
নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
কারো বয়স ৩০ তো কারো আবার ৫০ কেউ কেউ আবার সদ্য বিবাহিত।তবে সংসার সামলে এবার সামাজিক কর্মকান্ডে এগিয়ে এলো এই ‘প্রথমা’র সদস্যরা। মহামারীর সময় থেকেই সামাজিক সাহায্যের পাশাপাশি এবার মুমূর্ষ রোগীর পাশে দাঁড়াতে রক্তদান শিবিরের আয়োজন।স্বেচ্ছায় রক্তদান করলেন ৫০ জন পুরুষ ও মহিলা।

যে নারী রাঁধে,সে নারী চুলও বাঁধে আর এই আপ্ত বাক্যকে সফল করল মেদিনীপুর শরৎপল্লী এলাকার ‘প্রথমা’রা।এলাকার অনিমা,শম্পা,রানু, রুমা, সঞ্চিতা, বুলু,দীপিকা সুমনা,মমতা,রিতা,দেবারতিরা উদ্যোগী হয়ে রাতারাতি গড়ে তুললেন একটি সংগঠন।সেই সংগঠনের নাম দিলেন মেদিনীপুর শরৎ স্মৃতি প্রথমা সংঘ।প্রথমা হল মেদিনীপুর শহরের শরৎপল্লী এলাকার মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।মূলত ২০২০ সালে মহামারি কোভিডের সময় যখন সবাই ঘর-বন্দী ঠিক তখনই দুস্থ মহামারী আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল এই উদ্যোগী মহিলারা।শরৎপল্লী এলাকার এরকমই প্রায় ২৫ জন মহিলা আস্তে আস্তে এগিয়ে আসেন এই সংগঠন চালাতে। মহামারীতে মানুষের মুখে খাদ্য তুলে দেওয়া এরপর পরিবেশ রক্ষার্থে বৃক্ষরোপণ। পরবর্তীকালে অসহায় দুঃস্থ মানুষদের বস্ত্র প্রদান সহ একাধিক কর্মসূচিতে নিজেরাই উদ্যোগী হলেন।

তাদের সঙ্গে সাহায্যের হাত বাড়ি দিলেন তাদের বাড়ির কর্তারা।এরকম করে করে প্রায় পাঁচ বছর অতিক্রান্ত।এবার তারা মুমূর্ষ রোগীর রক্ত সংকটে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করলেন এই দিন।পুরুষ মহিলা মিলে প্রায় এইদিন ৫০ জন রক্তদাতা স্বেচ্ছায় রক্ত দিলেন এই শিবিরে।যা নিয়ে উৎসাহ উদ্দীপনা ছিল সংশ্লিষ্ট এলাকায়।এই শিবির কে সাফল্যমন্ডিত করতে উপস্থিত হয়েছিলেন মেদিনীপুরের বিধায়ক সুজয় হাজরা, কাউন্সিলর গোপাল ভট্টাচার্য, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী অনুপ সিং সহ অন্যান্যরা।সংগঠনের তরফে ছিলেন অনিমা মাইতি,শম্পা সোম, রানু গুহ,রুমা দে,সঞ্চিতা সিংহ ,বুলু ঘোষ,দীপিকা সেন,সুমনা নন্দী,মমতা মাইতি,রিতা মৈত্র,দেবারতি সামন্ত সহ সকল মহিলারা।বিশেষভাবে সহযোগিতা করেছিলেন এলাকার উদ্যোগী শিক্ষক ধৃতি রঞ্জন রায়।

এ বিষয়ে উদ্যোক্তারা বলেন,”এই সংগঠন গড়ে তোলা হয়েছিল এলাকার মানুষের সাহায্যের পাশাপাশি সামাজিক কর্মকাণ্ডের জন্য।সবাই আমরা মহিলা এবং নিজেদের কাজকর্ম সেরে উদ্যোগী হয়েছি এই বৃহৎ কর্মকাণ্ড যোগ দিতে।আমরা যেমন মহামারীর সময় খাবার দিয়েছি দুঃস্থ মানুষদের সেই সঙ্গে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিও করেছি পরিবেশ রক্ষার্থে।এছাড়াও অসহায় দুঃস্থ মানুষদের বস্ত্র বিতরণের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ড করে চলেছে আমরা।

এবছর প্রথম আমরা রক্তদান শিবিরের আয়োজন করলাম। যেই শিবিরে প্রায় ৫০ জন রক্তদাতা স্বেচ্ছায় রক্তদান করে সামাজিক দায়িত্ববোধ পালন করলেন।