District Administration: বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের হার না মানা জেদ নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার উত্সাহ দিতে জেলা প্রশাসনের “স্নেহ”

Share

মেদিনীপুর 22 সে সেপ্টেম্বর:

“স্নেহ” সহানুভূতির সুরে বাঁধা প্রশাসনের মানবিক উদ্যোগ।।জেলা শাসক এদিন স্পষ্ট ভাষায় জানান,”এই শিশুরা করুণার নয়,এরা সমাজের গর্ব।ওদের হার না মানা মানসিকতা আমাদের সকলের কাছে অনুপ্রেরণা।এই অনুষ্ঠানে ১৪৬ জন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুকে স্পন্সরশিপ প্রদান করা হয়। প্রত্যেক শিশুর হাতে তুলে দেওয়া হয় উপহার, নিউট্রিশন কিট,আঁকার সরঞ্জাম।

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের এগিয়ে উত্সাহ দেওয়ার লক্ষ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল এক ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠান—“স্নেহ”। এই অনুষ্ঠান শুধু একটি আয়োজনে সীমাবদ্ধ ছিল না, অনুষ্ঠানটি হয়ে উঠেছিল এক ভালোবাসার সংযোগ, মর্যাদার অঙ্গীকার। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা শাসক,পশ্চিম মেদিনীপুর অতিরিক্ত জেলা শাসক (উন্নয়ন ),অতিরিক্ত জেলা শাসক (পঞ্চায়েত ), অতিরিক্ত জেলা শাসক (জেলা পরিষদ ),জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক,মহকুমা শাসক,মেদিনীপুর সদর সহ অনান্য অতিথিবৃন্দ।অনুষ্ঠানের সূচনালগ্নে জেলা শাসক কেক কেটে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেন। তিনি,বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের হার না মানা জেদ নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে উত্সাহ দেন।জেলা শাসক এদিন স্পষ্ট ভাষায় জানান,”এই শিশুরা করুণার নয়,এরা সমাজের গর্ব।ওদের হার না মানা মানসিকতা আমাদের সকলের কাছে অনুপ্রেরণা।

তিনি সকল নাগরিকের কাছে আহ্বান জানান,এই শিশুদের পাশে দাঁড়িয়ে,তাদের স্বপ্নের পথকে মসৃণ করে তুলতে।এই বিষয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শিশুদের সঠিক যত্ন নেওয়া ও সাধারণ স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য বিধি নিয়ে আলোচনা করেন।অনুষ্ঠানে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন কৃতী ছাত্রী স্বর্ণাভ বেরা তাঁর বক্তব্যে বলেন, সত্যকে সহজভাবে গ্রহণ করেই আমরা জীবনকে আলিঙ্গন করতে শিখি। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে আত্মমর্যাদা ও আশার এক দৃঢ় বার্তা। তিনি জানান অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর স্বপ্ন দেখার সাহস হার মানাতে পারে শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে। জেদ আর মনোবল পারে সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে মানুষকে তাঁর স্বপ্নের কাছাকাছি পৌঁছে দিতে।এই দিনেই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা জানানো হয় দৃষ্টিশক্তিহীন হয়েও আইএএস পদে উত্তীর্ণ হওয়া এবং বর্তমানে অতিরিক্ত জেলা শাসক (উন্নয়ন), পশ্চিম মেদিনীপুর-এ কর্মরত শ্রী কেম্পা হোনাইয়াকে।

তাঁর জীবনসংগ্রাম ও সাফল্যের কাহিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করে।অনুষ্ঠানে ১৪৬ জন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুকে স্পন্সরশিপ প্রদান করা হয়। প্রত্যেক শিশুর হাতে তুলে দেওয়া হয় উপহার, নিউট্রিশন কিট,আঁকার সরঞ্জাম।পাশাপাশি,প্রতিটি শিশুর মাকে সম্মান জানিয়ে উপহার দেওয়া হয় একটি করে শাড়ি।

এক ছোট্ট প্রয়াস, মায়েদের এই নিরন্তর লড়াইকে স্বীকৃতি জানানোর।


Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

dnews.in