নিজস্ব প্রতিনিধি,আনন্দপুর:
ঘাটাল লোকসভার সাতটা বিধানসভার মধ্যে অন্যতম হলো কেশপুর বিধানসভা।যে কেশপুর বিধানসভা চিরদিনই উত্তপ্ত হয়ে থাকে রাজনৈতিক সংঘর্ষে। গত ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনেও রক্তাক্ত হতে হয়েছিল কেশপুর কে।এবারেও ২০২৪ এর লোকসভার নির্বাচন।তাই বাংলার নববর্ষে মন্দিরে পূজো দিয়ে কেশপুরে শান্তি ফেরার কাতর আবেদন বিজেপি প্রার্থী হিরন চট্টোপাধ্যায় এর।
নববর্ষের সকালে কেশপুর বিধানসভার অন্তর্গত আনন্দপুর কালী মন্দির এবং ঐতিহ্যবাহী ঝাড়েশ্বর শিব মন্দিরে পুজো দিলেন ঘাটাল লোকসভার বিজেপি প্রার্থী হিরণময় চট্টোপাধ্যায়। পুজো দিয়ে মায়ের কাছে প্রার্থনা করলেন যাতে শান্তি ফিরুক কেশপুরে।মূলত ঘাটাল লোকসভার সাতটা বিধানসভার মধ্যে সবচেয়ে রাজনৈতিক সংঘর্ষপূর্ণ বিধানসভা হলো কেশপুর যা একসময় লাল দুর্গ হিসেবে পরিচিত ছিল।তবে সিপিএমের সময় অশান্তির যে বাতাবরণ ছিল তা পরিবর্তনে পালা বদলের পর তার কিছু পরিবর্তন হয়নি বলেই মনে করছে বিজেপি প্রার্থী।এখনো সেই ভয়ের পরিবেশ,রাজনৈতিক সংঘর্ষ,লোকসভা ভোটে সংঘর্ষ,ভোটের দিন রাজনৈতিক হিংসা,পোলিং এর দিনও অশান্ত হতেই হয়েছে এই কেশপুর কে।যা সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে বারংবার। ভোটের প্রার্থী হয়ে এতদিন কেশপুর বাদে অন্যান্য বিধানসভা গুলিতে প্রচার সারছিলেন এই বিজেপি প্রার্থী কিন্তু এবার তিনি এলেন কেশপুর বিধানসভার অন্তর্গত আনন্দপুরে এলেন প্রচার সারতে।
এদিন তিনি প্রথমে আনন্দপুর কালীমন্দিরে পুজো দেন ভক্তিভরে এবং সেখানে মায়ের কাছে আবেদন করেন যাতে কেশপুরে শান্তি ফিরে আসে।এরপর সোজা চলে যান কানাশোলের ঝাড়েশ্বর মন্দিরে।সেখানেও বাবা শিবের মাথায় জল ঢেলে প্রার্থনা করেন যাতে কেশপুর আর যেন অশান্ত না হয়ে ওঠে।সকল মানুষের মধ্যে শান্তি ফিরে আসে এই কাতর আবেদন করলেন মন্দিরে মন্দিরে।এরপরই তিনি সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ফের ঘাটালের প্রাক্তন সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেব কে কটাক্ষ করেন। তৃণমূল প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ দেবকে”পরিযায়ী প্রার্থী” বলে কটাক্ষ করেন হিরন।