
নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
কাশ্মীরে ভয়ঙ্কর জঙ্গি হানায় ক্ষতবিক্ষত এক ও একাধিক পর্যটক।সেই ঘটনায় তড়িঘড়ি সামরিক অভিযান চালিয়েছে কেন্দ্র সরকার। চলছে জঙ্গি নিকেশ পর্ব।তবে এরই মধ্যে মেদিনীপুর থেকে কাশ্মীরে ঘুরতে গিয়ে আটকা পড়লো একটি যাত্রী বোঝাই বাসযাত্রীরা। নিয়ে যাওয়া ট্যুর অপারেটরের থেকে পরিবারের সদস্যরা সকলে উৎকণ্ঠায় রয়েছে পরিবারের জন্য।

কাশ্মীরে জঙ্গি হানা,একের পর এক পর্যটককে দিন দাহাড়ে খুন করেছে জঙ্গিরা।এরই মধ্যে কাশ্মীরে ঘুরতে গিয়ে আটকা পড়ল মেদিনীপুরের এক পর্যটক বোঝাই বাস।মূলত চলতি মাসের ১১ তারিখ মেদিনীপুর থেকে কাশ্মীর ঘুরতে গিয়েছিল ৫৯ জন পর্যটক।মঙ্গলবার রাতেই কাশ্মীর থেকে মেদিনীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার কথা ছিল তাদের। তবে ভয়াবহ জঙ্গি হানার পর কাশ্মীরেই আটকে গিয়েছে ৫৯ জন যাত্রী নিয়ে পর্যটক বোঝাই বাস।এই ঘটনায় ক্রমশ উৎকণ্ঠা বাড়ছে মেদিনীপুর শহরের মিয়াবাজার তালতলা বস্তিতে। গতকাল বিকেলের পর থেকে অধিকাংশ পর্যটক এরই পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ হয়নি,বলেই দাবি পরিবারের সদস্যদের।যদিও টুর অপারেটর টিমের গাইডের যোগাযোগ করা গিয়েছে।তিনি জানিয়েছেন, কাশ্মীরেই আটকে রয়েছেন তারা।ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে খাওয়ার রসদ।

কতক্ষণে কাশ্মীর ছাড়তে পারবেন তারা তা এখনো পর্যন্ত জানেন না পর্যটকরা। মেদিনীপুরে পর্যটকদের আত্মীয়দের মধ্যে বাড়ছে উৎকণ্ঠা।চোখের জল নিয়েই তাদের আশা দ্রুত বাড়ি ফিরে আসুক পরিবারের সদস্যরা।

এই বিষয়ে যিনি বাস ছাড়ছিলেন তার ছেলে শেখ শাহেনশাহ বলেন,”প্রতিবছরের মতে এ বছরও বাস ছাড়া হয়েছিল এবং তাতে প্রায় ৫৯ জন যাত্রী গিয়েছে আমাদের এই মেদিনীপুর থেকে।কিন্তু এরকম একটা ভয়ংকর ঘটনা ঘটার পর আমরা খোঁজ খবর নিয়েছি, তারা শ্রীনগরের একটি হোটেলে রয়েছে।এখনো পর্যন্ত ভালো আছে তবে আমরা উদ্বিগ্ন এবং আতঙ্কিত।যদিও সেনাবাহিনী থেকে তাদেরকে বারে বারে সাহায্য করা হচ্ছে,খাবারদাবার দেওয়া হচ্ছে এবং পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।আমরা এখন অপেক্ষায় আছি, কখন ফিরবে আমাদের পরিবারের লোকজন।