নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
শিক্ষক ও ছাত্র আন্দোলনের সাঁড়াশি চাপে পড়ে মঙ্গলবার বিকেলে শেষ পর্যন্ত বির্তকিত সার্কুলার প্রত্যাহার করলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের মাধ্যমিক জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক স্বপন সামন্ত।এইদিন এক বড় মাপের মিছিল করে বাম ছাত্র সংগঠন SFI
উল্লেখ্য গত ২২ শে আগষ্ট বৃহস্পতিবার জেলার বিদ্যালয় গুলির প্রধান শিক্ষক-প্রধান শিক্ষিকাদের উদ্দেশ্যে একটি নির্দেশিকা জারি করেন।সেখানে বলা হয়েছিল বিদ্যালয়ের অঙ্গনের বাইরে শিক্ষা দপ্তরের অনুষ্ঠান ব্যতীত অন্য কোন কার্যক্রমে ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণ করতে পারবে না।শুক্রবার বিকেলেই শিক্ষক সংগঠন নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতির (এবিটিএ) এর পক্ষ থেকে এই সার্কুলারকে ‘উদ্দেশ্য প্রণোদিত’ ‘স্বৈরাচারী’ ‘বেআইনি” ‘অগনতান্ত্রিক’ ‘তুঘলকি ও ‘কালা সার্কুলার’ বলে আখ্যায়িত করে এই সার্কুলার অবিলম্বে প্রত্যাহার করার দাবিতে জেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক স্বপন সামন্তর নিকট ডেপুটেশন দেওয়া হয়।সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়,আর জি করে ঘটা বর্বরোচিত নারকীয় ঘটনার বিরুদ্ধে ছাত্র-ছাত্রীদের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদকে স্তব্ধ করার লক্ষ্যে জারি করা ঔপনিবেশিক ধাঁচের ‘কালা সার্কুলার’ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।ঘন্টা খানেকের বেশি সময় ধরে এই ডেপুটেশন ও অবস্থান কর্মসূচি চলে।সেদিনের আন্দোলনের ঝাঁঝও ছিল তীব্র।এইদিন শেষমেষ উপস্থিত আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষিকা-শিক্ষাকর্মীদের সামনে ডি আই প্রতিশ্রুতি দেন তিনি তাঁর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে মঙ্গলবারের মধ্যে সার্কুলার প্রত্যাহারের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
এবিটিএ-এর পক্ষে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল সার্কুলার মঙ্গলবারের মধ্যে প্রত্যাহার না হলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে পা বাড়াবেন।অন্যদিকে এই সার্কুলার অগ্রাহ্য করে জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে আর জি কর কান্ডে দোষীদের শাস্তি চেয়ে সোচ্চার হয়েছিল পড়ুয়ারা। শুক্রবারই এবিষয়ে তীব্র অসন্তোষ জানিয়ে সার্কুলার প্রত্যাহারের দাবিতে প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল এস এফ আই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটি।পাশাপাশি মঙ্গলবার বিকেলে দৃপ্ত মিছিল করে সার্কুলার প্রত্যাহারের দাবিতে ডি আই অফিস অভিযান করে এস এফ আই। ডি আই এর নিকট সার্কুলার প্রত্যাহারে দাবি জানানো হয় এস এফ আই এর পক্ষ থেকে পাশাপাশি বলে দেওয়া হয় সার্কুলার প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের আন্দোলন চলতে থাকবে।তবে শেষ পর্যন্ত সেই বিতর্কিত সার্কুলার প্রত্যাহার করে নেন ডি আই স্বপন সামন্ত এবং তিনি বিষয়টি সমস্ত বিদ্যালয়ে জানিয়ে দেন।উল্লেখ্য স্কুল আওয়ার ছাত্র আন্দোলন সংক্রান্ত অন্য একটি নির্দেশিকা রাজ্য থেকে প্রকাশিত হয়েছে।