
নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
মেদিনীপুরের পিপিলস ব্যাংক কো-অপারেটিভ পরিচালন কমিটির নির্বাচন ঘিরে উত্তপ্ত মেদিনীপুর।মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে বামেদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের হাতাহাতি।আহত বেশ কয়েকজন।ক্ষোভে পুলিশের দিকে থুথু ছুড়লেন সিপিএম নেত্রী। যদিও অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের।

এবার একটি ব্যাংকের পরিচালন কমিটির ভোটের মনোনয়ন তোলা নিয়ে গন্ডগোল ছড়ালো মেদিনীপুরে। মূলত মেদিনীপুর শহরের কোতোয়ালী থানার অন্তর্গত পিপিলস কো-অপারেটিভ ব্যাংকের ভোট আগামী ২৩ শে মার্চ।এই ব্যাংকের পরিচালন কমিটির সিট সংখ্যা ৫১ টি।ইতিমধ্যে এই ভোটকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে মনোনয়ন তোলার কাজ।গতকাল আর আজ ছিল এই মনোনয়ন তোলা ও জমা দেওয়ার পর্ব।কিন্তু এদিন মনোনয়ন তুলতে এসে এক প্রকার বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ল বাম বনাম তৃণমূল কর্মীসমর্থক নেতৃত্বরা।এইদিন দেখা যায় বিরাট পুলিশি প্রহরার মধ্যে যখন বামেরা মনোনয়ন তুলতে একজোটে আসছিলেন সেই সময় তাদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা।বামেদের অভিযোগ শাসকদলের কর্মী নেতৃত্বরা তাদের ধাক্কা দিয়ে এবং রীতিমতো মারতে মারতে বের করে দেয়।যেখানে পুলিশ ছিল নিষ্ক্রিয়।

এই ঘটনায় পুলিশের দিকে রীতিমত থুতু দিয়ে ক্ষোভ ব্যক্ত করেন বাম কর্মী সমর্থক ও মহিলা নেতৃত্বরা।যা নিয়ে ফের নতুন করে রাজনৈতিক উত্তেজনা মেদিনীপুর শহর ও জেলায়। বামেদের এও অভিযোগ পুলিশের মদতেই শাসকদলের নেতাকর্মীরা বাইরে থেকে লোক এনে জমায়েত করেছে এবং একটি ব্যাংকের নির্বাচনে গণতন্ত্র নষ্ট করেছে।এর জন্য পুলিশকে ধিক্কার জানাই।

এই নিয়ে বাম নেত্রী পাপিয়া সিংহ আচার্য বলেন,” ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও পাঁচশো হাজার লোক প্রথম থেকে জমায়েত করেছে শাসক দল। একটা গণতান্ত্রিক দেশ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভোট হচ্ছে সেখানে আমাদের কিছুতেই মনোনয়ন তুলতে দেয়নি,আমাদেরকে মাঝ রাস্তা থেকেই মেরে ধরে হাটিয়ে দিয়েছে তারা।তিনি এও অভিযোগ করেন করা পুলিশের কড়া পাহারা থাকলেও পুলিশ পুরোপুরি তৃণমূলের দলদাস হয়ে কাজ করে করেছে,তারা ছিল পুরো নিষ্ক্রিয়।

যদিও এই নিয়ে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে সর-গরম মেদিনীপুর শহর।তৃণমূল যুব নেতা নির্মাল্য চক্রবর্তী বলেন এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।শান্তিপূর্ণ মনোনয়নপত্র চলছিল সেই সময় সিপিএমের মহিলা এবং পুরুষ হার্মাদ বাহিনী আক্রমণ করতে গেলে আমাদের একজন আক্রান্ত হয়।যা নিয়েই উত্তেজনার ছড়িয়ে পড়ে।আমরা কোন প্ররোচনায় পা দেব না,আমরা শান্তিপূর্ণ ভোট করাব।

সেই সঙ্গে এর জবাব আমরা ভোটের জেতার মাধ্যমে দেব বামেদের।