Vote Nomination:মার খেয়ে কোর্টের দ্বারস্থ CPIM!অবশেষে হাইকোর্টের নির্দেশে নমিনেশন বামেদের

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:

সমবায় ব্যাংকের ভোটেও ধাক্কা খেলো শাসকদল।কোর্টের নির্দেশে মনোনয়ন তুলতে এলো বামেরা।তবে ৫১ টি সিটের মধ্যে মোট চারটি সিটের এদিন মনোনয়ন তোলেন তারা।আগামী ২৩ শে মার্চ রয়েছে এই পিপিলস্ কো অপারেটিভ ব্যাংকের পরিচালন কমিটির ভোট।এদিন ভোট নিয়ে নিজেদের জয় দেখছে বামেরা।

আর দশটার সমবায় ব্যাংকের মতো মেদিনীপুর শহরে কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত পিপিলস কো-অপারেটিভ ব্যাংকের পরিচালন কমিটির ভোট রয়েছে আগামী ২৩ শে মার্চ।আর এই পরিচালন কমিটির ভোটে সিট সংখ্যা ৫১ টি।যদিও দীর্ঘ ১০ বছর ভোট হয়নি এই ব্যাংকের।এবারে সেই ভোটের পূর্বে ছিল মনোনয়ন তোলার কাজ।তবে গত ২৫ তারিখ মনোনয়ন তুলতে এসে রীতিমত মার খেয়ে ঘর যান বামেরা,সেরকমই ছবি উঠে ফুটে উঠে এই মেদিনীপুর শহরে। কড়া পুলিশ প্রহরার মধ্যেও তৃণমূল ও বামেদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মেদিনীপুর।বামেদের অভিযোগ যখন তারা একসঙ্গে মনোনয়নপত্র তুলতে আসছিলেন সেই সময় কঠোর পুলিশের নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও তাদেরকে তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতী বাহিনীরা মারতে মারতে বের করে দেয়,মনোনয়ন তোলার চত্বর থেকে।

এই ঘটনায় কয়েকজন আহত হন।এরপরে এই ঘটনায় চার প্রার্থী রীতিমতো দ্বারস্থ হন হাইকোর্টে।হাইকোর্ট তাদের আবেদনের ভিত্তিতে মনোনয়নের আগ্রহী হয়।আদালত রায় দেয় যাতে এই চারজন পুলিশি প্রহরায় যেন মনোনয়ন তুলতে পারেন এবং জমা দিতে পারেন।সেই রায়ের পরই এদিনই বেলা এগারোটা নাগাদ এই বাম চার প্রার্থী সুকুমার আচার্য, অজয় মিত্র,সোমনাথ দে এবং উত্তম চক্রবর্তী মনোনয়ন তুলতে আসেন এবং জমাও দেন।এরপর তারা সংবাদ মাধ্যমের কাছে তীব্র ক্ষোভ উগরে দেন।উল্লেখ্য এর আগের দিন মনোনয়ন তুলতে এসে রীতিমতো মার খেয়ে ঘরে ফিরতে হয়েছে বামেদের।শেষে পুলিশের দিকেই থুতু ছুঁড়ে ধিক্কার জানিয়েছে বাম নেত্রী সহ বাম কর্মী সমর্থকরা।

এ বিষয়ে বাম প্রার্থী সুকুমার আচার্য বলেন,”আমরা গতবার মনোনয়ন তুলতে এসেছিলাম কিন্তু তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। যার ছবি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম সহ সোশ্যাল মাধ্যমে ফুটে ওঠে। একটা ব্যাংকের নির্বাচন এবং আমাদের অধিকার আছে মনোনয়ন তোলা তোলার।মার খাওয়ার পর আমরা কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি যে ঘটনায় কোর্ট সবকিছু দেখে আমাদের হয়েই রায় দিয়েছেন,মনোনয়ন তোলার জন্য। মোট ৫১ টি শিট এর মধ্যে আমরা চারজন যেহেতু কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলাম তাই আজকে আমরা চারজনই মনোনয়ন তুলেছি জমা দেবো।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই পিপলস কো অপারেটিভ ব্যাংক ২০১১ এর আগে পর্যন্ত বামেদের দখলে ছিল। তবে পালা বদলের পর ধীরে ধীরে তার শাসক দল তৃণমূলের দখলে চলে যায়। যদিও মাঝে ১০ বছর কোনরকম পরিচালন কমিটি ভোট হয়নি এই সমবায় ব্যাংকের। দীর্ঘ বছর পর এবারে ২০২৫ সালে সেই পরিচালন কমিটির ভোট শুরু হয়েছে।যদিও এ ব্যাংকের মনোনয়ন জমা ও তোলা চলবে আগামী ২৮ শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ভোট অনুষ্ঠিত হবে পরের মাসে ২৩ তারিখ।যদিও সূত্র অনুযায়ী জানা যায় বামেরা বাকি ৪৭ টি সিটের জন্যও কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছেন এই দিন।


Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

dnews.in