
বসনছোড়া 2 রা সেপ্টেম্বর:
রাতের বেলা প্রবল বৃষ্টি,বিপদ বুঝে তড়িঘড়ি বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রাণে রক্ষা পেল তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য সহ তার পরিবারের সদস্যরা।ছোট্ট রান্না ঘরে বর্তমানে ঠাঁই হয়েছে,গ্রামের আটচালায় বাড়ির আসবাবপত্র। যদিও এই ঘটনায় আতঙ্কিত পঞ্চায়েত সদস্যের বক্তব্য নাম তালিকায় রয়েছে তবে এখনও বাড়ি পাইনি।তবে এখন কয়েকদিন কাটাবো লোকের বাড়িতে।

এও একরকম ছবি জেলায়।পঞ্চায়েত সদস্য নিজে হয়েও সরকারি বাড়ি থেকে বঞ্চিত। বর্ষার রাতে হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল বাড়ি ঠাঁই হলো মন্দিরে। যা নিয়ে চাঞ্চল্য সংশ্লিষ্ট এলাকায়।ভাঙ্গাচোরা মাটির বাড়িতে বসবাস করছিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা দু’নম্বর ব্লকের বসনছোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নাড়ুয়া গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য প্রসেনজিৎ বেরা।প্রসেনজিৎ তার স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভাঙ্গাচোরা মাটির বাড়িতে বসবাস করছিল তারা,মেলেনি এখনো কোনো আবাস যোজনার বাড়ি।তাই অগত্যা মাটির বাড়িতে বসবাস করছিল তারা।গতকাল রাতে হঠাৎ প্রাকৃতিক বিপর্যয়,প্রবল বৃষ্টিতে ভেঙে পড়ে মাটির বাড়ি।বাড়ি ভাঙার অল্প সময় আগেই বাড়ির মধ্যেই ছিল সকলে,বিপদ বুঝেই বাড়ি থেকে তড়িঘড়ি বেরিয়ে পড়ে তারা। এরপর তারা মন্দিরে গিয়ে আশ্রয় নেয়।সকালের পর তারা ছোট্ট একটি রান্নাঘরে বর্তমানে বাসা বেঁধেছে।গ্রামের আট চালাতে রয়েছে বাড়ির আসবাব পত্র।

তার পরিবারের দাবি আবাস তালিকায় হয়তো রয়েছে নাম কিন্তু কবে মিলবে সরকারি সুযোগ-সুবিধা জানে না তারা।বর্তমানে প্রশাসনের দিকে তাকিয়ে প্রসেনজিৎ ও তার পরিবার।এখন দেখার অসহায় এই পরিবার কবে পায় সরকারি সুবিধে। যদিও প্রশাসন থেকে বাড়ি করে দেওয়ার আশ্বাস।

এ বিষয়ে পঞ্চায় সদস্য প্রসেনজিৎ বেরা বলেন, “গতকাল যখন অঝোরে বৃষ্টি হচ্ছিল সেই সময় আমাদের বাড়ি গিয়ে ধসে যায়। আমরা দৌড়ে গিয়ে পরিবারসহ আশ্রয় নিয়ে হরি মন্দিরে।এখন কিছুটা আতঙ্কে রয়েছি তবে মন্দির থাকায় নিজেদের প্রাণ বেঁচেছে। দলের মোটামুটি সবাইকে জানিয়েছি অনেকে এসেছিল দেখতে। যদিও তার পাকাপোক্ত বাড়ি নিয়ে তিনি বলেন তালিকায় নাম রয়েছে কিন্তু এখনো বাড়ি আসেনি।। আমি চাইনা আমার প্রভাব খাটিয়ে বাড়ি তৈরি করতে আমি চাই আর দশটা সাধারণ মানুষের মতন জীবন জীবিকা চালাতে।এদিকে পঞ্চায়েত সদস্যের স্ত্রী তনুশ্রী বেরা বলেন,”নেহাত ঠিক সময় আমরা বেরোতে পেরেছি না হলে আমরা সবাই চাপা হয়ে মরে যেতাম। রাতে আমরা পাশের মন্দিরে আশ্রয় নিয়েছিলাম।আজকে কিছুটা সারানোর চেষ্টা করছি।পঞ্চায়েত সদস্যের পরিবার হয়েও আমরা বাড়ি থেকে বঞ্চিত।

অন্যদিকে চন্দ্রকোনা ২ এর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অলোক ঘোষ বলেন,”গতকাল প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে আর তার জন্যই বাড়িটি ভেঙ্গে গেছে।আমরা বিষয়টি জানতে পেরেছি খোঁজখবর নিয়েছি এবং প্রশাসন ভাবে যতটা সাহায্য করার ব্যবস্থা করব।