
নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
মেদিনীপুরের ক্রীড়া জগতের মুকুটে উঠলো নতুন পালক।থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক স্তরের ভারোত্তলন প্রতিযোগিতায় দুটি পদক জিতে দেশকে গর্বিত করলেন মেদিনীপুরের অনীশ সাউ।তিনি তাঁর বিভাগের দুটি আলাদা, আলাদা ইভেন্টের একটিতে রূপো এবং একটিতে ব্রোঞ্জ জিতে দেশে ফিরেছেন।

মূলত ২০২৩ সালটা ছিল অনীশ সাউয়ের কাছে দুঃস্বপ্নের।সে বার জাতীয় স্তরে সফল হবার পর রোমানিয়া অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় যোগ দেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ এসেছিল অনীশের কাছে কিন্তু আর্থিক কারণে সেবার রোমানিয়া যেতে পারেন নি অনীশ।২০২৫ সেই আক্ষেপ পূরন করে দিল থাইল্যান্ডে আন্তর্জাতিক স্ট্রেংথ লিফটিং চ্যাম্পিয়নশিপ।১৬ জুলাই থেকে ১৯ জুলাই এই প্রতিযোগিতায় মেদিনীপুরের অনীশ সাউ স্ট্রেংথ লিফটিং এ দ্বিতীয় স্থান ও ইনক্লাইন বেঞ্চপ্রেস এ তৃতীয় স্থান অধিকার করেন যথাক্রমে রৌপ্য এবং ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন।এই চ্যাম্পিয়ন শিপে মোট ১৭টি দেশ অংশগ্রহণ করে।ভারতের মোট ৮৫ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেছিল।অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার গর্ব মেদিনীপুর শহরের পাটনা বাজার এলাকায় বাসিন্দা ২৩ বছরের অনীশ সাউ এই প্রতিযোগিতার জুনিয়র বিভাগে যোগ দিয়েছিলেন।

২০১৯ সাল থেকে মেদিনীপুরের শরীরচর্চার অন্যতম প্রাচীন প্রতিষ্ঠান, শতবর্ষ প্রাচীন শক্তি সংঘ ব্যায়ামাগারে কোচ পিন্টু সাউ, তরুণ দাস,সাহেব ঘোষের কাছে ভারোত্তলনের প্রশিক্ষণ নেন অনীশ।অনীশের বাবা পিন্টু সাউ নিজেও একজন ভারোত্তলক।মা পারমিতা সাউ একজন গৃহবধূ।জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের পদক বেশ কয়েকটি রয়েছে পিন্টু বাবুর।মূলতঃ বাবার অনুপ্রেরণাতে অনীশের ভারোত্তলনে হাতেখড়ি।কয়েক বছরের মধ্যেই নিজেকে একজন উচ্চ মানের ভারোত্তলক হিসেবে নিজেকে তৈরি করেছেন। ২০২৪ এর ডিসেম্বরে হরিয়ানাতে অনুষ্ঠিত জাতীয় প্রতিযোগিতার সাফল্যের পর অনীশ সাউকে বাছাই করা হয়েছে থাইল্যান্ডে যাওয়ার জন্য।

রাজ্য থেকে মোট ১৩ জন পুরুষ ও মহিলা এই প্রতিযোগিতা তে অংশগ্রহণ করেছিল।অনীশের এই সাফল্যের খুশির হাওয়া মেদিনীপুরের ক্রীড়া মহলে।