
খেমাশুলি 20 ই সেপ্টেম্বর:
সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শেষ পর্যন্ত সফল হলো না কুড়মি সমাজের ডাকা রেল টেকা (রেল রোকো), ডহর ছেঁকা (জাতীয় সড়ক অবরোধ)।আদালতের নির্দেশ কিংবা রেল ও পুলিশ-প্রশাসনের আবেদন সত্ত্বেও কুড়মী সমজের মূল হোতা অজিতপ্রসাদ মাহাত পূর্বঘোষিত রেল ও জাতীয় সড়ক অবরোধে অনড় ছিলেন তিনি। শুক্রবার রাতে একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে বিষয়টি স্পষ্ট করেন অজিত। তিনি জানিয়ে ছিলেন পূর্ব ঘোষিত তাঁদের কর্মসূচি হচ্ছেই। কোন অশান্তি বা বিশৃঙ্খলা হলে তার দায় পুলিশ-প্রশাসনের!যদিও সকাল থেকেই করার নিরাপত্তায় ছিল পুলিশ বাহিনী।

কোথায় কুড়মিরা? দেখা নেই সকাল থেকেই।কড়া প্রহরা পুলিশের।যদিও, শুক্রবার রাতেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন সমাজের মূলমান্তা অজিত মাহাত।মূলত শনিবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর গ্রামীণের খেমাশুলি স্টেশনে দেখা গেলনা কোন কুড়মি আন্দোলন কারী কেই। উল্টোদিকে, রেল পুলিশ ও জেলা পুলিশের বিশাল বাহিনী ঘিরে রেখেছে ওই এলাকা। জাতীয় সড়কও পুলিশে ছয়লাপ।জেলার প্রস্তাবিত অন্য স্টেশনগুলিতেও একই অবস্থা বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, এদিন ভোরে কিছু কুড়মি নেতা ও কর্মীরা খেমাশুলিতে পৌঁছনোর চেষ্টা করলেও পুলিশের তাড়া খেয়ে মাঝরাস্তা থেকেই পালিয়ে যায়।যদিও, এনিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন উভয়পক্ষই। খড়্গপুরের এসডিপিও ধীরজ ঠাকুর সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। রেল আমাদের জানিয়েছে, পরিষেবা সচল আছে।

জাতীয় সড়কে যান চলাচলও স্বাভাবিক।’ শালবনি, চন্দ্রকোনারোড সহ জেলার বাকি অংশেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) পিনাকী দত্ত।
অন্যদিকে ঝাড়খণ্ডের গালুডি ও রাখামাইন স্টেশনের মাঝমাঝি এলাকায় রেলের এল.সি গেটে কুড়মিদের অবরোধ করে রেখেছিল।আন্দোলনকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করে রেল পুলিশ ও স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিকরা।এর জেরে বিভিন্ন স্টেশনে আটকে গিয়েছে বন্দেভারত এক্সপ্রেসের মতো একাধিক ট্রেন।

উল্লেখ্য, এস.টি তালিকাভুক্ত করা সহ বেশ কয়েকটি দাবিতে কুড়মিরা শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে রেল টেকা বা রেল অবরোধ এবং ডহর ছেঁকা বা পথ অবরোধের ডাক দিয়েছিল। যদিও, আদালতের (কলকাতা হাইকোর্টের) তরফে তাদের এই কর্মসূচিকে ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দেওয়া হয়। সেইসঙ্গেই কুড়মিদের এই অবরোধ কর্মসূচি রুখতে প্রশাসনকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশও দেওয়া হয়।