
নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
রবীন্দ্র নগরের আশ্রমের বিরুদ্ধে এবার জেলাশাসককে ডেপুটেশন দিল মহিলা সংগঠন গুলি।তাদের বক্তব্য এলাকার মানুষ এবং ওই আবাসিকের মায়ের অভিযোগ মতো আশ্রমটির বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত এবং দোষী প্রমাণিত হলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয় এই অভিযোগ পত্রে।

শহরের প্রাণকেন্দ্র রবীন্দ্রনগর আর সেই রবীন্দ্রনগরে একটি আশ্রমকে ঘিরে কয়েকদিন ধরেই চলছে জোর তরজা।এই আশ্রমে থাকা এক আবাসিকের মা দেখা করতে এসে সঠিক উত্তর না পেয়ে প্রতিবাদ করেন।সেই সঙ্গে ওই আশ্রমের বিরুদ্ধে দেহ ব্যবসা,কুকীর্তি অসামাজিক কাজকর্মসহ একাধিক অভিযোগ এনেছেন। এরই সঙ্গে পাড়া-প্রতিবেশী এবং এলাকাগত ভাবেও এই ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে,দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন জায়গায় মাস পিটিশন।যা নিয়ে গোটা শহর উত্তেজনাময়।এই আশ্রম নিয়ে সোশ্যাল মাধ্যমে এক ও একাধিক পোস্ট করছে মেদিনীপুরের মানুষ জনসহ ভিন্ন ভিন্ন জেলার মানুষজন।অনেকেই চারদিক দিয়ে ঘেরা আশ্রমের অনৈতিক কাজকর্ম নিয়েও সোচ্চার হয়েছেন সোশ্যাল মাধ্যমে।যদিও এই নিয়ে তড়িঘড়ি সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছেন আশ্রমের আশ্রম কর্তৃপক্ষ।অন্যদিকে এই আশ্রমে ভিন্ন ধরনের কাজকর্ম নিয়ে এবার নড়েচড়ে বসল মহিলা সংগঠনগুলি।

গত কাল বৃহস্পতিবার এই নিয়ে জেলাশাসক দপ্তরের সামনে বিক্ষোভের পাশাপাশি জেলাশাসককে ডেপুটেশন দিল এই সংগঠনগুলি।সারা ভারত মহিলা সাংস্কৃতিক সংগঠন(AIMSS)সারা ভারত গণতান্ত্রিক যুব সংগঠন(AIDYO)সারা ভারত গণতান্ত্রিক ছাত্র সংগঠন গুলির(AIDSO)একত্রিত ভাবেই এই ডেপুটেশন তুলে দেন জেলা শাসক কে। তারা তাদের অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেন,”গভীর উদ্যোগের সঙ্গে আমরা লক্ষ্য করছি যে,এই রবীন্দ্রনগরে’রামকৃষ্ণ আশ্রম ঠাকুরবাড়ি’ নামক আশ্রমটিতে এলাকাবাসীর সেই সঙ্গে।এক তরুনীর মায়ের এক ও একাধিক অভিযোগ এনেছেন। যেই অভিযোগের মধ্যে রয়েছে আশ্রমটির সন্দেহজনক গতিবিধি,অসামাজিক কাজ ও মধুচক্রের মতন অভিযোগ। এটাও জানা গেছে যে এই নিয়ে এর আগে জেলার পৌরসভা,DM,এস পি,পৌরসভা কে লিখিত দিয়েও কোন ফল পাওয়া যায়নি।

এরই সঙ্গে তারা চিঠিতে এও উল্লেখ করেছেন যে, এলাকাবাসীদের কথামতো আশ্রম থেকে মহিলাদের আর্তনাদ, সব সময় গেট বন্ধ থাকলেও গভীর রাতে সন্দেহজনক গাড়ির ঢোকা বেরোনো ঘটে।যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ এই সংগঠনগুলি।” পাশাপাশি সংগঠন গুলির দাবি এই অবস্থায় এই আশ্রমটিতে সঠিক তদন্ত এবং দোষী প্রমাণিত হলো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,কয়েকদিন আগে এই আশ্রমটির ঠিক বাইরে এক আশ্রম আবাসিকের মা হঠাৎই চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেন।সেই সঙ্গে আশ্রমের মহারাজের বিরুদ্ধে দেহ ব্যবসা,মধুচক্র চালানো সহ একাধিক অসামাজিক কাজকর্মেরও অভিযোগ করেন তিনি। সকাল থেকে রাত অব্দি মেয়ের সঙ্গে সঠিকভাবে কথা বলতে না পেরে তিনি যখন রাত্রিতে ফিরছিলেন সেই সময় আবাসিকরা তাকে মারধর করেও বলে অভিযোগ। এই মহিলার পাশাপাশি আশ্রমের বিরুদ্ধে।একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন এলাকার মানুষজন।