নিজস্ব প্রতিনিধি,আনন্দপুর :
আনন্দপুরে চলছে এখন জনস্বাস্থ্য কৃষি মেলা।মন্ত্রীর হাত ধরে উদ্বোধন হওয়া এই কৃষি মেলা চলবে দশ দিন ধরে।মূলত এখানে চাষি-বাসিদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি বিনামূল্যে স্বাস্থ্য শিবির করেছেন উদ্যোক্তারা।মন্ত্রী বলেন বহু মানুষের সমাগম হয় এই মেলার সাফল্য কামনা করি এবং এলাকার সর্বস্তরের মানুষকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।”
গত রবিবার সন্ধ্যায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ব্লকের আনন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উদ্বোধন হয়েছে প্রগতিশীল গ্রামীণ চিকিৎসক সংগঠনের উদ্যোগে আনন্দপুর জনস্বাস্থ্য কৃষি মেলার।এই মেলার আনুষ্ঠানিকভাবে শুভ উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ক্রেতা ও সুরক্ষা দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী তথা শালবনির বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো।এছাড়াও ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রগতিশীল গ্রামীণ চিকিৎসক সংগঠনের অন্যতম সদস্য অর্থাৎ মেলার উদ্যোক্তা ডাক্তার দিলীপ কুমার পান,বিশিষ্ট সমাজসেবী সুব্রত সরকার সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।উপস্থিত ছিলেন বাংলা পক্ষ সংগঠনের সদস্যরা।এছাড়াও ছিলেন আম্মা জনসেবা পরিষদের ওয়েলফেয়ার সোসাইটির পক্ষ থেকে বিশিষ্ট সমাজসেবী এ ডি বর্মন,বিশিষ্ট শিল্পী,অর্ণব দাস,সমাজসেবী তন্ময় মাইতি,সমাজসেবী পারমিতা মন্ডল সহ অন্যান্যরা।
উদ্যোক্তাদের কথায়, ১০ই ডিসেম্বর থেকে এই মেলা আগামি ২০ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে।মেলা প্রাঙ্গনে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রতিদিন কৃষকদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা সভার পাশাপাশি গ্রামের মানুষদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে।অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের দ্বারা বিনামূল্যে মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে বলে জানান মেলার অন্যতম উদ্যোক্তা ডঃ দিলীপ কুমার পান।সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য শিবিরে আসা মানুষদের বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে মেলা কমিটির উদ্যোক্তারা।আনন্দপুর জনস্বাস্থ্য কৃষি মেলার উদ্বোধনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে রাজ্যের ক্রেতা ও সুরক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো বলেন, প্রগতিশীল গ্রামীণ চিকিৎসক সংগঠনের পক্ষ থেকে সমাজ সেবামূলক পরিষেবা দেওয়ার জন্য এই মেলার আয়োজন করেছে।সেই সাথে তিনি সর্বস্তরের মানুষকে ওই মেলায় সামিল হওয়ার জন্য আহ্বানও জানান।তিনি বলেন, “এই ধরনের মেলা প্রতিবছর আনন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে প্রগতিশীল চিকিৎসক সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয়। তাই এ বছরও মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দিন বহু মানুষের সমাগম হয়েছে। এই মেলার সাফল্য কামনা করি এবং এলাকার সর্বস্তরের মানুষকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।”