
মেদিনীপুর 21 সে সেপ্টেম্বর:
স্কুলে আসার নাম করে বাইরে আড্ডা মেরে ঘুরে ফিরে বাড়ি ফিরছে পড়ুয়ারা। কখন কখন ঘটছে দুর্ঘটনা।সেই সঙ্গে ঘটছে নারী নির্যাতনের ঘটনা।তাই অভিভাবকের সঙ্গে স্কুলের যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠ গার্লস স্কুলে বসলো RAF মেশিন (রেডিও একটিভ ফ্রিকোয়েন্সি মেশিন)।ছাত্রীর আইকার্ডের সঙ্গে সংযুক্ত করা হলো এই মেশিনের।খুশি পড়ুয়া সহ স্কুল কর্তৃপক্ষ।

বর্তমান যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিপথগামী হচ্ছে পড়ুয়ারা বিশেষ করে কম বয়সী এবং উঠতি টিন এজ গ্রুপের মধ্যেই এই প্রবণতা সবচেয়ে বেশি।বিশেষ করে স্কুল যাওয়ার নাম করে অন্য কোথাও চলে যাওয়া, স্কুল থেকে ছুটি হওয়ার পর বন্ধুবান্ধব এবং প্রিয়জনের সঙ্গে ঘুরতে চলে যাওয়া।এর ফলে একদিকে যেমন দুর্ঘটনা ঘটে চলছে ঠিক তেমনি অসহায় উঠছে স্কুল কর্তৃপক্ষ সহ পড়ুয়াদের অভিভাবক অভিভাবকেরা।এর সঙ্গে বর্তমান সমাজে ড্রাগের নেশায় আসক্ত হচ্ছে পড়ুয়ার দল। পাশাপাশি বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে রিলের জগতে রিল বানানোর জন্য স্কুলে আসার নাম করে মিথ্যে কথা বলে পাড়ি দিচ্ছে তারা।যার জন্য দিনের পর দিন একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটে চলছে,যার জন্য হারাতে চলছে শৈশব, হারাচ্ছে অভিভাবক তাদের কচিকাঁচাদের।এরকমই এক পরিস্থিতিতে মেদিনীপুর বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠ হাই গার্লস হাই স্কুল বসলো RAF (রেডিও একটিভ ফ্রিকোয়েন্সি ) মেশিন।

সেই সঙ্গে পড়ুয়াদের জন্য চালু হলো RAF ID অর্থাৎ রেডিও একটিভ ফ্রিকোয়েন্সি কার্ড।মূলত স্কুলের ছাত্রীদের আই কার্ডে চিপ লাগিয়ে কিউ আর কোড দিয়ে এই কার্ড টি তৈরি করা হয়েছে।সেই সঙ্গে তার আইডির সঙ্গে একটি অভিভাবকের ফোন নাম্বার যোগ করা হয়েছে।যার কাজ হলো টাইম টু টাইম অ্যাটেনডেন্স আপডেট করা। এর ফলে এই ছাত্রীটি যখন স্কুলে আসবে তারা এই আইডি ওই মেশিনের কাছে নিয়ে গেলেই গ্রীন সিগন্যাল হয়ে ব্লিঙ্ক করবে।সেই সঙ্গে সঙ্গেই একটি মেসেজ তার অভিভাবকের কাছে পৌঁছে যাবে যে তার মেয়ে স্কুলে পৌঁছে গেছে।এরপর যখন ছাত্রীটি স্কুল থেকে বেরোবে তখন পুনরায় এই মেসিনের কাছে গিয়ে টাচ করলেই মেসেজ চলে যাবে অভিভাবকের কাছে।তাতে বোঝা যাবে ছাত্রীটির ছুটি হয়ে গেছে।এর ফলে খুশি পড়ুয়া,অভিভাবক সহ স্কুল কর্তৃপক্ষ।

এই বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,”এটা বায়োমেট্রিক না এটা ডিজিটাইজেড এক ধরনের মেশিন।যার দ্বারা অভিভাবকের সঙ্গে স্কুলের লিংক করা হয়েছে।ছাত্রীরা স্কুলে ঢুকলেই মেসেজ চলে যাবে তার অভিভাবকের কাছে।এর ফলে একদিকে যেমন চিন্তা কমবে অন্যদিকে তেমনি টেনশন মুক্ত হবে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া বর্তমানে নারী নির্যাতনের হাত থেকে মেয়েরা রেহাই পাবে পাশাপাশি বিপথ গামী পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করা যাবে।আমরা প্রথমে একাদশ শ্রেনীর ছাত্রীদের মধ্যে এই ব্যবস্থা চালু করলাম।এটা সফল হলে পরে পরে সমস্ত ক্লাসের পড়ুয়াদের মধ্যে চালু হবে।

এই RAF চালু হওয়ায় খুশি পড়ুয়ারা।অমৃতা সিংহ,মনীষা দাস,রামিয়া খাতুনরা বলে,”এই পরিষেবা চালু হওয়ায় আমরা খুবই খুশি।কারণ বর্তমানে রাস্তা ঘাটে নারী নির্যাতনের শিকার মহিলারা।তাছাড়া বর্তমান প্রজন্ম সোস্যাল মাধ্যমের যুগে বিপথ গামী।তাদের ও একটু সঠিক পথে আনা দরকার।কারণ এর আগে অনেক ঘটনা এমন স্কুলে ঘটেছে।আমরা স্কুলের মেশিন বসানোয় খুবই খুশি হয়েছি।