Suvendu Adhikari Sava :মমতার শাড়িতে 215 জন বিজেপি কর্মীর রক্ত লেগে,তাই মমতার সঙ্গে কোথাও না! শুভেন্দু

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,চন্দ্রকোনা রোড :

চন্দ্রকোনাতে আলু বীজ বিলি করতে এসে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে বিষোদগার বিরোধী দল নেতার।বললেন মমতা ব্যানার্জির হাতে গায়ে এবং শাড়িতে বিজেপি কর্মীর খুনের রক্ত লেগে রয়েছে তাই রাজ্যের মানুষ চায় না মমতা ব্যানার্জি এই রাজ্যে কোনো রাষ্ট্রবাদী দল নিয়ে মিটিং করুক।

এই অকাল বর্ষণে রাজ্যের সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ক্ষতি হয়েছে আলু চাষি সহ ধান চাষীদের।ক্ষতিগ্রস্থ আলুচাষি ও অন্নদাতা কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে ঝাড়গ্রাম জেলা বিজেপি কিষাণ মোর্চার উদ্যোগে চন্দ্রকোনা রোডে আলু বীজ বন্টন শিবির অনুষ্ঠিত হলো এইদিন। এই বীজ বন্টন শিবিরে চাষীদের হাতে আলুর বীজ তুলে দিতে দৌড়ে এসেছিলেন রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এদিন মঞ্চ থেকে তার জেলার বিজেপি কার্যকর্তাদের নিয়ে এই সভা সারেন।আলু বীজের বস্তা চাষিদের হাতে তুলে দেন। এরপর তার আরামবাগ অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন এবং বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর উত্তর দেন।প্রথমেই সাংবাদিকরা ডেরেক ও ব্রায়েনকে সাংসদ থেকে সরানো প্রসঙ্গ নিয়ে প্রশ্ন করলে শুভেন্দু অধিকারী বলেন এক যাত্রায় পৃথক ফল হবে কি করে।উনারা যখন সাসপেন্ড করেন আমাদের তখন তো ঠিক হয় আর উনাদের বেলায় হলেই সমস্যা।যখন শুভেন্দু অধিকারী কে সাসপেন্ড করেছিল,তখন তো উনি ঠিকই বলেছিলেন।

এরপর নতুন করে ইডিও সিবিআই এর বেহালা,কলকাতা সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি প্রসঙ্গে শুভেন্দু বাবু বলেন টাকা লুকাবে কোথায়? আমাদের একটাই স্লোগান চোর ধরো জেল ভরো।এরপর ললিত ঝাঁ কলকাতায় যোগ প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন এর আগেও আমরা অভিযোগ করেছি যে এখানেও এই যাদব পুরে বহু লোক এইরকম লুকিয়ে রয়েছে। যারা এই ধরনের দেশবিরোধী কাজকর্ম করে।আর সেই কাজকর্মে মদত দেয় এই রাজ্যের রাজ্য সরকার।তাদের যোগসাজগে তারা এই ধরনের কাজকর্ম করে এবং বিজেপির বিরুদ্ধে “নো ভোট টু বিজেপি” স্লোগান ও প্রচার করে।তারা সরাসরি প্রচার করেন তারা মাওবাদী।এরপর মানবাধিকার কমিশনে যাওয়া প্রসঙ্গে বিরোধী দল নেতার বক্তব্য রিটায়ার্ড জাস্টিস অশোক গাঙ্গুলী সরে যাওয়ার পর থেকে এই মানবাধিকার কমিশনকে তুলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বাসুদেব বন্দোপাধ্যায় কে সেই জায়গায় বসানোর পরিকল্পনা করেছিলেন।

ন্যাশনাল মানবাধিকার কমিশনের পাতায় ২০১৯ এ আপনারা পড়ুন তাতে লেখা আছে যে চোর মমতা এই রাজ্যের মানবাধিকার কমিশনকে খাতা কলমে রেখেছে নিজের ব্রাঞ্চ অর্গানাইজেশন হিসেবে।এই মকাই দুকোটি ২৮ লক্ষ জনসমর্থন নিয়েও বিরোধী দলনেতা থাকতে পারবেন না। এদিন শুভেন্দু অধিকারী এও বলেন মমতা ব্যানার্জির কোনো খারাপ কাজে আমি যাব না। পাশাপাশি তিনি কটাক্ষ করে বলেন মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে কোন রাষ্ট্রবাদী মিটিং করুক এটা পশ্চিমবাংলার জনগণও চাইনা। কারণ হিসেবে তার ব্যাখ্যা “মমতা ব্যানার্জির হাতে,গায়ে এবং শাড়িতে ২১৫ জন মৃত বিজেপি কর্মীর রক্ত লেগে রয়েছে।

এই সভা শেষ করার পরই বিরোধী দলনেতা আরামবাগের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।


Share

dnews.in