
কোতবাজার 26 সে সেপ্টেম্বর:
গোপাল ভাঁড় থেকে মুখ ফিরিয়েছে ছোটরা তাই তাদের সেই চরিত্রকে ফিরিয়ে আনতে নতুন করে গোপাল ভাঁড় থিম কোতবাজার পুজো কমিটির।৮০ বছরের এই পুজো ৮ লক্ষ টাকা খরচা করে এবারে থিম আসছে গোপাল যাচ্ছে গোপাল। পুজো যে শুধু বড়দের নয় তা বোঝানোর জন্য এই বার্তা এই কমিটির।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর শহরের যতগুলো পুজো হয় তার মধ্যে এক অন্যতম হলেও কোত বাজারের দুর্গোৎসব কমিটির পুজো।গুটিগুটি পায়ে এবারে ৮০ বছরের পদার্পণ করল এই দুর্গোৎসব।ছোটদের কমিকস চরিত্রে ফিরিয়ে আনতে সেই সঙ্গে আনন্দ বিনোদনের জন্য এবারের থিম গোপাল ভাঁড় সম্বলিত আসছে গোপাল যাচ্ছে গোপাল।এই কমিটির বক্তব্য বর্তমানে মোবাইল দাপটে সেই সঙ্গে ফেসবুক সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে হারিয়ে গেছে কমিকস চরিত্র। আশি নব্বইয়ের দশকে যে আনন্দ বিনোদনের জন্য যে ধরনের পুরাণ কথা এবং কমিকস চরিত্র ছোটদের দেখানো হতো সেগুলো আজ আর নেই।তার জায়গায় দখল নিয়েছে বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যম এবং রিলস।তাই সেই সব তরুন এবং শৈশব এর কাছে পুনরায় কমিকস চরিত্র ফিরিয়ে আনতে এবারে গোপাল ভাঁড় সম্বলিত থিম আসছে গোপাল যাচ্ছে গোপাল।

তৎকালীন সময়ে এই গোপাল ভাঁড়ের যে চরিত্র ছিল যে চরিত্র নিয়ে সর্বদাই মজা কৌতূকে হাস্যরসে পরিপূর্ণ থাকত এবং তাতেই মেতে উঠত তখন এর আট থেকে আশির মানুষজন।সেই গোপাল ভাঁড়ের ছোট ছোট গল্প সে সঙ্গে কূট কাচালি এবং হাস্যরস মিশ্রিত এই থিম তুলে ধরেছে এই দুর্গোৎসব কমিটি।রয়েছে তার রাজার সভাসদ পন্ডিত এবং রাজপ্রাসাদ।এখানে মন্ত্রী সন্ত্রীর সঙ্গে বসে রয়েছে স্বয়ং গোপাল ভাঁড়। যদিও মন্ডপে ঢুকতে গেলে প্রথমেই দর্শন করতে হবে এই ভুঁড়িওয়ালা সে গোপাল ভাঁড়ের।এরপর মণ্ডপের বিভিন্ন আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তারই সে দৃশ্য।উল্লেখ্য,প্রতিবছরই এই পুজো কমিটি শুধু বড়দের না সেই সঙ্গে ছোটদেরও আনন্দ বিনোদনের জন্য বিভিন্ন ধরনের থিমের উপহার দিয়ে এসেছে।

গতবারের আলিবাবার চল্লিশ চোর থিমের খুল জা সিম সিম ব্যাপক পরিমাণে নাম কুড়িয়ে ছিল জেলা বাসির। খুল জা সিম সিমের সেই দরজা বন্ধের দৃশ্য বিভিন্ন পত্রপত্রিকা সহ সোশ্যাল মাধ্যমে ব্যাপক পরিমাণে ভাইরাল হয়।যাকে সম্বল করেই এবারে গোপাল ভাঁড়।সেই সঙ্গে গোপাল ভাঁড়ের রাজপ্রাসাদে কিভাবে দুর্গাপুজো হয় তাও বর্ণনা করে তুলে ধরা হয়েছে এই মন্ডপে।যদিও শেষ তুলির টান চলছে মন্ডপের দরজায় শিল্পীদের।

এ বিষয়ে সঞ্জীব মল্লিক,প্রসূন পাত্র,দেবাশীষ দে,প্রিয়ম সিনহা সহ ক্লাব কর্তারা বলেন,”নতুন প্রজন্ম ভুলতে বসেছে গোপাল ভাঁড় কে আর আমরা তা হতে দেব না। একসময় যাকে দেখে দেখে আমাদের শৈশব কেটেছে, যার বুদ্ধি যার হাস্যকৌতুক আমাদের শৈশবের চলার পথে প্রাণ যুগিয়েছে সেই কমিকস চরিত্রকে আমরা বাস্তবে তুলে ধরেছি।

আমাদের পুজোর থিম শুধু বড়দের না সে সঙ্গে ছোটদের বিনোদনের জন্য।তাই গতবারের মতন এবারও ৮০ তম বর্ষে আমাদের থিম আসছে গোপাল,যাচ্ছে গোপাল।