়। তাই আজকে আমরা বিষয়টা নিয়ে জেলা শাসককে জানিয়েছি।আমাদের এক ১৫ দিন তিনি চেয়েছেন।যদি আগামী দিনে সমস্যার সমাধান না হয় তাহলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাব।এমন কি এই বাস ব্রিজ অবরোধ করে আমরা অবরুদ্ধ করে ফেলব জেলা।
যদিও এই ঘটনায় জেলা শাসকের তরফ থেকে বৈঠকে এক প্রস্থ আশ্বাস পাওয়া গেছে বলে দাবি এই এসোসিয়েশনের।তাদের বক্তব্য জেলা শাসক বলেছেন বিষয়টি খতিয়ে দেখব এবং ১৫ দিন সময় চেয়েছেন আমরা,তার প্রতি আস্থাশীল রয়েছি।