Jhargram News: ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সহায়তায় বাড়িতে বসেই পরিষেবা পেল বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন যুবক

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,ঝাড়গ্রাম:

২০১৮ সালে গোপীবল্লভপুরে ভয়াবহ বাইক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন স্নেহাংশু দে। অনেক লড়াই করে নতুন করে জীবন ফিরে পেয়েছেন বেলিয়াবেড়া ব্লকের চোরচিতা গ্রামের এই যুবক। স্নেহাংশু বর্তমানে ৯০% শারীরিক প্রতিবন্ধী।বাবা মা দুজনকেই হারিয়েছেন। স্নেহাংশু একা বাড়িতেই থাকেন সর্বক্ষণ,মন চাইলেও শারীরিক অসুবিধার জন্য বাইরে বেরোতেই পারেন না।

মূলত সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের নানান সাফল্য দেখে স্থানীয় “অধিকার মিত্র”র সাথে যোগাযোগ করেন স্নেহাংশু । গোপীবল্লভপুর ২ ব্লকের “অধিকার মিত্র” রীতা দাস দত্ত স্নেহাংশু দের বাড়িতে জান এবং সমস্ত সমস্যার কথা লিপিবদ্ধ করেন।অধিকার মিত্রের মাধ্যমে জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিবের কাছে নানান সমস্যার সমাধানের জন্য লিখিত আবেদন জানান এই যুবক।
স্নেহাংশুদের লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিব রীতা কে নির্দেশ দেন কাজগুলো দেখার জন্য।”অধিকার মিত্র”রীতা নানান সময়ে স্নেহাংশুদের বাড়িতে গিয়ে দরকারি নথিপত্র আনতে গিয়ে লক্ষ্য করেন স্নেহাংশুর বেগে রাজ্য সরকারের “বিনা মূল্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনা” প্রকল্পের পাসবুক আছে।স্নেহাংশু উক্ত প্রকল্পের পরিষেবা সম্বন্ধে অবগত আছেন কী না রীতা জানতে চাইলে স্নেহাংশু কিছুই বলতে পারেন না।

রীতা উক্ত প্রকল্পে শারীরিক অক্ষমতায় আর্থিক সহায়তা সহ প্রকল্পটি সম্বন্ধে স্নেহাংশুকে অবগত করান এবং ব্লকের শ্রম দপ্তরের কার্যালয়ে গিয়ে আধিকারিকের কাছ থেকে ক্লেম এর প্রসেস জেনে সেই প্রকল্পে শারীরিক অক্ষমতায় যে আর্থিক সহায়তা পাওয়া যায় তার আবেদন করেন চলতি বছরের এপ্রিল মাসে।এরপর গত বৃহস্পতিবার ব্লকের শ্রম দপ্তর কর্তৃপক্ষ রীতা কে জানান স্নেহাংশুদের ব্যাংকের সেভিং একাউন্ট চেক করার জন্য।স্নেহাংশুদের ব্যাংক একাউন্ট চেক করতে গেলে দেখা যায়”বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনা “প্রকল্পের ক্লেমের পঞ্চাশ হাজার টাকা আজকেই স্নেহাংশুর ব্যাংক একাউন্টে জমা হয়েছে।

ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মতো “অধিকার মিত্র” রীতা দাস দত্ত ব্যংক পাসবুক আপডেট করে স্নেহাংশু দের বাড়িতে গিয়ে ক্লেমের পঞ্চাশ হাজার টাকা পেয়েছেন বলে জানিয়ে দিয়ে আসেন।খুশির খবর পেয়ে স্নেহাংশু আমাদেরকে জানান , ‘রাজ্য সরকারের ওই প্রকল্প আমার করা ছিলো কিন্তু এর থেকে কী কী পরিষেবা পাওয়া যায় ওটা আমার জানাই ছিলোনা, আমাকে রীতা ব্যাপারটি জানান এবং উনিই সম্পূর্ণ কাজটা করে দিয়েছেন, আমি ক্লেমের পঞ্চাশ হাজার টাকা পেয়েছি।’



Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

dnews.in