
মেদিনীপুর 6 ই সেপ্টেম্বর:
এবার মেদিনীপুরে মাটির বাড়ি ভেঙে দেওয়াল চাপা পড়ে আহত হলো দুই আদিবাসী মহিলা।আহতদের ভর্তি করা হলো মেদিনীপুর মেডিক্যালে।গত কয়েকদিন ধরেই হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে শহর ও শহর লাগোয়া এলাকায়।বৃষ্টির ফলে মাটির বাড়ি গুলি আগে থেকেই বিপজ্জনক অবস্থায় ছিল।জানা যায়, শুক্রবার রাত্রি নাগাদ মেদিনীপুর পুরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের বেনেপুকুর এলাকায় হঠাৎই ভেঙে পড়ে একটি মাটির বাড়ি।সেই সময় বাড়িতে উপস্থিত দুই আদিবাসী মহিলা বাড়ির দেওয়াল চাপা পড়ে গুরুতর আহত হয়।স্থানীয়রা কাউন্সিলরের সহযোগিতায় দুজনকেই উদ্ধার করে ভর্তি করে মেদিনীপুর মেডিক্যালে।

এবার আশঙ্কা হল সত্যি!রাতের অন্ধকারে হঠাত্ ভেঙে পড়লো বিপদজনক দুই বাড়ি আর তাতেই আহত হল আদিবাসী দুই মহিলা এরকমই ঘটনা মেদিনীপুর জেলার খোদ কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত মেদিনীপুর শহরে। ঘটনা ক্রমে বলা যায় গত কয়েকদিন আগে একটি খবর দেখানো হয়েছিল যাতে দেখানো হয়েছিল খোদ মেদিনীপুর শহরে আট নাম্বার ওয়ার্ডের বেনেপুকুর এলাকায় ২৫ টি আদিবাসী পরিবার সকল সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত।যেখানে দুয়ারে সরকার, পাড়ার সমাধান সহ একাধিক রাজ্যের কর্মসূচি করে দুস্থ অসহায় এবং পিছিয়ে পড়া অনগ্রসর জাতিদের উন্নতিতে উঠে পড়ে লেগেছে রাজ্য সরকার সেখানে খোদ শহরেই মাটির ভগ্ন বাড়িতে দিন কাটাচ্ছে আদিবাসী ২৫ টি পরিবার।শুধু বাড়ির মেলেনি তা নয় সেই সঙ্গে বার্ধক্য ভাতা,বিধবা ভাতা এবং আদিবাসীদের সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে তারা।

ভগ্ন বাড়ি উপরের টাঙানো ছেঁড়া ত্রিপল আর তাতেই দিন কাটছে এই ২৫টি পরিবারের প্রায় শতাধিক সদস্যের। যদিও এই ঘটনায় তৎকালীন সময়ে নড়ে চড়ে বসেছিল মেদিনীপুর পৌরসভা।তড়িঘড়ি সেসব পরিবারকে শুকনো খাবারদাবার ত্রিপল মশারি সহ বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করা হয় মেদিনীপুর পৌরসভা এবং কাউন্সিলর এর পক্ষ থেকে এবং তখন আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল যাতে এরা কিভাবে বাড়ির সরকারি বাড়ির সুবিধা থেকে বাদ পড়ল তা নিয়ে খতিয়ে দেখা এবং দ্রুত সেসব বাড়ি তৈরি করে দেওয়া।কিন্তু সেই আশ্বাসের মধ্যেই ভেঙে পড়ল এই আদিবাসীদের বাড়ি।তাতেই আহত হলেন লক্ষী হেমব্রম, সবিতা হেমব্রম নামে দুই মহিলা।যা নিয়ে আশঙ্কা সংশ্লিষ্ট এলাকায়।যদি এই ঘটনায় তড়িঘড়ি ওই ভাঙ্গা বাড়িতে উপস্থিত হয়েছিল মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান সবাই এলাকার কাউন্সিলর ইন্দ্রজিৎ পানিগ্রাহী এবং পুলিশ প্রশাসন।

এ বিষয়ে মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান বলেন,” ওই এলাকায় যে সমস্ত বিপজ্জনক মাটির বাড়ি রয়েছে, সেগুলি অবিলম্বে ভেঙে নতুন বাড়ি তৈরি করার চেষ্টা করছে আমরা।আমাদের জেলা শাসক, মহকুমা শাসক এলাকার কাউন্সিলর এবং আমরা সবাই খতিয়ে দেখেছি তাদের বাড়ি করে দেওয়া দরকার আছে। সেই সঙ্গে ওই এলাকার যে সকল বিপদজনক বাড়ি রয়েছে সেগুলো সকল গুলোই ভেঙে দেওয়া হবে।কারণ আমরা জেনেছি যে পুজোর সময় আরো টানা বৃষ্টি হতে পারে তাতে এই ধরনের দুর্ঘটনাতে না ঘটে তার জন্যই আমরা এই ব্যবস্থা নেব।

এ বিষয়ে এলাকার কাউন্সিলর ইন্দ্রজিৎ পানিগ্রাহি বলেন,”টানা বৃষ্টিতে ওদের বাড়িগুলি জলমগ্ন ছিল আমরা পরবর্তীকালে জানতে পেরে এদেরকে শুকনো খাবার সহ যাবতীয় সরকারি জিনিসপত্র পৌছে দিয়েছি। কিন্তু তারপরই আমরা বাড়ি তৈরি করার পরিকল্পনায় ছিলাম কিন্তু বৃষ্টি থামেনি এবং এই ধরনের ঘটনা ঘটে গিয়েছে।আমরা ওদের পাশে রয়েছি।আহত মহিলাদের চিকিত্সার ব্যবস্থা করা হয়েছে,আমরা দ্রুত বাড়ি তৈরি করে দেব।