নিজস্ব প্রতিনিধি,হাওড়া:
এই এক বিরল থেকে বিরলতম ঘটনা রাজ্যে। ঘটনাচক্রে জানা যায় প্রথম থেকেই ছিল সংসারে টানাটানি।সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে মেয়ের পড়াশোনা, বিয়ের খরচ। আর সেই খরচ জোগাতে শেষ পর্যন্ত স্বামীকে কিডনি বিক্রি করতে বলেছিলেন স্ত্রী।এই পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্বামী তার স্ত্রীর কথা আবেদন ফেলতে পারেননি।কিন্তু কিডনি বিক্রি হতেই হাতে আসা লক্ষাধিক টাকা নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে চম্পট দিলেন সেই বধূ!স্ত্রীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হাওড়ার যুবক।
আদালত সূত্রে জানা যায় স্ত্রী নিখোঁজ হওয়ায় পর প্রথমে থানায় গিয়েছিলেন হাওড়ার সাঁকরাইল ব্লকের ধুলাগড়ি হাটতলা এলাকার বাসিন্দা পিন্টু বেজ।এর পরে হাই কোর্টে হেবিয়াস কর্পাস মামলা করেছিলেন তিনি।এই অভিযোগে অভিযোগকারী যুবক আদালতে জানিয়েছিলেন মেয়ের পড়াশোনা আর বিয়ের জন্য টাকার ব্যবস্থা করতে এখন থেকেই সোনার গয়না বানিয়ে রাখতে চাইছিলেন স্ত্রী সুপর্ণা বেজ।এর জন্য বার বার তাঁকে কিডনিও বিক্রি করতে বলতেন।স্ত্রীর কথা শুনেই কিডনি বিক্রি করেছিলেন যুবক। পরে সেই কিডনি বিক্রির ১০ লাখ টাকা আর সোনার গয়না নিয়ে সুপর্ণা প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন পিন্টু।সংবাদ সংস্থা কে অভিযোগকারী পিন্টু বলেন, ‘‘হঠাৎ এক দিন নিখোঁজ হয়ে গেল স্ত্রী।আর ফিরল না।
পরে দেখলাম তার কিডনি বিক্রি করে পাওয়া ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে চলে গিয়েছে তার স্ত্রী।”এই ঘটনায় এই মধ্যবয়সী যুবক হেবিয়াস কর্পাস মামলা করে স্ত্রীকে খুঁজে এনে আদালতে হাজির করানোর দায়িত্ব দিয়েছিলেন পুলিশকে। কিন্তু পুলিশের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী,তদন্তকারীদের কাছে আগেই সুপর্ণা লিখিত ভাবে জানিয়েছিলেন যে,তিনি স্বেচ্ছায় ঘর ছেড়েছেন।তাঁর প্রেমিক এবং তিনি এখন স্বামী–স্ত্রীর মতো থাকছেন।কেউ তাঁকে জোর করে কিছু করাননি।
এরপরই পুলিশের দেওয়া রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ গত ২৭ জানুয়ারি হেবিয়াস কর্পাস মামলাটি খারিজ করে দেয়।এই ঘটনায় আদালতের বক্তব্য,যে হেতু এই মহিলার হদিস পাওয়া গিয়েছে এবং তিনি স্বেচ্ছায় স্বামীকে ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা মুচলেকা দিয়ে জানিয়েছেন, তাই এ ক্ষেত্রে আর হেবিয়াস কর্পাসের আবেদন কার্যকর হবে না।
উল্লেখ্য,স্ত্রী নিখোঁজ হওয়ায় পর প্রথমে থানায় গিয়েছিলেন হাওড়ার সাঁকরাইল ব্লকের ধুলাগড়ি হাটতলা এলাকার বাসিন্দা পিন্টু বেজ। এর পরে হাই কোর্টে হেবিয়াস কর্পাস মামলা করেছিলেন। এখন প্রশ্ন উঠছে টাকা কি তার উদ্ধার হবে,শাস্তি হবে স্ত্রীর?