স্টুডেন্টদের সোশ্যাল ওয়ার্ল্ডে ভার্চুয়ালি বিচরণ সেই সঙ্গে সুইসাইডের গ্ল্যামারাস ছড়ানোর ইচ্ছেই হলো এত মৃত্যু, এটা একটা সামাজিক ব্যাধি!ছাত্র মৃত্যু নিয়ে মন্তব্য করলেন খড়াপুর আইআইটি ডিরেক্টর সুমন চক্রবর্তী।পাশাপাশি তিনিও বলেন এক্ষেত্রে মিডিয়ারও একটি দায়িত্ব রয়েছে কিন্তু এখন এই সুসাইড কে বিপনন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
টানা ছাত্র মৃত্যুতে নাজেহাল দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খড়গপুর আইআই টি। যদিও এই ছাত্র মৃত্যু রোধ করার জন্য এক ও একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে বর্তমান নব্য নির্বাচিত ডিরেক্টর সুমন চক্রবর্তী। কিন্তু তারপরও ঠেকানো যাচ্ছে না ছাত্র মৃত্যু।রেকর্ড এমন যে চলতি বছরে এই ৯ মাসে প্রায় ৬ জন ছাত্রের মৃত্যু ঘটেছে।মেধাবী দক্ষ কমবয়সী তরুণ অধ্যাপক, ছাত্র মৃত্যুতে রীতিমতো প্রশ্নের মুখে এই দেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।যদি ওই ছাত্র মৃত্যু কে কেন্দ্র করে বর্তমান পরিস্থিতি এবং ছাত্রদের মানসিকতাকেই দায়ী করলেন বর্তমান ডিরেক্টর সুমন চক্রবর্তী।মেদিনীপুরের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এলে তাকে এই ছাত্র মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,”আমাদের আইআইটিতে ১৬ হাজার ছাত্র এবং ষোল হাজার ছাত্রের মধ্যে যে সংকট তা আই আই টি তৈরি করেনি,করেছে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা।
তিনি ছাত্রদের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন আজকে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা দেওয়ার পর পড়ুয়াদের যে মানসিকতা নিয়ে আইআইটিতে ভর্তি হয়, এর সঙ্গে বর্তমান প্রজন্মের অত্যধিক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার সেইসঙ্গে ভার্চুয়ালি ওয়ার্ল্ড এর মধ্যে অবাধ বিচরণ করা সেই সঙ্গে অত্যধিক প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতা ও চিন্তা করা বিশেষ করে আমি এক কোটি টাকা চাকরি না পেলে কি হবে এই ধরনের মানসিকতা নিয়ে যখন তারা আইআইটি তে আসছে তখন বাস্তবের মাটিতে তাদের ইন্ডিভিচুয়াল অ্যাড্রেস করার ক্ষমতা আমাদের না থাকায় সমস্যা তৈরি হচ্ছে। কারন আমাদের কুড়ি হাজার কাউন্সিলর নেই। তাই আমরা এটাকে একটা সামাজিক ব্যাধি হিসেবেই বলতে পারি। পাশাপাশি এদিন ডিরেক্টর মিডিয়ার দায়িত্ব নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।। তিনি বলেন সুসাইড খবর নিয়ে মিডিয়ারা বেশি তোলপাড় করে যদিও তারা তাদের কাজে ছাড়তে হয়তো কোথাও করতে হয়।
কিন্তু এই সুসাইড নিয়ে এখন গ্ল্যামারাস স্টোরি হিসেবে ছাত্রদের মোবাইলে ঘোরাফেরা করছে। তিনি উদাহরণ স্বরূপ বলেন আমার একটা গ্রুপে এরকম মেসেজ এসেছে তাতে এক ছাত্র লিখছে,”আমি ভেবেছিলাম আমি সুসাইড করব কিন্তু আজকে আরেকজন করে নিল,তাই করলাম না,ঠিক কেন এটা! তুমি কিছুটা কটাক্ষ করে এও বলেন সুসাইড কে আজকে বিপণন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা সেগুলো প্রচার করে এবং আলোচনা করে বেশি হাইলাইট করছি বলে মনে হয়।”তবে এই মৃত্যু কি কোন ভাবে আটকানো যায় না চেষ্টা করলে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন,”প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী শত চেষ্টা করেছেন তবুও কি পথ দুর্ঘটনা আটকানো গেছে,আটকানো যায়নি। কারণ মানুষ চাইনি।তিনি এও বলেন ছাত্রদের মধ্যে অনেক বেশি চাওয়া পাওয়া রয়েছে,চাওয়া পাওয়া অভিভাবকদের।
একটা উদাহরণ স্বরূপ তিনি বলেন আমাদের ছোটবেলায় আমরা পড়াশোনার জন্য শিক্ষকের কাছে কতই মার খেয়েছি। কিন্তু এখন শিক্ষক কোন একটা ছাত্র ভুলে তার খাতা ছুড়ে ফেলে দিলে ছাত্রটি সুসাইড করে নেয়। এখন শিক্ষা কে কন্ট্রোল করতে চাই ছাত্ররা? আসলে এই সুইসাইডকে বিপণন হিসেবে ব্যবহার করছে কিছু ছাত্র, যারা পড়াশোনা করতে চায় না তারাও।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,চলতি বছরে জানুয়ারি থেকে এই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় 6 জন পড়ুয়ার মৃত্যু ঘটেছে।যার বেশির ভাগ টাই ভেতর থেকে দরজা বন্ধ ও।এই নিয়েই প্রশ্ন চিহ্ন খড়গপুর IIT তে।
IIT Kharagpur: সুইসাইড কে বিপণন হিসেবে ব্যবহার করার জন্যই এত ছাত্র মৃত্যু!ছাত্র মৃত্যু নিয়ে আইআইটি ডিরেক্টর
মেদিনীপুর 25 সে সেপ্টেম্বর:
স্টুডেন্টদের সোশ্যাল ওয়ার্ল্ডে ভার্চুয়ালি বিচরণ সেই সঙ্গে সুইসাইডের গ্ল্যামারাস ছড়ানোর ইচ্ছেই হলো এত মৃত্যু, এটা একটা সামাজিক ব্যাধি!ছাত্র মৃত্যু নিয়ে মন্তব্য করলেন খড়াপুর আইআইটি ডিরেক্টর সুমন চক্রবর্তী।পাশাপাশি তিনিও বলেন এক্ষেত্রে মিডিয়ারও একটি দায়িত্ব রয়েছে কিন্তু এখন এই সুসাইড কে বিপনন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
টানা ছাত্র মৃত্যুতে নাজেহাল দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খড়গপুর আইআই টি। যদিও এই ছাত্র মৃত্যু রোধ করার জন্য এক ও একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে বর্তমান নব্য নির্বাচিত ডিরেক্টর সুমন চক্রবর্তী। কিন্তু তারপরও ঠেকানো যাচ্ছে না ছাত্র মৃত্যু।রেকর্ড এমন যে চলতি বছরে এই ৯ মাসে প্রায় ৬ জন ছাত্রের মৃত্যু ঘটেছে।মেধাবী দক্ষ কমবয়সী তরুণ অধ্যাপক, ছাত্র মৃত্যুতে রীতিমতো প্রশ্নের মুখে এই দেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।যদি ওই ছাত্র মৃত্যু কে কেন্দ্র করে বর্তমান পরিস্থিতি এবং ছাত্রদের মানসিকতাকেই দায়ী করলেন বর্তমান ডিরেক্টর সুমন চক্রবর্তী।মেদিনীপুরের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এলে তাকে এই ছাত্র মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,”আমাদের আইআইটিতে ১৬ হাজার ছাত্র এবং ষোল হাজার ছাত্রের মধ্যে যে সংকট তা আই আই টি তৈরি করেনি,করেছে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা।
তিনি ছাত্রদের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন আজকে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা দেওয়ার পর পড়ুয়াদের যে মানসিকতা নিয়ে আইআইটিতে ভর্তি হয়, এর সঙ্গে বর্তমান প্রজন্মের অত্যধিক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার সেইসঙ্গে ভার্চুয়ালি ওয়ার্ল্ড এর মধ্যে অবাধ বিচরণ করা সেই সঙ্গে অত্যধিক প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতা ও চিন্তা করা বিশেষ করে আমি এক কোটি টাকা চাকরি না পেলে কি হবে এই ধরনের মানসিকতা নিয়ে যখন তারা আইআইটি তে আসছে তখন বাস্তবের মাটিতে তাদের ইন্ডিভিচুয়াল অ্যাড্রেস করার ক্ষমতা আমাদের না থাকায় সমস্যা তৈরি হচ্ছে। কারন আমাদের কুড়ি হাজার কাউন্সিলর নেই। তাই আমরা এটাকে একটা সামাজিক ব্যাধি হিসেবেই বলতে পারি। পাশাপাশি এদিন ডিরেক্টর মিডিয়ার দায়িত্ব নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।। তিনি বলেন সুসাইড খবর নিয়ে মিডিয়ারা বেশি তোলপাড় করে যদিও তারা তাদের কাজে ছাড়তে হয়তো কোথাও করতে হয়।
কিন্তু এই সুসাইড নিয়ে এখন গ্ল্যামারাস স্টোরি হিসেবে ছাত্রদের মোবাইলে ঘোরাফেরা করছে। তিনি উদাহরণ স্বরূপ বলেন আমার একটা গ্রুপে এরকম মেসেজ এসেছে তাতে এক ছাত্র লিখছে,”আমি ভেবেছিলাম আমি সুসাইড করব কিন্তু আজকে আরেকজন করে নিল,তাই করলাম না,ঠিক কেন এটা! তুমি কিছুটা কটাক্ষ করে এও বলেন সুসাইড কে আজকে বিপণন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা সেগুলো প্রচার করে এবং আলোচনা করে বেশি হাইলাইট করছি বলে মনে হয়।”তবে এই মৃত্যু কি কোন ভাবে আটকানো যায় না চেষ্টা করলে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন,”প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী শত চেষ্টা করেছেন তবুও কি পথ দুর্ঘটনা আটকানো গেছে,আটকানো যায়নি। কারণ মানুষ চাইনি।তিনি এও বলেন ছাত্রদের মধ্যে অনেক বেশি চাওয়া পাওয়া রয়েছে,চাওয়া পাওয়া অভিভাবকদের।
একটা উদাহরণ স্বরূপ তিনি বলেন আমাদের ছোটবেলায় আমরা পড়াশোনার জন্য শিক্ষকের কাছে কতই মার খেয়েছি। কিন্তু এখন শিক্ষক কোন একটা ছাত্র ভুলে তার খাতা ছুড়ে ফেলে দিলে ছাত্রটি সুসাইড করে নেয়। এখন শিক্ষা কে কন্ট্রোল করতে চাই ছাত্ররা? আসলে এই সুইসাইডকে বিপণন হিসেবে ব্যবহার করছে কিছু ছাত্র, যারা পড়াশোনা করতে চায় না তারাও।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,চলতি বছরে জানুয়ারি থেকে এই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় 6 জন পড়ুয়ার মৃত্যু ঘটেছে।যার বেশির ভাগ টাই ভেতর থেকে দরজা বন্ধ ও।এই নিয়েই প্রশ্ন চিহ্ন খড়গপুর IIT তে।