নিজস্ব প্রতিনিধি,লালগড় :
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাল্টি খেল যাত্রীবাহী বাস।ঘটনায় আহত বেশ কয়েকজন যাত্রী।স্থানীয় গ্রামবাসীরা যাত্রীদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায়।ঘটনাটি বৃহস্পতিবার সকালে লালগড় থানার অন্তর্গত শালচাতুরি এলাকায় ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,এদিন সকালে মেদিনীপুর থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস যাত্রী নিয়ে ঝাড়গ্রামের উদ্দেশ্যে আসছিলে।ঝাড়গ্রামে আসার পথে কংসাবতী নদী পেরিয়ে শালচাতুরি এলাকায় আনুমানিক সকাল সাতটা চল্লিশ মিনিট নাগাদ বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাঁদিকে ঢুকে পড়ে।ধান জমি থেকে রাস্তা অনেক উঁচু থাকায় বাসটি বাঁ দিকে পাল্টি হয়ে যায়।বাসের যাত্রীদের চিৎকারের আওয়াজ শুনে গ্রামের বাসিন্দারা উদ্ধারকার্যের জন্য ছুটে আসেন।জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর থেকে ঝাড়গ্রাম ভায়া ধেড়ুয়া হয়ে এই বাসটি প্রতিদিন যাতায়াত করে।এদিন সকালে বাসটিতে আনুমানিক ১৫ থেকে ২০ জন যাত্রী নিয়ে ঝাড়গ্রামের উদ্দেশ্যে আসছিল।
বাসের যাত্রী মেদিনীপুরের বাসিন্দা সৌমেন রায় বলেন,”সকালে রাহী ট্রাভেলস নামের এই বাসে চেপে ঝাড়গ্রাম আসছিলাম।সেই সময় হঠাৎ করে বাসটি বাঁ দিকে ঢুকে পড়ে এবং পাল্টি হয়ে যায়।হঠাৎ সকলে চিৎকার করে ওঠে ,আমাদের আওয়াজ শুনে এলাকার মানুষজন ছুটে আসে আমাদের উদ্ধার করার জন্য। আমি বাসের পেছনে বসে ছিলাম।পেছনের কাঁচ ভেঙে কোনক্রমে বাইরে বেরিয়ে আসি।আমি তেমনভাবে গুরুতর আঘাত পায়নি কিন্তু হাতে চোট লেগেছে”।তিনি আরো বলেন,”বাসের দু-একজন যাত্রীর হাত-পা ভেঙেছে।তাদেরকে ঝাড়গ্রাম গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে”।
দুর্ঘটনাস্থলে রয়েছে একটি পানের দোকান।দোকানদার কল্যাণী চালক বলেন,”আমি তখন দোকানেই বসে ছিলাম।বাসটি আমার দোকান পেরিয়ে যাবার পরেই প্রবল জোরে শব্দ করে ওঠে।বেরিয়ে দেখি বাসটি পাল্টি হয়ে গেছে।ভেতর থেকে মানুষ চিৎকার করছে বাঁচানোর জন্য।আমরা সবাই ছুটে যায় এবং তাদের বাসের ভেতর থেকে বার করানোর চেষ্টা করি।দুর্ঘটনায় কেউ মারা যায়নি কিন্তু যাদের হাত পা ভেঙেছে তাদেরকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে”।যদিও ঘটনার পর থেকে বাসের চালক ও কন্ট্রাক্টর পলাতক।