
নিজস্ব প্রতিনিধি,বেলদা:
পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র বিনা ছাঁচেই বানিয়ে ফেলল তিন ফুটের দুর্গা।দুর্গার সঙ্গে থাকছে কার্তিক,গণেশ,লক্ষী ও সরস্বতী।এই তিন ফুটের দুর্গা এবারে পূজিত হবে দাস রাই পরিবারে।ছোট অর্পণের এই কৃতিত্বে খুশি বাবা-মা।অর্পণ অবসর টাইম পেলেই বিভিন্ন মূর্তি গড়ে বেড়ায়।
হাতে গোনা আর কটা দিন এরপরই পুজোর উৎসবে মেতে উঠবে বাংলা সহ বাঙালি।যখন একদিকে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচা করে থিমের প্রতিমা,থিমের মন্ডপ তৈরি হচ্ছে তখন ঠিক উল্টোদিকে নিজের প্রায় সমান উচ্চতায় তিন ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট আস্ত দুর্গা প্রতিমা বানিয়ে তাক লাগালো পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার বাসিন্দা স্বপন দাসের। ছেলে অর্পণ দাস রায়।পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র অর্পণ বেলদার একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ের ছাত্র।পড়াশোনার অবসরে চলে তার এই কাজ। ছিপছিপের চেহারার ছোট্ট একটি বাচ্চা ছেলে।সারাদিন স্কুল,টিউশন,গান মিলে ব্যস্ততায় কাটে তার।তবে তার নেশা বিভিন্ন ধরনের পুতুল তৈরি করা।সারা বছর বিভিন্ন পুজোর সময়ে সে বানিয়ে ফেলে ভিন্ন ভিন্ন মূর্তি।যেগুলো সে নিজেই পুজো করে। এবারে দুর্গাপূজা উপলক্ষে নিজের পড়াশুনো ও অন্যান্য কাজের পাশাপাশি বাড়িতেই তৈরি করছে দেবী দুর্গার মূর্তি ।শুধু তাই নয় মহালয়ার দিন খেলনা পুতুল দিয়ে বানিয়েছে সপরিবারে দেবী দুর্গা।এছাড়াও বাড়িতে দুর্গাপূজার আয়োজন এর জন্য নিজেই প্রতিমা বানিয়ে পূজোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।তাকে শুধুমাত্র উপকরণ কিনে দিয়ে সহযোগিতা করেছে পরিবারের লোকজন।বাকি নিজের হাতে বিনা ছাঁচে তৈরি করছে দেবী দুর্গার মৃন্ময়ী মূর্তি।


এছাড়াও নিজের হাতে তৈরি করেছে আমন্ত্রণ পত্র। এখানেই থেমে নেই এই ক্ষুদে।নিয়ম মত নির্দিষ্ট পঞ্জিকা দেখে নিজে পুজোর চারটি দিন আড়ম্বর সহকারে পুজো করবে ছোট্ট অর্পণ।অপরদিকে তার এই কৃতিত্বে গর্বিত তার বাবা-মা।পাশাপাশি তার সৃষ্টিশীলতায় মুগ্ধ এলাকার মানুষ।তবে ছাঁচ বিনা এবং নিজের ব্যক্তিগত উদ্যোগে খড় মাটি দিয়ে দুর্গা প্রতিমা তৈরি করা কে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে।

এই বিষয়ে ছোট্ট অর্পণের বক্তব্য,”ছোট থেকেই আমার ইচ্ছে বিভিন্ন মূর্তি গড়া,পড়ার অবসর টাইমে আমি এসব কাজ করি,আমার খুব ভালো লাগে।এবারের তিন ফুটের একটা দুর্গা তৈরি করেছি সম্পূর্ণভাবে এবং এই পূজোর কটা দিন আমরা এটা পূজাও করব।
অন্যদিকে তার অর্পণের মা পারমিতা দাস রায় বলেন,”ছেলে ছোট থেকেই ঠাকুর ভক্ত।ওর একটা ছোট কৃষ্ণ ঠাকুর রয়েছে এবং সেই গোপু কে নিয়েই ও সব জায়গা যায়।অবসর টাইমে ও হাতের কাজ তৈরি করতে ভালো বাসে বিভিন্ন ঠাকুরের মূর্তি সে গড়ে গড়ে তুলে। এইসব কাজ মূলত তা সে ইউটিউব দেখে শিখেছে এবং কিছুটা সাহায্য করে ওর বাবা।ও বড় হয়ে যেরকম ভাবে গড়ে উঠতে চায় আমরা সেরকমভাবে ওকে সাহায্য করবো।